নির্দেশনা

মন্টিলুকাস্ট সোডিয়াম নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে নির্দেশিত-
  • এ্যাজমার আক্রমণ প্রতিরোধে এবং এ্যাজমার ক্রনিক চিকিৎসায়
  • ব্যায়াম জনিত শ্বাসনালীর সংকোচন ও প্রতিরোধে
  • এ্যালার্জিক রাইনাইটিস্ এর উপসর্গ নিরাময়ে: মৌসুমী এ্যালার্জিক রাইনাইটিস্ এবং পেরিনিয়াল এ্যালার্জিক রাইনাইটিস্ রোধে

ফার্মাকোলজি

মন্টিলুকাস্ট মুখে সেবনযোগ্য সিলেকটিভ লিউকোট্রাইন রিসেপ্টর এন্টাগনিস্ট যা সিস্টেইনাইল লিউকোট্রাইন রিসেপ্টরকে প্রতিহত করে। এরাকিডোনিক এসিডের বিপাকীয় দ্রব্য হলো সিস্টেইনাইল লিউকোট্রাইন (এলটিসি৪, এলটিডি৪, এলটিই৪) যা মাস্ট সেল এবং ইয়োসিনোফিল্‌স  সহ বিভিন্ন ধরনের লিউকোট্রাইনের সেল থেকে নির্গত হয়। সিস্টেইনাইল লিউকোট্রাইনের উৎপাদন এবং রিসেপ্টরের সাথে বন্ধন এ্যাজমা এবং এ্যালার্জিক রাইনাইটিস্ এর প্যাথো-ফিজিওলজির সাথে জড়িত (যেমন শ্বাসতন্ত্রের ইডিমা, অনৈচ্ছিক পেশীর সংকোচন) এবং এটি কোষের কার্যকারিতার পরিবর্তন করে, যার ফলে এ্যাজমার লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দেয়।

মাত্রা ও সেবনবিধি

প্রাপ্ত বয়স্ক এবং কিশোর (১৫ বছর এবং এর উর্দ্ধে)
  • এ্যাজমা এবং এ্যালার্জিক রাইনাইটিস্ঃ ১০ মিগ্রা দৈনিক ১ বার
  • ব্যায়াম জনিত শ্বাসনালীর সংকোচনঃ ১০ মিগ্রা দৈনিক ১ বার
শিশু (৬ বছর- ১৪ বছর)
  • এ্যাজমা এবং এ্যালার্জিক রাইনাইটিস্ঃ ৫ মিগ্রা দৈনিক ১ বার
  • ব্যায়াম জনিত শ্বাসনালীর সংকোচনঃ ৫ মিগ্রা দৈনিক ১ বার
শিশু (৬ মাস ৫ বছর)
  • এ্যাজমা এবং এ্যালার্জিক রাইনাইটিস্ঃ ৪ মিগ্রা দৈনিক ১ বার
  • ব্যায়াম জনিত শ্বাসনালীর সংকোচনঃ ৪ মিগ্রা দৈনিক ১ বার
এ্যাজমা এবং এ্যালার্জিক রাইনাইটিস্ এ আক্রান্ত রোগীদের জন্য প্রতিদিন রাতে ১ টি এবং ব্যায়াম জনিত শ্বাসনালীর সংকোচন প্রতিরোধে ব্যায়ামের কমপক্ষে ২ ঘন্টা আগে ১ টি করে ট্যাবলেট সেবন করা উচিত।

সেবন করার পদ্ধতিঃ মুখে সেবন যোগ্য। মন্টিলুকাস্ট খাবার আগে বা পরে যেকোন সময় খাওয়া যায় অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

ওষুধের সাথে: অন্যান্য ওষুধ যেমন-থিওফাইলিন, প্রেডনিসোলন, প্রেডনিসন, টারফিনাডিন, ওরাল কন্ট্রাসেপটিভস্, জেমফাইব্রোজিল, ইট্রাকোনাজল, ডিগক্সিন, ওয়ারফেরিন, ডিকনজেসটেন্ট, থাইরয়েড হরমোন, সিডেটিভ-হিপনোটিক, নন-স্টেরয়ডাল এন্টি-ইনফ্লামেটরি এজেন্ট, বেনজোডায়াজেপিন, এবং সাইটক্রোম P450 এনজাইম ইনডিউসার এর ক্ষেত্রে মাত্রা সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই।

খাদ্য ও অন্যান্য: খাদ্য ও অন্যান্য কিছুর সাথে বায়োএভেইলিবিলিটি এর উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন হয় না।

প্রতিনির্দেশনা

মন্টিলুকাস্ট কিংবা এর যে কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীদের জন্য এটি প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সাধারণ: ডায়রিয়া, জ্বর, পরিপাকতন্ত্রের অস্বস্তি, মাথাব্যথা, বমিবমি ভাব, বমি, ত্বকের বিরুপ প্রতিক্রিয়া, উর্ধ্ব শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ।

অস্বাভাবিক: স্নায়ুবিক যন্ত্রণা, দুশ্চিন্তা, পেশীর বেদনা, দুর্বলতা, অস্বাভাবিক আচরণ, হতাশা, মাথা ঘোরা, তন্দ্রাচ্ছন্নতা, মুখ শুষ্কতা,
রক্তক্ষরণ, বিরক্তিভাব, অসুস্থতাবোধ, মাংস পেশীর বেদনা, ফুলেওঠা, খিঁচুনি, অস্বাভাবিক অনুভূতি, ঘুমের সমস্যা।

বিরল: এনজিওডিমা, মনোযোগহীনতা, ফ্যাকাশে ভাব, ইয়োসিনোফিলিক গ্রানুলোমেটোসিস্ এবং পলিঙ্গাইটিস্, ইরিথেমা নোডাসাম, হ্যালুসিনেশন, লিভারের সমস্যা, সৃত্মিলোপ, বুক ধড়ফড় করা, পালমোনারী ইউওসিনোফেলিয়া, আত্মহত্যার প্রবণতা, শারীরিক কম্পন।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত এবং সুনিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি। একান্ত প্রয়োজনীয় বিবেচিত হলে গর্ভাবস্থায় মন্টিলুকাস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। মন্টিলুকাস্ট মাতৃদুগ্ধে নিঃসরিত হয়। দুগ্ধদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে মন্টিলুকাস্ট সেবনে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

সতর্কতা

মন্টিলুকাস্ট স্টেটাস এ্যাজমাটিকাসসহ তীব্র এ্যাজমা সংক্রমণে ব্যবহার করা যায় না। নিউরো-সাইকিয়াট্রিক ঘটনাগুলোর মধ্যে উত্তেজনা, বৈরীতা, উদ্বিগ্নতা, হতাশা, বিভ্রান্তি, মনোযোগহীনতা, দুঃস্বপ্ন, হ্যালুসিনেশন, অনিদ্রা, বিরক্তি, স্মৃতিলোপ, অস্থিরতা, স্বপ্নচারিতা, আত্মঘাতি চিন্তা ও আচরণ (আত্মহত্যা) এবং কম্পন পরিলক্ষিত হয়।

মাত্রাধিক্যতা

অধিকাংশ ক্ষেত্রে মাত্রাধিক্যের নির্দিষ্ট তথ্য ও উপাত্ত পাওয়া যায়নি। প্রায়ই ঘটে, এমন বিরূপ অভিজ্ঞতাগুলি মন্টিলুকাস্টের নিরাপত্তা চিত্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং এতে পেট ব্যথা, তন্দ্রাচ্ছন্নতা, তৃষ্ণা, মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং সাইকোমোটর হাইপার একটিভিটি পরিলক্ষিত হয়। মাত্রাধিক্যের ক্ষেত্রে, প্রয়োজন হলে সাধারণ সহায়ক ব্যবস্থাসমূহ, যেমন-পরিপাকতন্ত্র থেকে অশোধিত পদার্থ অপসারণ, ক্লিনিক্যাল পর্যবেক্ষণ এবং সহায়ক চিকিৎসা প্রয়োগ করা উচিত।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Leukotriene receptor antagonists

সংরক্ষণ

৩০° সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার নিচে আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ঠাণ্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন। সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

রাসায়নিক গঠন

Molecular Formula : C35H36ClNO3S
Chemical Structure : Chemical Structure of Montelukast Sodium

সাধারণ প্রশ্নাবলী

Biomonas 10 mg ট্যাবলেট কী?

Biomonas 10 mg ট্যাবলেট সাধারণত হাঁপানি বা এলার্জিক রাইনাইটিস চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি শরীরে লিউকোট্রিন নামক পদার্থের কার্যকলাপে বাধা প্রদান করে শ্বাসনালীতে শ্বাস চলাচল স্বাভাবিক রাখে এবং শ্বাস নিতে সহায়তা করে।

Biomonas 10 mg ট্যাবলেট এর সাধারণ ব্যবহারগুলি কি কি?

  • হাঁপানি: এটি প্রাপ্তবয়স্ক এবং ২ বছরের অধিক বয়সী শিশুদের হাঁপানির আক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং দীর্ঘস্থায়ী লক্ষণ নিয়ন্ত্রণ করে।
  • এলার্জি: মৌসুমী বা সাধারন এলার্জির লক্ষণ উপশম করে।
  • ব্যায়ামের ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা: ব্যায়ামের ফলে ঘটিত শ্বাসকষ্ট লাঘব করে।

Biomonas 10 mg ট্যাবলেট এর কার্যকারিতা কত তাড়াতাড়ি অনুভূত হয়?

এই ঔষধ খাওয়ার ১-৩ ঘণ্টার পরে এর কার্যকারিতা অনুভূত হতে পারে।

Biomonas 10 mg ট্যাবলেট এর কার্যকারিতা কতক্ষণ স্থায়ী হয়?

এই ঔষধের কার্যকারিতা গড়ে ২৪ ঘণ্টা স্থায়ী হয়।

Biomonas 10 mg ট্যাবলেট কি খালি পেটে সেবন করা যাবে?

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী, এই ঔষধ খাবার আগে বা পরে খাওয়া যেতে পারে।

Biomonas 10 mg ট্যাবলেট এর ডোজ মিস হয়ে গেলে কি করব?

যদি কোনো ডোজ মিস করেন, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খেয়ে নিন। তবে যদি পরবর্তী ডোজ এর সময় প্রায় হয়ে যায়, তাহলে সেই ডোজটি না নিয়ে পরের ডোজ সেবন করুন। দুই ডোজ একসাথে খাবেন না।

গর্ভবতী অবস্থায় Biomonas 10 mg ট্যাবলেট সেবনে কোনো সতর্কতা আছে কি?

অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া গর্ভবতী মায়েদের এই ঔষধ এড়িয়ে চলা উচিত।

সাধারণ নির্দেশাবলি

  • ডাক্তার এর নির্দেশ মেনে Biomonas 10 mg ট্যাবলেট সেবন করুন।
  • আপনার ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ডোজ পরিবর্তন করবেন না বা হাঁপানির ঔষধ সেবন বন্ধ করবেন না।
  • Biomonas 10 mg ট্যাবলেট হাঁপানি আক্রমণের জন্য দ্রুত কার্যকারী ঔষধ নয়। যদি আপনার শ্বাসকষ্টের সমস্যা দ্রুত খারাপ হয় বা মনে হয় আপনার ঔষধ কাজ করছে না, তাহলে দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা নিন।
  • এমন পরিস্থিতি বা কার্যকলাপ এড়িয়ে চলুন যা হাঁপানি আক্রমণের সূত্রপাত করতে পারে।
  • গর্ভবতী অবস্থায় বা স্তন্যপান করানো মায়েরা Biomonas 10 mg ট্যাবলেট সেবন করার আগে ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। আপনার জন্য এটি নিরাপদ কিনা তা নির্ধারণে আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন ডাক্তার।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন