Unit Price:
৳ 30.00
(2 x 7: ৳ 420.00)
Strip Price:
৳ 210.00
Also available as:
নির্দেশনা
মূত্রথলির অতিকার্যকারিতা আছে এমন রোগীর জরুরীভাবে মূত্র বেগধারনের অক্ষমতা এবং/অথবা ঘনঘন মূত্রত্যাগ এবং মূত্রত্যাগের জরুরীভাবের লক্ষন-এর চিকিৎসায় সলিফেনাসিন নির্দেশিত।
মাত্রা ও সেবনবিধি
প্রাপ্তবয়স্ক, অধিক বয়স্কসহ: নির্দেশিত মাত্রা হচ্ছে সলিফেনাসিন সাক্সিনেট ৫ মিগ্রা দিনে একবার। প্রয়োজনানুসারে দিনে একবার সলিফেনাসিন সাক্সিনেট ১০ মিগ্রা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যাবে।
শিশু এবং কিশোর: নিরাপত্তা এবং ফলপ্রসুতা এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সুতরাং সলিফেনাসিন সাক্সিনেট শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার নির্দেশিত নয়।
শিশু এবং কিশোর: নিরাপত্তা এবং ফলপ্রসুতা এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সুতরাং সলিফেনাসিন সাক্সিনেট শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার নির্দেশিত নয়।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
এ্যান্টিকোলিনার্জিক গুনাগুন সম্পন্ন ওষুধ একসাথে ব্যবহারের কারনে চিকিৎসাগত ফলাফল এবং পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া বেশী হতে পারে। সলিফেনাসিন দিয়ে চিকিৎসা বন্ধের পর এবং অন্যান্য এ্যান্টিকোলিনার্জিক দিয়ে চিকিৎসা শুরুর পূর্বে প্রায় এক সপ্তাহের একটা বিরতি প্রদান করা উচিত। কোলিনার্জিক রিসেপ্টর এ্যাগোনিস্ট সলিফেনাসিনের সাথে একসাথে ব্যবহারের ফলে সলিফেনাসিনের কার্যকারীতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পরিপাকতন্ত্রের সঞ্চালনকে উত্তেজিত করে (যেমন মেটোক্লোপ্রামাইড এবং সিসাপ্রাইড) এমন ওষুধের প্রভাবকে সলিফেনাসিন কমিয়ে দিতে পারে। দেহবহির্ভূত পরীক্ষায় দেখা গেছে, সলিফেনাসিন থেরাপিউটিক কনসেনট্রেসনে মানব যকৃত মাইক্রোজমে অবস্থিত সিওয়াইপি ১এ১/২, ২সি৯, ২সি১৯, ২ডি৬ অথবা ৩এ৪কে ইনহিবিট করে না। তাই সলিফেনাসিন এই সকল সিওয়াইপি এনজাইম দ্বারা বিপাককৃত ওষুধের নিঃসরনকে পরিবর্তন করে না। সলিফেনাসিন সাইটোক্রোম পি৪৫০ ৩এ৪ দ্বারা বিপাক হয়। কিটোকোনাজল (২০০ মিগ্রা/দিন) এর একই সঙ্গে গ্রহনে সলিফেনাসিন এর এইউসি দ্বিগুন পরিমান বাড়িয়ে দেয় যেখানে কিটোকোনাজল ৪০০ মিগ্রা/দিন সলিফেনাসিন-এর এইউসি তিনগুন পরিমান বাড়িয়ে দেয়। সুতরাং যখন কিটোকোনাজল অথবা অন্যান্য শক্তিশালী সাইটোক্রোম পি৪৫০ ৩এ৪ ইনহিবিটর (যেমন রিটোনাভির, নেলফিনাভির, ইট্রাকোনাজল) এর চিকিৎসাগত মাত্রা যখন একইসঙ্গে সলিফেনাসিন সাক্সিনেটের সাথে ব্যবহৃত হবে তখন সলিফেনাসিন সাক্সিনেটের সর্ব্বোচ্চ মাত্রা ৫ মিগ্রা এ সীমাবদ্ধ রাখা উচিত।
তীব্র বৃক্ক অকার্যকরী অথবা মাঝারী ধরনের যকৃত অকার্যকরী রোগীর ক্ষেত্রে সলিফেনাসিন এবং কোন শক্তিশালী সাইটোক্রোম পি৪৫০ ৩এ৪ ইনহিবিটর একসাথে ব্যবহার নিষিদ্ধ। সলিফেনাসিন এবং এর মেটাবোলাইট এর ফার্মাকোকাইনেটিকসের উপর এনজাইমের প্রভাবের প্রতিক্রিয়া ছাড়াও সলিফেনাসিনের উপর সিওয়াইপি ৩এ৪ সাবস্ট্রেটের উচ্চমাত্রায় আসক্তির প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করা হয়নি। যেহেতু সলিফেনাসিন সাইটোক্রোম ৩এ৪ দ্বারা বিপাক হয়, সেহেতু সিওয়াইপি ৩এ৪ এর উচ্চ আসক্তি সম্পন্ন সাবস্ট্রেট (যেমন ভেরাপামিল, ডিলটিয়াজেম) এবং সিওয়াইপি ৩এ৪ ইনডিউসার (যেমন রিফামপিসিন, ফেনাইটইন, কার্বামাজেপাইন) এর সাথে ফার্মাকোকাইনেটিক আন্তঃক্রিয়া সম্ভব।
অন্যান্য ওষুধের উপর সলিফেনাসিনের ফার্মাকোকাইনেটিকস প্রভাবঃ
তীব্র বৃক্ক অকার্যকরী অথবা মাঝারী ধরনের যকৃত অকার্যকরী রোগীর ক্ষেত্রে সলিফেনাসিন এবং কোন শক্তিশালী সাইটোক্রোম পি৪৫০ ৩এ৪ ইনহিবিটর একসাথে ব্যবহার নিষিদ্ধ। সলিফেনাসিন এবং এর মেটাবোলাইট এর ফার্মাকোকাইনেটিকসের উপর এনজাইমের প্রভাবের প্রতিক্রিয়া ছাড়াও সলিফেনাসিনের উপর সিওয়াইপি ৩এ৪ সাবস্ট্রেটের উচ্চমাত্রায় আসক্তির প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করা হয়নি। যেহেতু সলিফেনাসিন সাইটোক্রোম ৩এ৪ দ্বারা বিপাক হয়, সেহেতু সিওয়াইপি ৩এ৪ এর উচ্চ আসক্তি সম্পন্ন সাবস্ট্রেট (যেমন ভেরাপামিল, ডিলটিয়াজেম) এবং সিওয়াইপি ৩এ৪ ইনডিউসার (যেমন রিফামপিসিন, ফেনাইটইন, কার্বামাজেপাইন) এর সাথে ফার্মাকোকাইনেটিক আন্তঃক্রিয়া সম্ভব।
অন্যান্য ওষুধের উপর সলিফেনাসিনের ফার্মাকোকাইনেটিকস প্রভাবঃ
- জন্ম নিরোধক ওষুধ: সলিফেনাসিন কম্বাইন্ড জন্মনিরোধক ওষুধের (ইথিনাইলএস্ট্রাডিওল/ লেভোনরজেস্টেরল) ফার্মাকোকাইনেটিকস কে প্রভাবিত করে না।
- ওয়ারফেরিন: সলিফেনাসিন, আর-ওয়ারফেরিন অথবা এস-ওয়ারফেরিন এর ফার্মাকোকাইনেটিকস এর অথবা এদের প্রথম্বিন টাইমের উপর প্রভাবের পরিবর্তন ঘটায় না।
- ডিগক্সিন: সলিফেনাসিন ডিগক্সিনের ফার্মাকোকাইনেটিকসকে প্রভাবিত করে না।
- যানবাহন চালনে এবং যন্ত্রপাতি ব্যবহারে প্রভাব: সলিফেনাসিন অন্যান্য এন্টিকোলিনার্জিকের মত ঝাপসা দেখা এবং মাঝে মাঝে নিদ্রালুতা এবং অবসাদ গ্রস্থতা ঘটাতে পারে, যা যানবাহন চালনায় এবং যন্ত্রপাতি ব্যবহারে বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রতিনির্দেশনা
সলিফেনাসিনের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা, ইউরিনারী রিটেনশন, মারাত্মক পরিপাকতন্ত্রজনিত সমস্যা (টক্সিক মেগাকোলন সহ), মাইয়াসথেনিয়া গ্র্যাভিস অথবা ন্যারো-এঙ্গেল গ্লুকোমা, হেমোডায়ালাইসিসের রোগী, তীব্র যকৃত অকার্যকরী রোগী, তীব্র বৃক্ক অকার্যকরী রোগী অথবা মাঝারী ধরনের যকৃত অকার্যকরী রোগী এবং যে সমস্ত রোগীরা শক্তিশালী সাইটোক্রোম পি৪৫০ ৩এ৪ ইনহিবিটর যেমন কিটোকোনাজল দ্বারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে সলিফেনাসিন ব্যবহার নিষিদ্ধ।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
সলিফেনাসিনের ফার্মাকোলজিক্যাল প্রভাবের কারনে, ইহা মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের অনাকাঙ্খিত এ্যান্টিকোলিনার্জিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে। এই অনাকাঙ্খিত এ্যান্টিকোলিনার্জিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার তীব্রতা মাত্রার উপর নির্ভরশীল। সলিফেনাসিনের সবচেয়ে বেশী পরিলক্ষিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে মুখ শুকিয়ে যাওয়া। দৈনিক ৫ মিগ্রা গ্রহণকারী রোগীদের মধ্যে ১১%, দৈনিক ১০ মিগ্রা গ্রহণকারী রোগীদের মধ্যে ২২% এবং প্লাসেবো গ্রহণকারী রোগীদের মধ্যে ৪% এর ক্ষেত্রে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছিল। মুখ শুকিয়ে যাওয়ার এই প্রকোপ ছিল সাধারণত মৃদু মাত্রার এবং চিকিৎসা বন্ধ করার মত ঘটনা খুবই বিরল ক্ষেত্রে ঘটেছে। চিকিৎসা চলাকালীন রোগীদের ওষুধ সম্পর্কিত সন্তুষ্টি ছিল খুবই বেশী (প্রায় ৯৯%) এবং প্রায় ৯০% রোগী সলিফেনাসিন-এর ১২ সপ্তাহের চিকিৎসা সম্পর্কিত পরীক্ষা সম্পন্ন করে।
পরিপাকতন্ত্র জনিত সমস্যা: বেশী পরিলক্ষিত- মুখ শুকিয়ে যাওয়া, পরিলক্ষিত কোষ্ঠ কাঠিন্য, বমি বমি ভাব, বদ হজম, তলপেটে ব্যথা, অপরিলক্ষিত গ্যাষ্টোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজেজ, গলদেশ শুকিয়ে যাওয়া, বিরল- বাধাগ্রস্থ কোলন, মলের অবরুদ্ধতা, খুবই বিরল বমি করা।
পরজীবি দ্বারা সংক্রমন: অপরিলক্ষিত- মুত্রনালীতে রোগ জীবানুর সংক্রমন, মুত্রাশয় প্রদাহ।
স্নায়ুতন্ত্র জনিত সমস্যা: অপরিলক্ষিত- নিদ্রালুতা, বিকৃত আস্বাদ, খুবই বিরল- মস্তক ঘূর্নন, মাথা ব্যথা।
মনস্তাত্বিক সমস্যা: খুবই বিরল-ভ্রম দৃষ্টি।
চক্ষু জনিত সমস্যা: পরিলক্ষিত ঝাপসা দেখা, অপরিলক্ষিত- চোখ শুকিয়ে যাওয়া।
সাধারন সমস্যা এবং প্রয়োগকৃত স্থানের অবস্থা: অপরিলক্ষিত অবসাদগ্রস্থ, পেরিফেরাল এডেমা।
শ্বসনতন্ত্রজনিত, থোরাসিক এবং মিডিয়াষ্টাইনাল ডিজঅর্ডার: অপরিলক্ষিত- নাসিকা শুকিয়ে যাওয়া।
চর্ম এবং সাবকিউটানিয়াস টিস্যু ডিজঅর্ডার: অপরিলক্ষিত- শুষ্ক ত্বক, খুবই বিরল প্রুরাইটিস, র্যাশ, আর্টিক্যারিয়া।
বৃক্ক এবং প্রসাব জনিত সমস্যা: অপরিলক্ষিত প্রসাবকরন জনিত জটিলতা, বিরল-ইউরিনারী রিটেনশন।
পরিপাকতন্ত্র জনিত সমস্যা: বেশী পরিলক্ষিত- মুখ শুকিয়ে যাওয়া, পরিলক্ষিত কোষ্ঠ কাঠিন্য, বমি বমি ভাব, বদ হজম, তলপেটে ব্যথা, অপরিলক্ষিত গ্যাষ্টোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজেজ, গলদেশ শুকিয়ে যাওয়া, বিরল- বাধাগ্রস্থ কোলন, মলের অবরুদ্ধতা, খুবই বিরল বমি করা।
পরজীবি দ্বারা সংক্রমন: অপরিলক্ষিত- মুত্রনালীতে রোগ জীবানুর সংক্রমন, মুত্রাশয় প্রদাহ।
স্নায়ুতন্ত্র জনিত সমস্যা: অপরিলক্ষিত- নিদ্রালুতা, বিকৃত আস্বাদ, খুবই বিরল- মস্তক ঘূর্নন, মাথা ব্যথা।
মনস্তাত্বিক সমস্যা: খুবই বিরল-ভ্রম দৃষ্টি।
চক্ষু জনিত সমস্যা: পরিলক্ষিত ঝাপসা দেখা, অপরিলক্ষিত- চোখ শুকিয়ে যাওয়া।
সাধারন সমস্যা এবং প্রয়োগকৃত স্থানের অবস্থা: অপরিলক্ষিত অবসাদগ্রস্থ, পেরিফেরাল এডেমা।
শ্বসনতন্ত্রজনিত, থোরাসিক এবং মিডিয়াষ্টাইনাল ডিজঅর্ডার: অপরিলক্ষিত- নাসিকা শুকিয়ে যাওয়া।
চর্ম এবং সাবকিউটানিয়াস টিস্যু ডিজঅর্ডার: অপরিলক্ষিত- শুষ্ক ত্বক, খুবই বিরল প্রুরাইটিস, র্যাশ, আর্টিক্যারিয়া।
বৃক্ক এবং প্রসাব জনিত সমস্যা: অপরিলক্ষিত প্রসাবকরন জনিত জটিলতা, বিরল-ইউরিনারী রিটেনশন।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
কোন মহিলার গর্ভবতী অবস্থায় সলিফেনাসিন গ্রহনের কোন ক্লিনিক্যাল তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রাণীদেহে পরীক্ষায় গর্ভবতী হওয়া, ভ্রুন/ভ্রুণসংক্রান্ত বৃদ্ধি অথবা প্রসবজনিত কোন সরাসরি ক্ষতিকর প্রভাব নির্দেশ করেনা। মানবদেহে এর কোন সম্ভাব্য ঝুঁকি জানা নেই। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্যবহারে সতর্ক থাকা উচিত। সলিফেনাসিন মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয় কিনা এমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। ইঁদুরের ক্ষেত্রে সলিফেনাসিন এবং অথবা এর মেটাবোলাইট মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয়েছিল এবং সদ্যজাত ইঁদুরের অবস্থার উন্নতির ক্ষেত্রে মাত্রা নির্ভরশীল ব্যর্থতা ঘটেছে। তাই মাতৃদুগ্ধদানকালে সলিফেনাসিনের ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত ৷
সতর্কতা
