নির্দেশনা

যে সকল ক্ষেত্রে এসিড নিঃসরণ বাধাগ্রস্থ হলে উপকার পাওয়া যায় প্যানটোপ্রাজল সেই সকল ক্ষেত্রেই নির্দেশিত, যেমন-
  • পেপটিক আলসার ডিজিজ
  • গ্যাস্ট্রোইসোফিজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ
  • নন-স্টেরয়েডাল এন্টি-ইনফ্লামেটরী ড্রাগস (NSAIDs) দ্বারা সৃষ্ট আলসার
  • Helicobacter pylori দ্বারা সংক্রমণ নির্মূলে (এন্টিবায়োটিকের সাথে ব্যবহৃত হয়)
  • জোলিঞ্জার-এলিসন সিনড্রোম

ফার্মাকোলজি

প্যানটোপ্রাজল একটি প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর যা গ্যাস্ট্রিক প্যারাইটাল কোষের পৃষ্ঠে অবস্থিত H+/K+ ATPase এনজাইম সিস্টেমের সাথে কোভ্যালেন্ট বন্ধনের মাধ্যমে এসিড নিঃসরণের প্রধান ধাপকে বাধাগ্রস্থ করে। এই কার্যকারিতা বেজাল ও স্টিমুলেটেড উভয় প্রকার গ্যাস্ট্রিক এসিড নিঃসরণকেই কমিয়ে দেয়, যা উদ্দীপনার উপর নির্ভরশীল নয় এবং এর স্থায়িত্বকাল ২৪ ঘন্টারও বেশি।

মাত্রা ও সেবনবিধি

বিনাইন (মারাত্মক নয় এমন) গ্যাস্ট্রিক আলসার: দৈনিক সকালে ৪০ মিঃগ্রাঃ করে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত; পুরোপুরি নিরাময় না হলে আরো ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত গ্রহণ করতে হবে।

গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ: দৈনিক সকালে ২০-৪০ মিঃগ্রাঃ করে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত; পুরোপুরি নিরাময় না হলে আরো ৪ সপ্তাহ পযন্ত দৈনিক ২০ মিঃগ্রাঃ করে গ্রহণ করতে হবে যা দৈনিক ৪০ মিঃগ্রাঃ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

ডিওডেনাল আলসার: দৈনিক সকালে ৪০ মিঃগ্রাঃ করে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত; পুরোপুরি নিরাময় না হলে আরো ২ সপ্তাহ পর্যন্ত গ্রহণ করতে হবে।

Helicobacter pylori-জনিত ডিওডেনাল আলসার: প্যানটোপ্রাজল ৪০ মিঃগ্রাঃ দিনে দুইবার এবং নিন্মবর্ণিত এন্টিবায়োটিকের সাথে সমন্বিতভাবে গ্রহণ করতে হবে। এমোক্সিসিলিন ১ গ্রাঃ ও ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন ৫০০ মিঃগ্রাঃ দিনে দুই বার ১ সপ্তাহ পর্যন্ত; অথবা ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন  ২৫০ মিঃগ্রাঃ ও মেট্রোনিডাজল ৪০০ মিঃগ্রাঃ দিনে দুইবার ১ সপ্তাহ পর্যন্ত।

NSAID ব্যবহারজনিত গ্যাস্ট্রিক অথবা ডিওডেনাল আলসার এর ক্ষেত্রে প্রতিরোধক হিসেবে: NSAID জাতীয় ঔষধ যে সকল রোগীর দীর্ঘদিন ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় তাদের ক্ষেত্রে দৈনিক ২০ মিঃগ্রাঃ করে একবার।

জোলিঞ্জার-এলিসন সিনড্রোম: প্রারম্ভিক মাত্রা দৈনিক ৮০ মিঃগ্রাঃ যা থেরাপিউটিক কার্যকারিতার ভিত্তিতে পূণঃনির্ধারণ করা যেতে পারে (বয়স্কদের সর্বোচ্চ মাত্রা দৈনিক ৪০ মিঃগ্রাঃ)। দৈনিক মাত্রা ৮০ মিঃগ্রাঃ এর উপরে হলে দু’টি বিভক্ত মাত্রায় গ্রহণ করতে হবে।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

ক্লিনিক্যাল স্ট্যাডিতে ঔষধের মিথষ্ক্রিয়ার কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়নি।

প্রতিনির্দেশনা

যেকোন উপাদানের প্রতি রোগীর অতিসংবেদনশীলতার ক্ষেত্রে প্যানটোপ্রাজল ব্যবহার প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

অল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্যানটোপ্রাজল অত্যন্ত সহনীয়। সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে মাথাব্যথা এবং ডায়রিয়া। দুর্লভ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে তলপেটে ব্যথা, বায়ু উদগিরণ, র‌্যাশ, নিদ্রাহীনতা এবং হাইপারগ্লাইসেমিয়া।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

US FDA প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরী অনুযায়ী প্যানটোপ্রাজল 'B' শ্রেণীভূক্ত ঔষধ। গর্ভাবস্থায় ব্যবহারে এখন পর্যন্ত এটির কোন সুনিয়ন্ত্রিত ও পর্যাপ্ত তথ্য নেই। কারণ প্রাণিজ প্রজনন গবেষণা সর্বদা মানবদেহে কার্যকারিতা সন্বন্ধে পূর্ণ ধারণা দেয় না, সেহেতু এই ঔষধটি গর্ভাবস্থায় কেবল সুনির্দিষ্টভাবে প্রয়োজন হলেই ব্যবহার করা উচিত। প্যানটোপ্রাজল স্তন্যদুগ্ধে নিঃসৃত হয়। সুতরাং মায়ের উপর ঔষধের প্রয়োজনীতার কথা বিবেচনা করে ঔষধ সেবন বা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সতর্কতা

প্যানটোপ্রাজল ট্যাবলেট ভাঙ্গা, চিবানো বা গুড়া না করে খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। দীর্ঘদিন প্যানটোপ্রাজল সেবনে সায়ানোকোবালামিন (ভিটামিন বি১২) এর অপর্যাপ্ত পরিশোষণ হতে পারে অথবা অস্টিওপোরোসিসজনিত সমস্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Proton Pump Inhibitor

সংরক্ষণ

আলো ও তাপ থেকে দূরে, শুষ্ক স্থানে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

রাসায়নিক গঠন

Molecular Formula : C16H15F2N3O4S
Chemical Structure : Chemical Structure of Pantoprazole Sodium
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন