Unit Price: ৳ 12.00 (3 x 10: ৳ 360.00)
Strip Price: ৳ 120.00
Also available as:

নির্দেশনা

ডুলক্সেটিন নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
  • মেজর ডিগ্রেসিভ ডিসওর্ডার (এম.ডি.ডি.)
  • জেনারালাইজড অ্যাংজাইটি ডিসওর্ডার (জি.এ.ডি.)
  • ডায়াবেটিক পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথিক ব্যথা (ডি.পি.এন.পি)
  • ফাইব্রোমায়ালজিয়া এবং
  • ক্রনিক মাসকো-স্কেলেটাল পেইন

ফার্মাকোলজি

ডুলক্সেটিন হাইড্রোক্লোরাইড একটি মুখে সেবা সিলেকটিভ সেরোটনিন এবং নরএপিনেফ্রিন রিআপটেক ইনহিবিটর (এসএসএনআরআই)। ডুলক্সেটিন একটি স্বল্প শক্তিশালী ডোপামিন রিআপটেক ইনহিবিটর। এর ডোপামিনার্জিক, অ্যাড্রেনার্জিক, কোলিনার্জিক, হিসটামিনার্জিক, অপিয়য়েড, গ্লুটামেট বা জিএবিএ (গাবা) রিসেপটর এর প্রতি ইনভিট্রো কোন গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণ নাই। ডুলক্সেটিন মনোঅ্যামাইন অক্সিডেজকে বাধা দেয় না। মুখে সেবা ডুলক্সেটিন হাইড্রোক্লোরাইড ভালো শোষিত হয়। ডুলক্সেটিন এর নিষ্কাশন প্রধানত যকৃতে বিপাকের মাধ্যমে হয়।

মাত্রা ও সেবনবিধি

মেজর ডিগ্রেসিভ ডিসওর্ডার (এম.ডি.ডি.)-
  • শুরুর মাত্রা: ৪০ মি.গ্রা./দিন থেকে ৬০ মি.গ্রা./দিন
  • আদর্শ মাত্রা: ত্বরিত চিকিৎসা: ৪০ মি.গ্রা./দিন (২০ মি.গ্রা. করে দিনে দুই বার) হতে ৬০ মি.গ্রা./দিন (৩০ মি.গ্রা. করে দিনে দুই বার), মেনটেইন্যান্স মাত্রা ৬০ মি.গ্রা./দিন
  • সর্বোচ্চ মাত্রা: ১২০ মি.গ্রা./দিন
জেনারালাইজড অ্যাংজাইটি ডিসওর্ডার (জি.এ.ডি.)-
  • শুরুর মাত্রা: ৬০ মি.গ্রা./দিন
  • আদর্শ মাত্রা: ৬০ মি.গ্রা./দিন (দিনে একবার)
  • সর্বোচ্চ মাত্রা: ১২০ মি.গ্রা./দিন
ডায়াবেটিক পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথিক ব্যথা (ডি.পি.এন.পি)-
  • শুরুর মাত্রা: ৬০ মি.গ্রা./দিন
  • আদর্শ মাত্রা: ৬০ মি.গ্রা./দিন (দিনে একবার)
  • সর্বোচ্চ মাত্রা: ৬০ মি.গ্রা./দিন
ফাইব্রোমায়ালজিয়া-
  • শুরুর মাত্রা: ৩০ মি.গ্রা./দিন
  • আদর্শ মাত্রা: ৬০ মি.গ্রা./দিন (দিনে একবার)
  • সর্বোচ্চ মাত্রা: ৬০ মি.গ্রা./দিন
ক্রনিক মাসকো-স্কেলেটাল পেইন-
  • শুরুর মাত্রা: ৩০ মি.গ্রা./দিন
  • আদর্শ মাত্রা: ৬০ মি.গ্রা./দিন (দিনে একবার)
  • সর্বোচ্চ মাত্রা: ৬০ মি.গ্রা./দিন
কিছু রোগী ৩০ মি.গ্রা./দিন মাত্রায় সেবন করেও উপকৃত হতে পারে। ৬০ মি.গ্রা./দিন মাত্রার বেশি ব্যবহারে বেশি উপকৃত হওয়ার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি বরং কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। ওষুধ ছাড়ার প্রতিক্রিয়া সামাল দিতে আস্তে আস্তে মাত্রা কমানো নির্দেশিত।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

সিওয়াইপি১এ২ এবং সিওয়াইপি২ডি৬ আইসো এনজাইম উভয়েই ডুলক্সেটিন এর বিপাকের সাথে সম্পর্কিত। যখন ডুলক্সেটিন ফ্লুডোক্সামিন, একটি শক্তিশালী সিওয়াইপি১এ২ ইনহিবিটর, এর সাথে গ্রহণ করা হয় তখন ডুলক্সেটিন এর সর্বোচ্চ প্লাজমা ঘনত্ব ও হাফ লাইফ বৃদ্ধি পায়। যেসকল ওষুধ সিওয়াইপি১এ২ এর বিপাকে বাধা দেয় যেমন সিমেটিডিন এবং কুইনোলন এন্টিমাইক্রোবিয়াল যেমন সিপ্রোফ্লোক্সাসিন এবং এনোক্সাসিন এর একই প্রভাব এবং এদের একই সাথে গ্রহণ বর্জন করা উচিত। যেহেতু সিওয়াইপি২ডি৬ ডুলক্সেটিন এর বিপাকে জড়িত, তাই একই সাথে ডুলক্সেটিন ও শক্তিশালী সিওয়াইপি২ডি৬ গ্রহণ ডুলক্সেটিন এর ঘনত্ব বাড়িয়ে দিতে পারে।

প্রতিনির্দেশনা

বাইপোলার ডিপ্রেশনে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ডুলক্সেটিন নির্দেশিত নয়। যাদের মদ্যপানের অভ্যাস আছে বা দীর্ঘমেয়াদী লিভার ডিজিস আছে তাদের ক্ষেত্রে ডুলক্সেটিন ব্যবহার করা উচিৎনয়। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে ডুলক্সেটিন মাইড্রিয়াসিস করতে পারে তাই ন্যরো অ্যাঙ্গেল গ্লোকোমা আছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে সাবধানতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

স্ট্রেসিন দ্বারা চিকিৎসারত রোগীর প্রধান যে সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তা হলো বমি বমি ভাব, তন্দ্রাচ্ছন্নতা, শুষ্ক মুখ, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্ষুধামান্দ্য, দূর্বলতা, ঝিমুনি, অতিরিক্ত ঘাম, হাইপার হাইড্রোসিস এবং পেশীদূর্বলতা। এটি সামান্য পরিমানে রক্তচাপ বৃদ্ধি করতে পারে। ইসিজিতে কিউটি, পিআর এবং কিউআরএস এর বিরতির ক্ষেত্রে ডুলক্সেটিন এবং প্লাসেবোর মধ্যে কোন সুনির্দিষ্ট পার্থক্য দেখা যায়নি।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায়: প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরী সি। গর্ভধারনকারী মায়েদের উপর এর কোন পর্যাপ্ত এবং সুনিয়ন্ত্রিত গবেষণা নেই। ভ্রুনের ক্ষতির চেয়ে মায়ের উপকার বেশী পাবার সম্ভাবনা থাকলেই ডুলক্সেটিন গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা উচিত।

লেবার ও প্রসব: মানুষের লেবার ও প্রসবের উপর ডুলক্সেটিন এর কোন ক্রিয়া জানা যায় নাই। ডুলক্সেটিন লেবার ও প্রসবে তখনই ব্যহার করা উচিত যখন ভ্রুণের ক্ষতির চেয়ে সম্ভাব্য উপকার বেশি হবে।

স্তন্যদানকালে: ডুলক্সেটিন অথবা এর বিপাকীয় পদার্থ মায়ের দুধে নিঃসৃত হয় কিনা তা অজানা। কিন্তু স্তন্যদানকালে ডুলক্সেটিন নির্দেশিত নয়।

সতর্কতা

বিষন্নতারোধী ওষুধ যেকোন নির্দেশনায় ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রথমদিকে অথবা মাত্রা পরিবর্তিত হলে রোগীদেরকে অসুখের তীব্রতা বৃদ্ধি, আত্নহত্যার মানসিকতা বা আচরণে বিশেষ কোন পরিবর্তন হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখতে হবে। চিকিৎসা শুরুর পূর্বে এবং চলাকালীন সময়ে রোগীদের রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ করতে হবে। NSAID জাতীয় ব্যথার ওষুধ, অ্যাসপিরিন বা অন্য কোন ওষুধ যেগুলো রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন করতে পারে এসব ওষুধের সাথে ডুলক্সেটিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে কারণ ভুলক্সেটিন জমাট বাঁধার প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন করতে পারে। মানিয়ায়, খিঁচুনিতে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস আছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে ডুলক্সেটিন ব্যবহারে সাবধান হতে হবে।

বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার

শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: শিশুদের ক্ষেত্রে ডুলক্সেটিন এর কার্যকারীতা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

মাত্রাধিক্যতা

মানুষের ক্ষেত্রে ডুলক্সেটিনের মাত্রাধিক্যের বস্তুনিষ্ঠ তথ্য পাওয়া যায় নাই। ডুলক্সেটিনের নির্দিষ্ট প্রতিষেধক নাই। তীব্র মাত্রাধিক্যের ক্ষেত্রে যেকোন ওষুধের মাত্রাধিক্যের চিকিৎসার অনুরূপ। পর্যাপ্ত বাতাস, অক্সিজেনের সরবরাহ এবং ভেন্টিলেশন নিশ্চিত করা উচিত। হৃদস্পন্দন ও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণসমূহের প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিত। বমি করানোর চেষ্টা করা উচিত নয়। শ্বাস প্রশ্বাসের নিয়ন্ত্রন রক্ষা করে ওরোগ্যাট্রিক টিউব দ্বারা গ্যাট্রিক ল্যাভেজ করা যেতে পারে। একটিভেটেড চারকোল দ্বারা পরিপাকতন্ত্র থেকে ডুলক্সেটিনের শোষন কমানো যেতে পারে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Serotonin-norepinephrine reuptake inhibitor (SNRI)

সংরক্ষণ

৩০°সে. এর উপরে সংরক্ষণ করা হতে বিরত থাকুন। আলো থেকে দূরে এবং শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
Pack Image of Stresin 30 mg DR Capsule Pack Image: Stresin 30 mg DR Capsule