সলিফেনাসিন সাক্সিনেট দ্বারা চিকিৎসার পূর্বে ঘনঘন মূত্রত্যাগের অন্যান্য কারন (হৃদযন্ত্রের অকার্যকরীতা অথবা বৃক্কে রোগ) পরীক্ষা করে নেয়া উচিত। যদি মূত্রনালির সংক্রমন থাকে তাহলে সঠিক এ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল দ্বারা চিকিৎসা শুরু করা উচিত। যে সকল রোগীদের মূত্রথলির বর্হিপথে বাধা জনিত মূত্রগত অবরোধের ঝুঁকি আছে, পাকস্থলির অবরোধজনিত সমস্যা আছে, পাকস্থলির হ্রাসকৃত সঞ্চালনের ঝুঁকি আছে, তীব্র বৃক্ক অকার্যকরীতা (ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স ≤৩০ মিলি/মিনিট) এবং মাঝারী ধরনের যকৃত অকার্যকরীতা (চাইল্ড-পাফ স্কোর ৭ থেকে ৯) আছে তাদের ক্ষেত্রে সলিফেনাসিস সাক্সিনেট সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত এবং এই সকল রোগীদের ক্ষেত্রে এবং মাত্রা দৈনিক ৫ মিগ্রা এর বেশী অতিক্রম করা উচিত নয়। একই সাথে কোন শক্তিশালী সাইটোক্রোম পি৪৫০ ৩এ৪ ইনহিবিটর যেমন: কিটোকোনাজল নিচ্ছেন, হাইটাস হার্ণিয়া আছে এবং / গ্যাস্ট্রোএসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স / অথবা যারা একইসাথে বিসফসফোনেট জাতীয় ওষুধ খাচ্ছেন যা ইসোফেগাসের প্রদাহ, অটোনমিক নিউরোপ্যাথির কারণ হতে পারে বা বাড়িয়ে দিতে পারে তাদের ক্ষেত্রে সলিফেনাসিস সাক্সিনেট সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত। নিউরোজেনিক কারনে ডেট্রুসর অতিকার্যকরীতার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং ফলপ্রসুতা এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যে সকল রোগীদের বিরল বংশগত গ্যালাকটোজ ইনটলারেন্স জাতীয় সমস্যা, ল্যাপ ল্যাকটোজ ঘাটতি অথবা গ্লুকোজ গ্যালাকটোজ এর অপর্যাপ্ত শোষন জাতীয় সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধটি গ্রহণ করা উচিত নয়। সলিফেনাসিন সাক্সিনেটের সর্বোচ্চ প্রভাব তাড়াতাড়ি হলেও ৪ সপ্তাহের পর নির্ণয় করা যাবে।
বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার
বৃক্ক অকার্যকরী রোগীদের ক্ষেত্রে: মৃদু থেকে মাঝারি বৃক্ক অকার্যকরী রোগীদের (ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স >৩০ মিলি/মিনিট) ক্ষেত্রে মাত্রা পুনঃনির্ধারনের প্রয়োজন নেই। মারাত্বক বৃক্ক অকার্যকরী রোগীদের (ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স ≤৩০ মিলি/মিনিট) ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে চিকিৎসা করা উচিত এবং দিনে একবার ৫ মিগ্রা এর বেশী দেয়া উচিত নয়।
যকৃত অকার্যকরী রোগীদের ক্ষেত্রে: মৃদু যকৃত অকার্যকরী রোগীর জন্য মাত্রা পুনঃনির্ধারনের প্রয়োজন নেই। মাঝারী যকৃত অকার্যকরী (চাইল্ড-পাফ স্কোর ৭ থেকে ৯) রোগীদের সতর্কতার সাথে চিকিৎসা করা উচিত এবং দিনে একবার ৫ মিগ্রা এর বেশী দেয়া উচিত নয়।
সাইটোক্রোম পি৪৫০ ৩এ৪ এর শক্তিশালী ইনহিবিটর: কিটোকোনাজল অথবা অন্য কোন শক্তিশালী সাইটোক্রোম পি৪৫০ ৩এ৪ ইনহিবিটর যেমন রিটোনাভির, নেলফিনাভির, ইট্রাকোনাজল এবং সলিফেনাসিন সাক্সিনেট একইসাথে ব্যবহারে সলিফেনাসিনের মাত্রা সর্বাধিক ৫ মিগ্রা এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। সলিফেনাসিন ট্যাবলেট পানি দ্বারা সম্পূর্ণভাবে গিলে খেতে হবে। এটি ভরা বা খালি পেটে খাওয়া যাবে।
যকৃত অকার্যকরী রোগীদের ক্ষেত্রে: মৃদু যকৃত অকার্যকরী রোগীর জন্য মাত্রা পুনঃনির্ধারনের প্রয়োজন নেই। মাঝারী যকৃত অকার্যকরী (চাইল্ড-পাফ স্কোর ৭ থেকে ৯) রোগীদের সতর্কতার সাথে চিকিৎসা করা উচিত এবং দিনে একবার ৫ মিগ্রা এর বেশী দেয়া উচিত নয়।
সাইটোক্রোম পি৪৫০ ৩এ৪ এর শক্তিশালী ইনহিবিটর: কিটোকোনাজল অথবা অন্য কোন শক্তিশালী সাইটোক্রোম পি৪৫০ ৩এ৪ ইনহিবিটর যেমন রিটোনাভির, নেলফিনাভির, ইট্রাকোনাজল এবং সলিফেনাসিন সাক্সিনেট একইসাথে ব্যবহারে সলিফেনাসিনের মাত্রা সর্বাধিক ৫ মিগ্রা এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। সলিফেনাসিন ট্যাবলেট পানি দ্বারা সম্পূর্ণভাবে গিলে খেতে হবে। এটি ভরা বা খালি পেটে খাওয়া যাবে।
মাত্রাধিক্যতা
সলিফেনাসিনের অতিমাত্রায় সেবনের ফলে মারাত্মক এন্টিকোলিনার্জিক প্রভাব পড়তে পারে। দূর্ঘটনাজনিতভাবে একজন রোগীকে পাঁচ ঘন্টার মধ্যে ২৮০ মিগ্রা সলিফেনাসিন প্রয়োগে শুধুমাত্র মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছিল কিন্তু হসপিটালে ভর্তি করার প্রয়োজন হয়নি। সলিফেনাসিন সাক্সিনেটের অতিমাত্রার ক্ষেত্রে রোগীকে সক্রিয় চারকোল দিয়ে চিকিৎসা করা উচিত। সেবনের এক ঘন্টার মধ্যে পাকস্থলি ধৌত করা উপকারী কিন্তু বমির উদ্রেক করা উচিত নয়। অন্যান্য এ্যান্টিকোলিনার্জিকের মত, নিম্নক্তোভাবে অতিমাত্রার লক্ষণসমুহের চিকিৎসা করা যেতে পারেঃ
মারাত্বক কেন্দ্রীয় এ্যান্টিকোলিনার্জিক প্রভাব যেমন ভ্রমদৃষ্টি অথবা অতিরিক্ত উত্তেজনাঃ
মারাত্বক কেন্দ্রীয় এ্যান্টিকোলিনার্জিক প্রভাব যেমন ভ্রমদৃষ্টি অথবা অতিরিক্ত উত্তেজনাঃ
- ফাইসোষ্টিগমিন অথাব কার্বাকোল দ্বারা চিকিৎসা।
- খিচুঁনী অথবা অতিরিক্ত উত্তেজনাঃ বেনজোডায়াজেপাম দ্বারা চিকিৎসা
- শ্বসনজনিত অপর্যাপ্ততাঃ কৃত্রিম শ্বাসপ্রস্বাস দ্বারা চিকিৎসা।
- ট্যাকিকার্ডিয়াঃ বিটা-ব্লকার দ্বারা চিকিৎসা।
- ইউরিনারী রিটেনশনঃ ক্যাথেটারাইজেশন দ্বারা চিকিৎসা।
- মাইড্রিয়াসিসঃ পিলোকারপেইন আই ড্রপ দ্বারা চিকিৎসা এবং/অথবা রোগীকে অন্ধকার রুমে রাখা।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Anticholinergics (antimuscarinics)/ Anti-spasmodics, BPH/ Urinary retention/ Urinary incontinence
সংরক্ষণ
আলো থেকে দূরে, ঠান্ডা ও শুকনো স্থানে সংরক্ষণ করুন।