Unit Price:
৳ 3.00
(3 x 10: ৳ 90.00)
Strip Price:
৳ 30.00
Also available as:
নির্দেশনা
কুয়েটিয়াপিন সিজোফ্রেনিয়াসহ তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী সাইকোসিসের চিকিৎসায়, বাইপোলার ডিসঅর্ডার যেমন ম্যানিয়া পর্বসমূহ সম্পৃক্ত বাইপোলার ডিসঅর্ডার যা ডিএসএম-৪ এর বৈশিষ্ট্য মতে ম্যানিক পর্বসমূহ, বিষাদগ্রস্থ পর্বসমূহ সম্পৃক্ত বাইপোলার ডিসঅর্ডার এবং ম্যানিক, বিষাদগ্রস্থ অথবা মিশ্র পর্বসমূহের পুনরাবৃত্তির প্রতিরোধে, মুড স্ট্যাবিলাইজারের সাথে যুগপৎভাবে, বাইপোলার ১ ডিসঅর্ডারের ধারাবাহিক চিকিৎসায় নির্দেশিত।
মাত্রা ও সেবনবিধি
সিজোফ্রেনিয়াসহ তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী সাইকোসিসে: কুয়েটিয়াপিন দৈনিক দুইবার করে খাবারের সাথে অথবা খাবারবিহীন অবস্থায় সেবন করা উচিত। প্রথম চারদিনের চিকিৎসায় দৈনিক মোট মাত্রা হচ্ছে ৫০মিগ্রা (১ম দিন), ১০০ মিগ্রা (২য় দিন), ২০০ মিগ্রা (৩য় দিন) এবং ৩০০ মিগ্রা (৪র্থ দিন)। ৪র্থ দিন থেকে পরবর্তী দিনগুলোতে দৈনিক ৩০০-৪৫০ মিগ্রা সাধারণ কার্যকরী মাত্রা সীমা হিসেবে ট্রাইট্রেট করা উচিত। যাহোক, রোগীর চিকিৎসায় সাড়া দেওয়া এবং সহনশীলতার উপর নির্ভর করে দৈনিক ১৫০ থেকে ৭৫০ মিগ্রা মাত্রাসীমার মধ্যে এটা সমন্বয় করা যেতে পারে।
ম্যানিক পর্বসমূহ সম্পৃক্ত বাইপোলার ডিসঅর্ডারে: কুয়েটিয়াপিন দৈনিক দুই বার করে খাবারের সাথে অথবা খাবারবিহীন অবস্থায় সেবন করা উচিত। প্রথম চারদিনের চিকিৎসায় দৈনিক মোট মাত্রা হচ্ছে ১০০ মিগ্রা (১ম দিন), ২০০ মিগ্রা (২য় দিন), ৩০০ মিগ্রা (৩য় দিন) এবং ৪০০ মিগ্রা (৪র্থ দিন)। অনধিক দৈনিক ২০০ মিগ্রা বৃদ্ধি করে ৬ দিনের মধ্যে দৈনিক মাত্রা ৮০০ মিগ্রা পর্যন্ত মাত্রা সমন্বয় করা উচিত। রোগীর চিকিৎসায় সাড়া ও সহনশীলতার উপর নির্ভর করে দৈনিক ২০০ থেকে ৮০০ মিগ্রা সীমার মধ্যে মাত্রা সমন্বয় করা যেতে পারে। দৈনিক সাধারণ কার্যকরী মাত্রাসীমা হল ৪০০ থেকে ৮০০ মিগ্রা।
বিষাদগ্রস্ত পর্বসমূহ সম্পৃক্ত বাইপোলার ডিসঅর্ডারে: কুয়েটিয়াপিন দৈনিক ১ বার করে রাতে ঘুমানোর আগে খাবারের সাথে অথবা খাবারবিহীন অবস্থায় সেবন করা উচিত। সাধারণ দৈনিক মাত্রা হল ৩০০ মিগ্রা। প্রথম চারদিনের চিকিৎসায় দৈনিক মাত্রা হচ্ছে। ৫০ মিগ্রা (১ম দিন), ১০০ মিগ্রা (২য় দিন), ২০০ মিগ্রা (৩য় দিন) এবং ৩০০ মিগ্রা (৪র্থ দিন)। কুয়েটিয়াপিন ৫ম দিনে ৪০০ মিগ্রা এবং ৮ম দিনের মধ্যে ৬০০ মিগ্রা পর্যন্ত ট্রাইট্রেট করা যেতে পারে। কুয়েটিয়াপিন ৩০০মিগ্রা এবং ৬০০ মিগ্রা দ্বারা এ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট কার্যকারিতা প্রমাণ করা যায়, যদিও ৬০০মিগ্রা দ্বারা স্বল্পমেয়াদী চিকিৎসায় কোন অতিরিক্ত সুবিধা প্রত্যক্ষ করা যায়নি।
মুড স্টেবিলাইজারের সাথে যৌথভাবে বাইপোলার ১ ডিসঅর্ডারের ধারাবাহিক চিকিৎসায়: যে সমস্ত রোগীর বাইপোলার ডিসঅর্ডারের তীব্র চিকিৎসায় কুয়েটিয়াপিনের সাথে মুড স্টেবিলাইজারের যুগপথে সাড়া দেয় তাদের ক্ষেত্রে একই মাত্রায় কুয়েটিয়াপিন চালিয়ে যাওয়া উচিত। নির্দিষ্ট রোগীর চিকিৎসায় সাড়া ও সহনশীলতার উপর নির্ভর করে কুয়েটিয়াপিনের মাত্রা পুনঃসমন্বয় করা যেতে পারে। মুড স্টেবিলাইজারের সাথে কুয়েটিয়াপিনের (দৈনিক দুইবার প্রয়োগের মাধ্যমে দিনের মোট মাত্রা ৪০০ মিগ্রা থেকে ৮০০ মিগ্রা) যৌথ চিকিৎসায় কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়।
ম্যানিক পর্বসমূহ সম্পৃক্ত বাইপোলার ডিসঅর্ডারে: কুয়েটিয়াপিন দৈনিক দুই বার করে খাবারের সাথে অথবা খাবারবিহীন অবস্থায় সেবন করা উচিত। প্রথম চারদিনের চিকিৎসায় দৈনিক মোট মাত্রা হচ্ছে ১০০ মিগ্রা (১ম দিন), ২০০ মিগ্রা (২য় দিন), ৩০০ মিগ্রা (৩য় দিন) এবং ৪০০ মিগ্রা (৪র্থ দিন)। অনধিক দৈনিক ২০০ মিগ্রা বৃদ্ধি করে ৬ দিনের মধ্যে দৈনিক মাত্রা ৮০০ মিগ্রা পর্যন্ত মাত্রা সমন্বয় করা উচিত। রোগীর চিকিৎসায় সাড়া ও সহনশীলতার উপর নির্ভর করে দৈনিক ২০০ থেকে ৮০০ মিগ্রা সীমার মধ্যে মাত্রা সমন্বয় করা যেতে পারে। দৈনিক সাধারণ কার্যকরী মাত্রাসীমা হল ৪০০ থেকে ৮০০ মিগ্রা।
বিষাদগ্রস্ত পর্বসমূহ সম্পৃক্ত বাইপোলার ডিসঅর্ডারে: কুয়েটিয়াপিন দৈনিক ১ বার করে রাতে ঘুমানোর আগে খাবারের সাথে অথবা খাবারবিহীন অবস্থায় সেবন করা উচিত। সাধারণ দৈনিক মাত্রা হল ৩০০ মিগ্রা। প্রথম চারদিনের চিকিৎসায় দৈনিক মাত্রা হচ্ছে। ৫০ মিগ্রা (১ম দিন), ১০০ মিগ্রা (২য় দিন), ২০০ মিগ্রা (৩য় দিন) এবং ৩০০ মিগ্রা (৪র্থ দিন)। কুয়েটিয়াপিন ৫ম দিনে ৪০০ মিগ্রা এবং ৮ম দিনের মধ্যে ৬০০ মিগ্রা পর্যন্ত ট্রাইট্রেট করা যেতে পারে। কুয়েটিয়াপিন ৩০০মিগ্রা এবং ৬০০ মিগ্রা দ্বারা এ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট কার্যকারিতা প্রমাণ করা যায়, যদিও ৬০০মিগ্রা দ্বারা স্বল্পমেয়াদী চিকিৎসায় কোন অতিরিক্ত সুবিধা প্রত্যক্ষ করা যায়নি।
মুড স্টেবিলাইজারের সাথে যৌথভাবে বাইপোলার ১ ডিসঅর্ডারের ধারাবাহিক চিকিৎসায়: যে সমস্ত রোগীর বাইপোলার ডিসঅর্ডারের তীব্র চিকিৎসায় কুয়েটিয়াপিনের সাথে মুড স্টেবিলাইজারের যুগপথে সাড়া দেয় তাদের ক্ষেত্রে একই মাত্রায় কুয়েটিয়াপিন চালিয়ে যাওয়া উচিত। নির্দিষ্ট রোগীর চিকিৎসায় সাড়া ও সহনশীলতার উপর নির্ভর করে কুয়েটিয়াপিনের মাত্রা পুনঃসমন্বয় করা যেতে পারে। মুড স্টেবিলাইজারের সাথে কুয়েটিয়াপিনের (দৈনিক দুইবার প্রয়োগের মাধ্যমে দিনের মোট মাত্রা ৪০০ মিগ্রা থেকে ৮০০ মিগ্রা) যৌথ চিকিৎসায় কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
