Unit Price: ৳ 7.00 (3 x 10: ৳ 210.00)
Strip Price: ৳ 70.00
This medicine is unavailable

নির্দেশনা

ইহা নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
  • আর্টারিওস্ক্লেরােটিক অথবা ডায়াবেটিস জনিত পার্শ্বীয় ধমনীর রক্তপ্রবাহ রােধকারী রােগ (PAOD) যেমন- পায়ের পাতায় থেমে থেমে চলতে থাকা ব্যথা।
  • পায়ের ক্ষত যেমন- পায়ের আলসার এবং পঁচন ধরা।
  • সেরিব্রাল রােগ (মস্তিস্কের রক্ত সংবহনতন্ত্রের রােগ)।
  • রক্তসংবহন তন্ত্রের ক্ষয় জনিত চোখের রক্ত সংবহনজনিত সমস্যা।

ঔষধের মাত্রা

সাধারণ সংবহনতন্ত্রের রােগের ধরণ ও তার তীব্রতার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন রােগীর জন্য বিভিন্ন মাত্রায় প্রয়ােগ করা হয়। সাধারণত ৪০০ মিগ্রা পেণ্টক্সিফাইলিন দিনে ২ থেকে ৩ বার সেব্য।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন

সেবনবিধি

সম্পূর্ণ ট্যাবলেটটি খাদ্য গ্রহণের সময় অথবা খাদ্য গ্রহন শেষ করার পরপরই পর্যাপ্ত পানিসহ (অন্তত ১/২ গ্লাস) সেবন করতে হবে।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

ব্যবহারের পূর্বে সতর্কতাঃ যদি কোন রােগী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনকারী ওষুধ বা ইনসুলিন প্রয়ােগ করে থাকেন একং একই সাথে পেণ্টক্সিফাইলিন সেবন করে থাকেন সেক্ষেত্রে রক্তে গ্লুকোজের (শর্করার) মাত্রা কম যেতে পারে। তাই এ সকল রােগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়ােজন।

একই সাথে পেণ্টক্সিফাইলিন ও ভিটামিন কে রােধী ওষুধ সেবন করলে এটি রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরােধী কার্যকারীতাকে বাড়িয়ে দেয়। তাই এসব ক্ষেত্রে রােগীর রক্ত জমাট বাঁধা প্রক্রিয়া সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষন করা প্রয়ােজন।

বিশেষ ভাবে বিবেচ্য বিষয়ঃ উচ্চ রক্তচাপরােধী ওষুধের সাথে পেণ্টক্সিফাইলিন সেবন করলে রােগীর নিম্নরক্তচাপ ঘটার প্রবণতা পেণ্টক্সিফাইলিন এবং থিয়ােফাইলিন, একত্রে সেবন করলে কিছু কিছু রােগীর ক্ষেত্রে বেড়ে যায়।

পেণ্টক্সিফাইলিন এবং সিপ্রােফ্লক্সাসিন একত্রে সেবন করলে কিছু কিছু রােগীর ক্ষেত্রে রক্তে থিয়ােফাইলিনের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে থিয়ােফাইলিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

পেণ্টক্সিফাইলিন এবং সিপ্রােফ্লক্সাসিন একত্রে সেবন করলে কিছু কিছু রােগীর ক্ষেত্রে রক্তে পেণ্টক্সিফাইলিন মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে তীব্র পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে।

অধিক রক্তক্ষরণের ঝুঁকির কারণে প্লাটিলেট এ্যাগ্রিগেশন প্রতিরােধী ওষুধ (যেমন- ক্লোপিডােগ্রেল, এপ্টিফাইবাটাইড, টিরােফিবান, ইপােপ্রােস্টিনল, আইলােপ্রস্ট, এ্যাবিক্সিমাব, এ্যানাগ্রেলাইড, কক্স-২ প্রতিবন্ধক ব্যাতিত ব্যথানাশক ওষুধ, এ্যাসিটাইল স্যালিসাইলেটস, টিক্লোপিডিন, ডাইপইরডামল), এর সাথে পেন্টক্সিফাইলিন একত্রে সেবন করলে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। সিমিটিডিন ও পেণ্টক্সিফাইলিন একত্রে সেবন করলে রক্তে পেণ্টক্সিফাইলিন ও এর সক্রিয় মেটাবােলাইটে-১ এর মাত্রা বেড়ে যায়।

প্রতিনির্দেশনা

নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে ওষুধটি ব্যবহার করা যাবে না-
  • পেণ্টক্সিফাইলিন, মিথাইল জ্যান্থিন অথবা পেণ্টক্সিফাইলিনে ব্যবহৃত যেকোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে
  • যে সকল রােগীর উচ্চমাত্রায় রক্তক্ষরণ হচ্ছে বা রক্তক্ষরণ বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়েছে।
  • যে সকল রােগীর চোখের রেটিনাতে উচ্চমাত্রায় রক্তক্ষরণ হচ্ছে বা রক্তক্ষরণ বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়েছে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা পােস্ট মার্কেটিং স্টাডিতে যে সকল বিরূপ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়েছে-

  • পরীক্ষা নিরিক্ষাঃ রক্তে ট্রান্স এ্যামাইনেজের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। নিম্ন রক্তচাপ।
  • কার্ডিয়াক / হৃদরােগ সংক্রান্ত সমস্যাঃ হৃদপিন্ডের অনিয়মিত স্পন্দন, হৃদপিন্ডের দ্রুত স্পন্দন, শ্বাসরােধী বুক ব্যথা।
  • রক্ত এবং লসিকানালী সংক্রান্ত রােগঃ রক্তে থ্রোম্বােসাইটের পরিমাণ কমে যাওয়া, শ্বেত রক্ত কণিকার পরিমাণ কমে যাওয়া, নিউট্রোফিলের পরিমাণ কমে যাওয়া।
  • স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যাঃ নিদ্রালুতা, মাথা ব্যথা, মেনিনজাইটিস।
  • পরিপাকতন্ত্রের সমস্যাঃ পরিপাকতন্ত্রের অস্বস্তি, পাকস্থলির প্রদাহ, পেট ফাঁপা, বমি, বমিবমি ভাব, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, অতিরিক্ত লালা নিঃসরণ।
  • ত্বক এবং ত্বকের নিচের কলার সমস্যাঃ চুলকানি, র‍্যাশ, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া।
  • রক্ত সংবহন সংক্রান্ত সমস্যাঃ মুখমন্ডলের ত্বকে হঠাৎ জ্বালাপােড়া অনুভব করা, রক্তক্ষরণ।
  • ইমিউনি সিস্টেম (রােগ প্রতিরােধ) সংক্রান্ত সমস্যাঃ এ্যানাফাইলাক্টিক বা এ্যানাফাইল্যাক্টয়েড জাতীয় তীব্র সংবেদনশীল এ্যালর্জিক প্রতিক্রিয়া, শ্বাসনালীতে পানি জমা হওয়া ও প্রদাহ, এ্যানাফাইলাক্টিক শক্।
  • হেপাটোবিলিয়ারি (যকৃত) সংক্রান্ত সমস্যাঃ কোলেস্ট্যাসিস
  • মানসিক সমস্যাঃ অস্থিরতা, অনিদ্রা

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায় ব্যবহারের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত কোন তথ্য পাওয়া যায় নাই। তাই গর্ভাবস্থায় পেণ্টক্সিফাইলিন সেবন করা উচিত নয়। মাতৃদুগ্ধে পেণ্টক্সিফাইলিন স্বল্প মাত্রায় নিঃসৃত হয়। তাই স্তন্যদানকালে পেণ্টক্সিফাইলিন এড়িয়ে চলা উচিত যদি না এটির ব্যবহারে ভ্রণের ক্ষতির ঝুঁকির চেয়ে মায়ের উপকার বেশি প্রতিয়মান হয়।

সতর্কতা

এ্যানাফাইলাক্টিক বা এ্যানাফাইল্যাক্টয়েড জাতীয় তীব্র সংবেদনশীল এ্যালর্জিক প্রতিক্রিয়ার কোন ধরণের লক্ষণ পরিলক্ষিত হলেই পেণ্টক্সিফাইলিন দিয়ে চিকিৎসা বন্ধ রাখতে হবে অথবা চিকিৎসককে বিষয়টি অবহিত করতে হবে। নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়ােজন:
  • যে সকল রােগীর মারাত্মক অনিয়মিত হৃদস্পন্দন জনিত সমস্যা রয়েছে।
  • মায়ােকার্ডিয়াল ইনফার্কশনে (হৃদপিন্ডের আন্তঃত্বকে রক্ত সঞ্চালন জনিত সমস্যা) ভুগছেন এমন রােগীদের ক্ষেত্রে।
  • যে সকল রােগীর নিম্নরক্তচাপ জনিত সমস্যা রয়েছে
  • যে সকল রােগীদের বৃক্কের অকার্যকারীতা রয়েছে (ক্রিয়াটিনিনি ক্লিয়ারেন্স ৩০ মিলি/মিনিট এর কম) তাদের ক্ষেত্রে
  • যে সকল রােগী যকৃতের তীব্র সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে
  • রক্তক্ষরণ বৃদ্ধি পেলে।
  • যে সকল রােগী পেণ্টক্সিফাইলিন এর সাথে ভিটামিন কে রােধী ওষুধ অথবা রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরােধী ওষুধ সেবন করছেন।
  • পেণ্টক্সিফাইলিন এর সাথে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ওষুধ সেবনকারী রােগী।
  • পেণ্টক্সিফাইলিন এর সাথে সিপ্রােফ্লক্সাসিন সেবনকারী রােগী।
  • পেণ্টক্সিফাইলিন এর সাথে থিয়ােফাইলিন সেবনকারী রােগী।

বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার

যকৃতের সমস্যায়: যে সকল রােগী যকৃতের তীব্র সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে ওষুধের মাত্রা কমানাে উচিত।

বৃক্কের অকার্যকারীতার সমস্যায়: যে সকল রােগীদের বৃক্কের অকার্যকারীতা রয়েছে (ক্রিয়াটিনিনি ক্লিয়ারেন্স ৩০ মিলি/ মিনিট এর কম) তাদের ক্ষেত্রে ওষুধের মাত্রা ৩০% থেকে ৫০% পর্যন্ত কমানাের প্রয়ােজন হতে পারে।

অন্যান্য: যে সকল রােগীর নিম্ন রক্তচাপ জনিত সমস্যা রয়েছে (যেমন- রক্ত সংবহন জনিত মারাত্মক হৃদপিন্ডের রােগ বা মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী রােগ) তাদের ক্ষেত্রে ওষুধের মাত্রাটি ধীরে ধীরে বাড়ানাে উচিত।

মাত্রাধিক্যতা

প্রাথমিক ভাবে বমিবমি ভাব, ঝিমুনি, হৃদস্পন্দন কমে যাওয়া, নিম্ন রক্তচাপ পরিলক্ষিত হয়। এছাড়াও জ্বর, উত্তেজনা, মুখমন্ডলে হঠাৎ গরম অনুভুতি, অবচেতন হয়ে যাওয়া, অনুভুতিহীনতা, খিচুনি, পরিপাকতন্ত্রের রক্তক্ষরনের উপসর্গ যেমন- রক্ত বমি হওয়া। কোন ধরনের নির্দিষ্ট এ্যান্টিডােট জানা নেই। দূর্ঘটনাজনিত মাত্রাতিরক্ততার ক্ষেত্রে প্রয়ােজন অনুযায়ী দ্রুত প্রতিরােধ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত যেন ওষুধটি রক্তে পৌছতে না পারে যেমন- পাকস্থলি ধৌতকরা, মেডিসিনাল চারকোল প্রয়ােগ।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Peripheral Vasodilator drugs: Intermittent Claudication

সংরক্ষণ

আলাে থেকে দূরে, ঠান্ডা ও শুস্ক স্থানে রাখুন। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহার করবেন না। সমস্ত ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। শুধুমাত্র রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী বিতরণযােগ্য।