Unit Price: ৳ 18.00 (3 x 10: ৳ 540.00)
Strip Price: ৳ 180.00

নির্দেশনা

ক্যামলর নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
  • তীব্র হালকা থেকে মাঝারি ব্যথার স্বল্পমেয়াদী উপশম,
  • অস্টিওআর্থাইটিস ও রিউমাটয়েড আর্থাইটিস এর ব্যথা এবং
  • প্রদাহের লক্ষণীয় নিরাময়ে নির্দেশিত।

ফার্মাকোলজি

লরনোক্সিক্যাম হল একটি নন-স্টেরয়ডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ (এনএসএআইডি) এবং অক্সিকাম শ্রেণীর অ্যান্টি রিউমেটিক ঔষধ। এটি তীব্র হালকা থেকে মাঝারি ব্যথা, রিউমাটয়েড আর্থাইটিস এবং অস্টিও আর্থাইটিসের লক্ষন যেমন ব্যথা এবং জয়েন্টসমূহের প্রদাহের স্বল্প মেয়াদী চিকিৎসার উদ্দেশ্যে নির্দেশিত। লরনোক্সিক্যামের কার্যপ্রক্রিয়া প্রধানত প্রোস্টাগ্লান্ডিন সংশ্লেষণের (সাইক্লোঅক্সিজেনেস এনজাইমের বাধা) প্রতিরোধের সাথে সম্পর্কিত যা পেরিফেরাল নোসিসেপ্টর গুলোর অসংবেদনশীলতার দিকে পরিচালিত করে এবং ফলস্বরূপ প্রদাহকে বাধা দেয়।

মাত্রা ও সেবনবিধি

তীব্র ব্যথা: প্রতিদিন ৮-১৬ মি.গ্রা. লরনোক্সিক্যাম ২ বা ৩ ভাগে নির্দেশিত। সর্বাধিক অনুমোদিত দৈনিক ডোজ হল ১৬ মি.গ্রা.।

অস্টিওআর্থ্রাইটিস এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস: প্রাথমিক অনুমোদিত ডোজ হল ১২ মি.গ্রা. লরনোক্সিক্যাম দৈনিক ২ বা ৩ ভাগে নির্দেশিত। দীর্ঘমেয়াদি সেবনে এর মাত্রা প্রতিদিন ১৬ মি.গ্রা.এর বেশি হওয়া উচিত নয়।

শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালে ব্যবহার: নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতার তথ্যের অভাবের কারণে ১৮ বছরের কম বয়সী কিশোর-কিশোরীদের ব্যবহারের জন্য লরনোক্সিক্যাম অনুমোদিত নয়।

বয়স্কদের জন্য: ৬৫ বছরের বেশি বয়সী রোগীদের জন্য কোনও বিশেষ ভোজ পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই, তবে লরনোক্সিক্যাম সতর্কতার সাথে সেবন করা উচিত কারণ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল বিরূপ প্রতিক্রিয়া এই গ্রুপে সহনীয় নয়।

রেনাল অকার্যকারিতায়: হালকা থেকে মাঝারি রেনাল অকার্যকর রোগীদের জন্য সর্বাধিক অনুমোদিত দৈনিক ডোজ ১২ মি.গ্রা. যা ২ বা ৩ ভাগে নির্দেশিত।

হেপাটিক অকার্যকারিতায়: মাঝরি হেপাটিক অকার্যকর রোগীদের জন্য সর্বাধিক অনুমোদিত দৈনিক ডোজ হল ১২ মি.গ্রা. যা ২ বা ৩ ভাগে নির্দেশিত। অপ্রত্যাশিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সমূহ প্রশমনের ক্ষেত্রে কম মাত্রার ডোজ স্বল্পসময়ের জন্য গ্রহন করা যেতে পারে।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

ভিটামিন কে এন্টাগনিস্ট যেমন: ওধারাফরিনের সাথে লরনেক্সিক্যাম এর যুগপৎ ব্যবহার রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায়। সাইক্লোপরিনের সাথে যুগপৎ ব্যবহারে কিডনির কার্যকারিতা হ্রাস হতে পারে এবং কদাচিৎ তীব্র কিডনি ইনজুরি হতে পারে। এছাড়াও ক্যামলর লিথিয়াম, মেথোট্রেক্সেট, ডিগক্সিন ও এর ডেরিভেটিভের বিরূপ প্রতিক্রিয়াগুলি বৃদ্ধি করে। হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে মূত্রবর্ধক, এ সি ই ইনহিবিটর ও এনজিওটেনসিন ২ রিসেপ্টর এন্টাগনিস্টের প্রভাব হ্রাস করে।

প্রতিনির্দেশনা

লরনোক্সিক্যাম বা এর যেকোন উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা, পেপটিক আলসার, গুরুতর হেপাটিক অকার্যকারিতা, গুরুতর রেনাল অকার্যকারিতা (সিরাম ক্রিয়েটিনিন >৭০০ মাইক্রো মোল/লি.), থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া এবং গর্ভাবস্থার তৃতীয় ট্রাইমেস্টার।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

এন এস এ আই ডি এর সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত স্বাভাবিক বিরুপ প্রতিক্রিয়া সমূহ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনে লক্ষ্য করা যায়। পেপটিক আলসার, পারফরেশন বা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রক্তপাত, কখনও মারাত্মক ভাবে বয়স্কদের মধ্যে ঘটতে পারে। বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্ষুধামন্দা, পেটে ব্যথা, মেলায়না, হেমাটেমেসিস, আলসারেটিভ স্টোমাটাইটিস, কোলাইটিস এর বৃদ্ধি এবং ক্রোহনস ডিজিজ এর মত লক্ষনসমূহ এন এস এ আই ডি এর প্রয়োগের পরে পরিলক্ষিত হয়।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

লরনোক্সিক্যাম গর্ভাবস্থার তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে প্রতিনির্দেশিত। এছাড়াও প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার এবং প্রসবের সময় গর্ভাবস্থায় পরলেক্সিক্যাম ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ গর্ভধারণের সময় কালের কোন ক্লিনিকাল ডেটা পাওয়া যায় না। লরনোক্সিক্যাম মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয় এমন কোন ডাটা পাওয়া যায়নি। লরনোক্সিক্যাম প্রাণীর মাতৃদুগ্ধে তুলনামূলক ভাবে বেশি মাত্রায় নিঃসৃত হয়। সুতরাং, পরনোক্সিক্যাম স্তন্যদানকালে ব্যবহার করা উচিৎ নয়।

সতর্কতা

কিডনির অকার্যকারিতার রোগীদের ক্ষেত্রে, উচ্চ রক্তচাপ বা হার্ট ফেইলিউরের ইতিহাস থাকলে, আলসারেটিভ কোলাইটিস বা ক্রোন রোগ, রক্তপাতের প্রবণতার কিংবা হাঁপানির ইতিহাস থাকলে এবং এস এল ই (সিস্টেমিক লুপাস এরিথেমাটোসাস, একটি বিরল ইমিউনোলজিকাল রোগ) এবং বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা চলছে এমন মহিলাদের ক্যামলর সাবধানে গ্রহণ করা উচিত।

মাত্রাধিক্যতা

এখন পর্যন্ত, অতিরিক্ত মাত্রায় সেবনের কোন অভিজ্ঞতা পরিলক্ষিত না হওয়াতে ওভারডোজ এর সুনির্দিষ্ট পরিমাপক অথবা ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অন্যথায় এটা আশা করা যেতে পারে যে ধরনোক্সিক্যাম অতিরিক্ত মাত্রায় সেবনের ফলে, নিম্নবর্ণিত লক্ষণগুলি দেখা যেতে পারে যেমন। বমি বমি ভাব, বমি, সেরিব্রাল লক্ষণ (মাথা ঘোরা, দৃষ্টিতে ব্যাঘাত)। এক্ষেত্রে প্রকৃত বা অনুমিত মাত্রাধিক্য ডোজের ক্ষেত্রে ক্যামলর প্রত্যাহার করা উচিৎ। ক্যামলর এর সংক্ষিপ্ত হাফ লাইফ এর কারণে এটি দ্রুত নির্গত হয়। ক্যামলর ডায়ালাইসেবল নয়। কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষেধক আজ অবধি জানা যায়নি। জরুরী ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে পাকস্থলী খালি করা যেতে পারে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Non-steroidal Anti-inflammatory Drugs (NSAIDs)

সংরক্ষণ

৩০°সে. তাপমাত্রার নিচে রাখুন। আলো ও আর্দ্রতা থেকে রক্ষা করুন। সকল ঔষধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
Pack Image of Camlor 4 mg Tablet Pack Image: Camlor 4 mg Tablet