যে সকল ওষুধের সাথে কুয়েটিয়াপিনের যুগপৎ ব্যবহার আয়ন অসাম্যতার কারণ অথবা কিউটি ইন্টারভাল বাড়িয়ে দেয় সে সকল ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কুয়েটিয়াপিন এবং থায়োরিডাজিন অথবা কার্বামাজিপিন একত্র প্রয়োগে কুয়েটিয়াপিনের দ্রুত ক্লিয়ারেন্স বাড়িয়ে দেয়ার কারণ। কুয়েটিয়াপিনের সাথে অন্য একটি মাইক্রোসোমাল এনজাইম ইনডুসার, ফিনাইটোয়িনের যৌথ প্রয়োগেও কুয়েটিয়াপিনের দ্রুত ক্লিয়ারেন্সের কারণ।
প্রতিনির্দেশনা
কুয়েটিয়াপিনের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা আছে এমন রোগীর ক্ষেত্রে ইহার ব্যবহার নিষিদ্ধ।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
কুয়েটিয়াপিন ব্যবহারে সর্বাধিক সাধারণত যেসকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াসমূহ দেখা দেয় সেগুলো হলো- নিদ্রালুতা, মাথা ঘোরানো, শুষ্ক মুখ, উইথড্রোয়াল সিনড্রোম (ওষুধ বন্ধ করা জনিত লক্ষণসমূহ), সিরাম ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বৃদ্ধি, সামগ্রিক কোলেস্টরলের পরিমাণ বৃদ্ধি, এইচডিএল কোলেস্টেরলের পরিমাণ হ্রাস, ওজন বৃদ্ধি, হিমোগ্লোবিন হ্রাস এবং এক্সট্রা পাইরামিডাল লক্ষণ।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
গর্ভাবস্থায় কুয়েটিয়াপিনের নিরাপদ ব্যবহার এবং কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠিত নয়। সুতরাং কেবলমাত্র ঝুঁকির চেয়েও উপকারিতা বেশী পর্যালোচনা করে গর্ভাবস্থায় কুয়েটিয়াপিন ব্যবহার করা উচিত এবং প্রয়োগমাত্রা ও চিকিৎসার সময়কাল, কম ও স্বল্পস্থায়ী হওয়া উচিত। কুয়েটিয়াপিন মায়ের দুধের সাথে কি পরিমাণ নিঃসৃত হয় তা অজানা। স্তন্যদানকারী মহিলা যারা কুয়েটিয়াপিন নিচ্ছে, তাদেরকে দুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকার উপদেশ দেয়া উচিত।
সতর্কতা
আত্মহত্যা/আত্নঘাতী চিন্তা বা রোগ সম্বন্ধীয় মন্দ দিক: বিষণ্ণতা যা আত্মঘাতী চিন্তা, আত্মক্ষতি এবং আত্মহত্যার (আত্মহুতি জাতীয় ঘটনা) ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। পরিপূর্ণ রোগমুক্তি না হওয়া পর্যন্ত এর ঝুঁকি রয়ে যায়।
যুগপৎ অসুস্থতা: যাদের হৃদরোগ, মস্তিষ্ক রোগ অথবা অন্যান্য অবস্থাসমূহ যা নিম্নরক্তচাপকে প্রবণিত করে সেসব রোগীদের ক্ষেত্রে কুয়েটিয়াপিন সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত। কুয়েটিয়াপিন অর্থোস্ট্যাটিক নিম্নরক্তচাপ করতে পারে, বিশেষ করে মাত্রা টাইট্রেশনের প্রাথমিক পর্যায়ে।
খিঁচুনি: যে সমস্ত রোগীর খিঁচুনির ইতিহাস রয়েছে তাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অন্যান্য এ্যান্টিসাইকোটিকস্ এর মতো সতর্কতা সুপারিশকৃত।
টারডিভ ডিসকাইনেসিয়া/ এক্সট্রা পাইরামিডাল লক্ষণ (ইপিএস): যদি টারডিভ ডিসকাইনেসিয়ার লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দেয়, কুয়েটিয়াপিনের মাত্রা হ্রাস অথবা পরিত্যাগ করা উচিত বলে বিবেচ্য।
