নির্দেশনা
কারিপা নিম্ন বর্ণিত রােগসমূহে নির্দেশিত-
- থ্রম্বােসাইটোপেনিয়া ( প্লাটিলেট সংখ্যা কমে যাওয়া ) যা ডেঙ্গুজ্বর দ্বারা উদ্ভুত।
- থ্রম্বােসাইটোপেনিয়া ( প্লাটিলেট সংখ্যা কমে যাওয়া ) যা কেমােথেরাপি হতে সংঘটিত।
- খাবারের রুচি বাড়ায়
- হজমে সহায়ক
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- পাকস্থলি ও কোলনের প্রদাহ কমায়
- যকৃত পরিষ্কার রাখে
- রােগপ্রতিরােধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- ব্রণ দূর করে
- সুস্থ্য ও সুন্দর ত্বক নিশ্চিত করে
- মাসিকের ব্যথা দূর করে।
ফার্মাকোলজি
কারিকা পাপায়া উদ্ভিদ গােত্রের কারিকাসিয়া গণ এর অন্তর্গত বাণিজ্যিকভাবে বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল জাতীয় ফসল। প্রচুর গবেষণা হয়েছে এই উদ্ভিদটির বিভিন্ন অংশের কার্যকারিতা নিয়ে যেমন- পাতা, ফল, ফলের খােসা, বীজ, কান্ড, মূল ও তরুক্ষীরের। বিবেচনা করা হয় যে পেঁপে পাতা নন- টক্সিক কারণ এর লিথাল ডােজ হচ্ছে >১৫ গ্রাম/বডি ওয়েট।
ইঁদুরের উপর প্রিক্লিনিক্যাল স্টাডিতে দেখা গিয়েছে পেঁপে পাতার গুড়া রক্তের প্লাটিলেট বাড়ানােয় উৎসাহব্যাঞ্জক কার্যকারিতা দেখায়। সাম্প্রতিক কালের ইন-ভিট্রো (ল্যাবরেটরি) গবেষণায় দেখা গিয়েছে কারিকা পাপায়া লিফ এক্সট্র্যাক্ট উল্লেখযােগ্যভাবে হেমােলাইসিস বন্ধ করে এর মেমব্রেইন স্ট্যাবিলাইজিং সামর্থ্যের মাধ্যমে।
ইঁদুরের উপর প্রিক্লিনিক্যাল স্টাডিতে দেখা গিয়েছে পেঁপে পাতার গুড়া রক্তের প্লাটিলেট বাড়ানােয় উৎসাহব্যাঞ্জক কার্যকারিতা দেখায়। সাম্প্রতিক কালের ইন-ভিট্রো (ল্যাবরেটরি) গবেষণায় দেখা গিয়েছে কারিকা পাপায়া লিফ এক্সট্র্যাক্ট উল্লেখযােগ্যভাবে হেমােলাইসিস বন্ধ করে এর মেমব্রেইন স্ট্যাবিলাইজিং সামর্থ্যের মাধ্যমে।
মাত্রা ও সেবনবিধি
প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে: ২৫০ মিগ্রা ক্যাপসুলের নির্দেশিত মাত্রা হচ্ছে প্রতিদিন ১-২ টি ক্যাপসুল দিনে ২-৩ বার ৫-১২ দিন পর্যন্ত।
১-৫ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে: ১ চা চামচ (৫ মি.লি.) দিনে ৩ বার ৫ দিন পর্যন্ত কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
৫-১৮ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে: ২ চা চামচ (১০ মি.লি.) দিনে ৩ বার ৫ দিন পর্যন্ত কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
১৮ বছরের উপরে এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে: ৩ চা চামচ (১৫ মি.লি.) দিনে ৩ বার ৫ দিন পর্যন্ত কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
১-৫ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে: ১ চা চামচ (৫ মি.লি.) দিনে ৩ বার ৫ দিন পর্যন্ত কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
৫-১৮ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে: ২ চা চামচ (১০ মি.লি.) দিনে ৩ বার ৫ দিন পর্যন্ত কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
১৮ বছরের উপরে এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে: ৩ চা চামচ (১৫ মি.লি.) দিনে ৩ বার ৫ দিন পর্যন্ত কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
কারিকা পাপায়া লিফ এক্সট্র্যাক্ট যদি অ্যামিওডারােন এর সঙ্গে একত্রে ব্যবহার করা হয় তাহলে অ্যামিওডারােন এর বায়ােএভেইলেবিলিটি বেড়ে যায় তাই ঔষধটির মাত্রা সমন্বয় করতে হবে। ইন-ভিট্রো (ল্যাবরেটরি) গবেষণায় দেখা গিয়েছে একত্রে কারিকা পাপায়া লিফ এক্সট্র্যাক্ট ও বিভিন্ন এন্টিবায়ােটিক সমূহ যেমনঃ পেনিসিলিন জি, এম্পিসিলিন, এমক্সিক্লাভ, সেফালােথিন, পলিমক্সিন বি, রিফাম্পিসিন, অ্যামিকাসিন, নালিডিক্সিক এসিড, জেন্টামাইসিন, ক্লোরামফেনিকল, ওফ্লক্সাসিন সেবন করলে উল্লিখিত এন্টিবায়ােটিক সমূহের কার্যকারিতা বেড়ে যায়। কারিকা পাপায়া লিফ এক্সট্র্যাক্ট ও এন্টিমাইক্রোবিয়াল এজেন্ট একসঙ্গে সেবন করলে তা জীবাণুর বিরুদ্ধে সিনার্জিস্টিক একশন দেখায়।
প্রতিনির্দেশনা
অতিসংবেদনশীলতা, গর্ভধারণ। পুরুষদের ক্ষেত্রে যাদের প্রােস্টেট জটিলতা রয়েছে যেমনঃ BPH অথবা প্রােস্টেট ক্যান্সার , তাদের জন্য কারিকা পাপায়া লিফ এক্সট্র্যাক্ট প্রতিনির্দেশিত, যেহেতু এতে করে আয়রণ এর শােষণ বাড়ে। অতিরিক্ত আয়রণ অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়াতে পারে বিশেষ করে বয়স্ক পুরুষদের ক্ষেত্রে। আয়রণের ওভারলােড প্রােস্টেট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও বাড়াতে পারে।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
নির্দেশিত মাত্রায় সেবন করলে কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে কারিকা পাপায়া লিফ এক্সট্র্যাক্টের ব্যবহার অনুমােদিত নয়।
সতর্কতা
অ্যাসপিরিন এবং ওয়ারফারিন জাতীয় রক্ত তরল করার ঔষধ ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। একটি প্রাণীগবেষণায় দেখা গেছে যে কারিকা পাপায়া লিফ এক্সট্র্যাক্ট যদি ওরাল হাইপােগ্লাইসেমিক কোনাে ঔষধের সঙ্গে ব্যবহার করা হয় তাহলে রক্তে গুকোজ এর মাত্রা অনেক কমে যেতে পারে। তাই রােগীর রক্তের গ্লুকোজ এর মাত্রা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেন হাইপােগ্লাইসেমিয়া এড়ানাে যায়।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Herbal and Nutraceuticals
সংরক্ষণ
আলাে এবং আর্দ্রতা থেকে দূরে ৩০° সে. তাপমাত্রার নীচে সংরক্ষণ করুন। সরাসরি সূর্যালোক এবং আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখুন। তাপমাত্রা ৩০° সেলসিয়াসের নিচে, শীতল এবং শুকনো জায়গায় রাখুন। ওষুধটি শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।