200 ml bottle:
৳ 130.00
নির্দেশনা
রেভাটল নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
- ক্রনিক অবসট্রাকটিভ পালমোনারী ডিজিজ (সিওপিডি)
- অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট
- পালমোনারী ফাইব্রোসিস
- পালমোনারী টিউবারকিউলোসিস।
উপাদান
প্রতি ৫ মি.লি. সিরাপে আছে-
- ভাইটিস ভিনিফেরা 0.৭২ গ্রাম
- সিনামোমাম জিলানিকাম ১৩.৮৭ মি.গ্রা.
- ইলেটারিয়া কার্ডামোমাম ১৩.৮৭ মি.গ্রা.
- মেসুয়া ফেরা ১৩.৮৭ মি.গ্রা.
- অ্যাগলাইয়া রক্সবার্জিয়ানা ১৩.৮৭ মি.গ্রা.
- সসারিয়া লাপ্পা ১৩.৮৭ মি.গ্রা.
- পাইপার লংগাম ১৩.৮৭ মি গ্রা.
- পাইপার নিগ্রাম ১৩.৮৭ মি.গ্রা. সহ অন্যান্য ভেষজ উপাদানের নির্যাস।
বিবরণ
রেভাটল বহু ভেষজ সমন্বিত একটি ক্লাসিক্যাল আয়ুর্বেদিক ওষুধ যা রেসভেরাট্রল ও বায়োফ্লাভোনয়েড সমৃদ্ধ। বায়োফ্লাভোনয়েড জাতিয় প্রোএন্থোসায়ানিডিনস্ ক্রনিক অবসট্রাকটিভ পালমোনারী ডিজিজের চিকিৎসায় বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত ও কার্যকরী। এর প্রধান উপাদান হলো ভাইটেসি পরিবারভুক্ত ভাইটিস ভিনিফেরা যা বহু বর্ষজীবি, কাষ্ঠল লতানো উদ্ভিদ। এটি এশীয় অঞ্চলের উদ্ভিদ তবে পরবর্তীতে ইউরোপসহ অন্যান্য অঞ্চলে বিস্তার লাভ করে। এটি বাংলাদেশে আঙ্গুর ফল বা দ্রাক্ষা নামে পরিচিত।
রাসায়নিক উপাদান: রাসায়নিক পরীক্ষায় দেখা যায় দ্রাক্ষায় প্রোসয়ানিডিনস, এন্থোসায়ানিডিস, ফ্লাভোনয়েডস সংযুক্ত প্রোএন্থোসায়ানিডিনস রয়েছে। আঙ্গুর ফল থেকেই প্রথম ৩-অক্সায়োনল, ভোমিফোনিওল ও ডিহাইড্রোভোমিফোনিওল পৃথক করা হয়। চিকিৎসায় ব্যবহৃত সক্রিয় উপাদান রেসভেরাট্রল আঙ্গুর ফলের বহিঃস্থ আবরণী বা স্কিন থেকে পাওয়া যায়।
রাসায়নিক উপাদান: রাসায়নিক পরীক্ষায় দেখা যায় দ্রাক্ষায় প্রোসয়ানিডিনস, এন্থোসায়ানিডিস, ফ্লাভোনয়েডস সংযুক্ত প্রোএন্থোসায়ানিডিনস রয়েছে। আঙ্গুর ফল থেকেই প্রথম ৩-অক্সায়োনল, ভোমিফোনিওল ও ডিহাইড্রোভোমিফোনিওল পৃথক করা হয়। চিকিৎসায় ব্যবহৃত সক্রিয় উপাদান রেসভেরাট্রল আঙ্গুর ফলের বহিঃস্থ আবরণী বা স্কিন থেকে পাওয়া যায়।
ফার্মাকোলজি
আঙ্গুর বা দ্রাক্ষায় বায়োফ্লাভোনয়েডস সমৃদ্ধ উপকারী প্রোএন্থোসায়ানিডিনস বিদ্যমান। ধারণা করা হয় প্রোএন্থোসায়ানিডিনস ক্ষতিকর লিপিড পারঅক্সিডেজ বা মুক্ত মুলকের সমতায়ন করে কোষ প্রাচীরকে সুরক্ষা করে। প্রোএন্থোসায়ানিডিনস বা পিসিও ধমনীর দেয়াল বা ত্বককে মজবুত করে। এটি প্রদাহসৃষ্টিকারী হিস্টামিন ও প্রোস্টাগ্লানডিন জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণে বাঁধা দেয়। মাস্ট সেল থেকে হিস্টামিন নিঃসরণ কমায়, বিধায় ইহা অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এন্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্যই ইহা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারী বা সিওপিডি প্রতিরোধ করে। সিওপিডি আক্রান্ত ধূমপায়ী ও অধুমপায়ী রোগীর এলভিওলি কালচার পরীক্ষায় দেখা গেছে যে এই প্রিপারেশোনটি প্রনাহসৃষ্টিকারী সকল সাইটোকাইন নিঃসরণে বাধা দেয়। অধিকন্তু মাহাদ্রাক্ষারিষ্ট প্রদাহসৃষ্টিকারী রাসায়নিক মাধ্যমকে বাধা প্রদানের পাশাপাশি সংকেত বহনকারী প্রোটিন ভাসকুলার এন্ডোথেলিয়াল গ্রোথ ফ্যাক্টরকে রক্ষা করে যা মূলত ইমফাইসিমা প্রতিরোধ করে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে এই প্রিপারেশোনটি ট্রান্সকিপশন ফ্যাক্টর NF-kB ও I-kB কাইনেজ কার্যকারিতাকে বাঁধা প্রদান করার মাধ্যমে প্রদাহবিরোধী হিসেবে কাজ করে।
মাহাদ্রাক্ষারিষ্ট হার্টের সু-রক্ষাকারী ক্রিয়াসহ নানাবিধ কার্যকারিতা রয়েছে। এটি কম ঘনত্বের লিপোপ্রোটিনের জারণ, নরম মাংসপেশীর বৃদ্ধি ও অনুচক্রিকা জমাট বাঁধাকে প্রতিহত করে। এছাড়া ইহা ম্যাক্রোফেজ থেকে সুপার অক্সাইড অ্যানায়ন ও হাইড্রোজেন পার অক্সাইড তৈরী শক্তভাবে প্রতিহত করে। এটি নাইট্রিক অক্সাইড বৃদ্ধি করে, ল্যাকটেট ডি-হাইড্রোজেনেজর পরিমান কমায় এবং ইসকেমিয়া রি-পারফিউসন জনিত অ্যারিদমিয়ার বিরদ্ধে কাজ করে। অ্যাগল্যাইয়া রক্সবার্জিয়ানা উদ্ভিদে ট্রাইটারপেনয়েডস জাতীয় রাসায়নিক উপাদান রক্সবার্জিয়েডিওল A এবং B থাকে যা মাস্ট সেলের নিঃসরণ কমিয়ে প্রদাহবিরোধী হিসেবে কাজ করে।
ফার্মাকোকাইনেটিক্স: প্রাণী ও সীমিত সংখ্যক মানুষের উপর পরীক্ষায় দেখা গেছে মাহাদ্রাক্ষারিষ্ট খাওয়ার পর পরিপাকতন্ত্র থেকে শোষিত হয়। এটি ক্ষুদ্রান্ত অতিক্রম করে রক্তে প্রবেশের পর গ্লুকরোনাইড কনজুগেট এ পরিণত হয়। প্রস্রাবে এই ৫টি মেটাবোলাইট পাওয়া যায় এবং ৫৬% সালফেট ও গ্লুকরোনাইড কনজুগেট প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়।
মাহাদ্রাক্ষারিষ্ট হার্টের সু-রক্ষাকারী ক্রিয়াসহ নানাবিধ কার্যকারিতা রয়েছে। এটি কম ঘনত্বের লিপোপ্রোটিনের জারণ, নরম মাংসপেশীর বৃদ্ধি ও অনুচক্রিকা জমাট বাঁধাকে প্রতিহত করে। এছাড়া ইহা ম্যাক্রোফেজ থেকে সুপার অক্সাইড অ্যানায়ন ও হাইড্রোজেন পার অক্সাইড তৈরী শক্তভাবে প্রতিহত করে। এটি নাইট্রিক অক্সাইড বৃদ্ধি করে, ল্যাকটেট ডি-হাইড্রোজেনেজর পরিমান কমায় এবং ইসকেমিয়া রি-পারফিউসন জনিত অ্যারিদমিয়ার বিরদ্ধে কাজ করে। অ্যাগল্যাইয়া রক্সবার্জিয়ানা উদ্ভিদে ট্রাইটারপেনয়েডস জাতীয় রাসায়নিক উপাদান রক্সবার্জিয়েডিওল A এবং B থাকে যা মাস্ট সেলের নিঃসরণ কমিয়ে প্রদাহবিরোধী হিসেবে কাজ করে।
ফার্মাকোকাইনেটিক্স: প্রাণী ও সীমিত সংখ্যক মানুষের উপর পরীক্ষায় দেখা গেছে মাহাদ্রাক্ষারিষ্ট খাওয়ার পর পরিপাকতন্ত্র থেকে শোষিত হয়। এটি ক্ষুদ্রান্ত অতিক্রম করে রক্তে প্রবেশের পর গ্লুকরোনাইড কনজুগেট এ পরিণত হয়। প্রস্রাবে এই ৫টি মেটাবোলাইট পাওয়া যায় এবং ৫৬% সালফেট ও গ্লুকরোনাইড কনজুগেট প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়।
মাত্রা ও সেবনবিধি
দ্রাক্ষার বিদ্যমান মাহাদ্রাক্ষারিষ্ট ই মূলত থেরাপিউটিক্যালি কার্যকরী উপাদান। প্রতি কেজি দৈহিক ওজন হিসেবে মাহাদ্রাক্ষারিষ্ট এর দৈনিক নির্দেশিত মাত্রা ৮ মি.গ্রা.। জলীয় নির্যাস হিসেবে প্রতি ৫ মি.লি. সিরাপে মাহাদ্রাক্ষারিষ্ট আছে ৩৬ মি.গ্রা.। সুতরাং এর দৈনিক নির্দেশিত মাত্রা নিম্নরূপ-
১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে: ১-২ চা চামচ (৫-১০ মি.লি.) দিনে ২ বার খাওয়ার পর ৪-৮ সপ্তাহ ধরে কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
১২ বছরের উপরে এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে: ৩-৪ চা চামচ (১৫-২০ মি.লি.) দিনে ২ বার খাওয়ার পর ৪-৮ সপ্তাহ ধরে কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে: ১-২ চা চামচ (৫-১০ মি.লি.) দিনে ২ বার খাওয়ার পর ৪-৮ সপ্তাহ ধরে কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
১২ বছরের উপরে এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে: ৩-৪ চা চামচ (১৫-২০ মি.লি.) দিনে ২ বার খাওয়ার পর ৪-৮ সপ্তাহ ধরে কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
দ্রাক্ষা রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই রক্ত জমাট বাঁধতে বাঁধাদানকারী ঔষধ যেমন ওয়ারফেরিন, এসপেরিণ, নন-স্টেরয়েডাল এন্টি-ইনফ্লামেটরি ড্রাগস, এসিই ইনহিবিটরস গ্রহনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। পিসিও এসিই ইনহিবিটরস এর কার্যকারিতাকে পরিবর্তন করে দিতে পারে।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
এটি নিরাপদ ও সুসহনীয়। নির্দেশিত মাত্রায় সেবন করলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় না। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা ও অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
চিকিৎসা গবেষণা তথ্যানুযায়ী গর্ভকালীন ও স্তন্যদানকালীন সময়ে এর ব্যবহার কোন সমস্যা সৃষ্টি করে বলে জানা যায়নি অথাপি ব্যবহারের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিৎ।
সতর্কতা
দ্রাক্ষা নিরাপদ ও সুসহনীয় কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ, লিভার ডিজিজ, অ্যালকোহল গ্রহন ও ডায়বেটিসের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন উচিৎ । ল্যাকটোব্যাসিলাস জাতীয় ওষুধ রেভাটল গ্রহনের ২ ঘন্টা আগে বা পরে গ্রহন করা উচিৎ।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Herbal and Nutraceuticals
সংরক্ষণ
আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, শুদ্ধ ও ঠান্ডা স্থানে রাখুন সবল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।