নিউরোলেপ্টিক ম্যালিগন্যান্ট লক্ষণ: এ লক্ষণ এ্যান্টিসাইকোটিক চিকিৎসার সাথে জড়িত। কুয়েটিয়াপিন সেবন পরিত্যাগ করা উচিত এবং উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি দেয়া হয়।
কিউটি বিবর্ধণ: হৃদরোগ অথবা কিউটি বিবর্ধণের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে এরকম রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে যখন কুয়েটিয়াপিন নির্দেশিত হয় তখন অন্যান্য এন্টিসাইকোটিকস্ এর মতো সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
নিউট্রেপেনিয়া: কুয়েটিয়াপিনের ক্লিনিক্যাল পর্যবেক্ষণে তীব্র নিউট্রোপেনিয়া (<০.৫ X ১০৯/লিঃ) সধারণত পর্যবেক্ষিত নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কুয়েটিয়াপিন দ্বারা চিকিৎসা শুরুর প্রথম ২ মাসের মধ্যে তীব্র নিউট্রোপেনিয়া ঘটে।
হাইপারগ্লাইসেমিয়া এবং ডায়াবেটিস ম্যালাইটাস: রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি ও হাইপারগ্লাইসেমিয়া, এবং মাঝে মাঝে ডায়াবেটিসের প্রতিবেদন কুয়েটিয়াপিনের ক্লিনিক্যাল পর্যবেক্ষণে লক্ষ্য করা গেছে।
যুগপৎ অসুস্থতা: যাদের হৃদরোগ, মস্তিষ্ক রোগ অথবা অন্যান্য অবস্থাসমূহ যা নিম্নরক্তচাপকে প্রবণিত করে সেসব রোগীদের ক্ষেত্রে কুয়েটিয়াপিন সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত। কুয়েটিয়াপিন অর্থোস্ট্যাটিক নিম্নরক্তচাপ করতে পারে, বিশেষ করে মাত্রা টাইট্রেশনের প্রাথমিক পর্যায়ে।
খিঁচুনি: যে সমস্ত রোগীর খিঁচুনির ইতিহাস রয়েছে তাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অন্যান্য এ্যান্টিসাইকোটিকস্ এর মতো সতর্কতা সুপারিশকৃত।
টারডিভ ডিসকাইনেসিয়া/ এক্সট্রা পাইরামিডাল লক্ষণ (ইপিএস): যদি টারডিভ ডিসকাইনেসিয়ার লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দেয়, কুয়েটিয়াপিনের মাত্রা হ্রাস অথবা পরিত্যাগ করা উচিত বলে বিবেচ্য।
নিউরোলেপ্টিক ম্যালিগন্যান্ট লক্ষণ: এ লক্ষণ এ্যান্টিসাইকোটিক চিকিৎসার সাথে জড়িত। কুয়েটিয়াপিন সেবন পরিত্যাগ করা উচিত এবং উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি দেয়া হয়।
কিউটি বিবর্ধণ: হৃদরোগ অথবা কিউটি বিবর্ধণের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে এরকম রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে যখন কুয়েটিয়াপিন নির্দেশিত হয় তখন অন্যান্য এন্টিসাইকোটিকস্ এর মতো সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
নিউট্রেপেনিয়া: কুয়েটিয়াপিনের ক্লিনিক্যাল পর্যবেক্ষণে তীব্র নিউট্রোপেনিয়া (<০.৫ X ১০৯/লিঃ) সধারণত পর্যবেক্ষিত নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কুয়েটিয়াপিন দ্বারা চিকিৎসা শুরুর প্রথম ২ মাসের মধ্যে তীব্র নিউট্রোপেনিয়া ঘটে।
হাইপারগ্লাইসেমিয়া এবং ডায়াবেটিস ম্যালাইটাস: রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি ও হাইপারগ্লাইসেমিয়া, এবং মাঝে মাঝে ডায়াবেটিসের প্রতিবেদন কুয়েটিয়াপিনের ক্লিনিক্যাল পর্যবেক্ষণে লক্ষ্য করা গেছে।
বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার
বয়স্কদের ক্ষেত্রে: অন্যান্য এ্যান্টিসাইকোটিক এর মতো কুয়েটিয়াপিন বয়স্কদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত, বিশেষ করে প্রাথমিক মাত্রা প্রয়োগকালীন সময় নির্দিষ্ট রোগীর চিকিৎসায় সাড়া ও সহনশীলতার উপর নির্ভর করে যুবক রোগীদের তুলনায় বয়স্কদের ক্ষেত্রে মাত্রা ধীর গতিতে টাইট্রেট এবং দৈনিক কার্যকর মাত্রা কম হওয়া উচিত। যুবক রোগীদের তুলনায় বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে কুয়েটিয়াপিনের গড় প্লাজমা ক্লিয়ারেন্স ৩০% থেকে ৫০% পর্যন্ত কম হয়ে থাকে।
শিশু এবং কিশোরদের ক্ষেত্রে: ১৮ বছরের নীচে শিশু এবং কিশোরদের ক্ষেত্রে কুয়েটিয়াপিন নির্দেশিত নয়।
শিশু এবং কিশোরদের ক্ষেত্রে: ১৮ বছরের নীচে শিশু এবং কিশোরদের ক্ষেত্রে কুয়েটিয়াপিন নির্দেশিত নয়।
মাত্রাধিক্যতা
ক্লিনিক্যাল পর্যবেক্ষণে লক্ষনীয় যে, ৩০ গ্রাম পর্যন্ত কুয়েটিয়াপিনের তীব্র অতিমাত্রায় বেঁচে থাকা সম্ভব। কুয়েটিয়াপিনের কোন নির্দিষ্ট এ্যান্টিডোট নেই। তীব্র ইনটক্সিকেশনের ক্ষেত্রে বহুবিধ ওষুধের সম্পৃক্ততার সম্ভাবনা বিবেচনা করা উচিত, এবং একটি পেটেন্ট শ্বাসমাধ্যমের প্রতিস্থাপন এবং রক্ষণাবেক্ষণ, পর্যাপ্ত অক্সিজেনযুক্তকরণ এবং বায়ুচলন নিশ্চিত করা, এবং কার্ডিওভাস্কুলার তন্ত্রের পর্যবেক্ষণ এবং সমর্থনসহ নিবিড় পরিচর্যার কার্যপ্রণালীসমূহ সুপারিশকৃত। কুয়েটিয়াপিনের অতিমাত্রার ক্ষেত্রে, দুরারোগ্য নিম্নরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট পরিমাণে ইন্ট্রাভেনাস ফ্লুইডস্ এবং/অথবা সিমপ্যাথোমাইম্যাটিক উপাদানসমূহ (এ্যাড্রেনালিন এবং ডোপামিন পরিহার করা উচিত যেহেতু কুয়েটিয়াপিন প্রবর্তিত আলফা ব্লোকেড বেটা উদ্দীপনা নিম্নরক্তচাপকে খারাপের দিকে প্রবাহিত করতে পারে) দ্বারা চিকিৎসা করা উচিত। রোগীর আরোগ্য লাভ না পাওয়া পর্যন্ত দৃঢ় মেডিকেল পরিদর্শন এবং পর্যবেক্ষণে রাখা উচিত।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Atypical neuroleptic drugs
সংরক্ষণ
এই ওষুধটি শিশুদের দৃষ্টিশক্তি এবং নাগালের বাইরে রাখুন। মেয়াদ উত্তীর্ণের পর ব্যবহার করবেন না যা ব্লিস্টার ও কার্টনে উল্লেখ্য রয়েছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখটি সেই মাসের শেষ দিনটিকে নির্দেশ করে। আলো থেকে দূরে, ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন।