100 ml bottle: ৳ 56.00

নির্দেশনা

ব্যাপক ধরণের ক্লিনিক্যাল সংক্রমণের চিকিৎসায় ইরাইথ্রোমাইসিন খুব কার্যকরী। যেমন-
  • উর্ধ্ব-শ্বাসনালীর সংক্রমণে: টনসিল প্রদাহ, গলবিল প্রদাহ, সাইনাস প্রদাহ, ঠান্ডা ও ইনফ্লুয়েঞ্জায়, পরিটনসিলীয় আনুষঙ্গিক সংক্রমণ।
  • নিন্ম শ্বাসনালীর সংক্রমণে: শ্বাসনালী প্রদাহ, তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কাইটিস, ব্রস্কোনিউমোনিয়া, লোবার নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিয়েকটোসিস্, হুপিংকফ।
  • কর্ণ সংক্রমণ: মধ্যকর্ণপ্রদাহ, বহিঃকর্ণপ্রদাহ, কর্ণপশ্চাৎস্থিত অস্থি প্রদাহ।
  • চক্ষু সংক্রমণ: অক্ষিপত্র প্রদাহ, প্রতিষ্ঠিত ট্রাকোমা।
  • ত্বক ও কোমল টিস্যু সংক্রমণ: ফোঁড়া ও বিষব্রণ, চর্মদল, কোষপ্রদাহ।
  • পাকান্ত্রিক সংক্রমণ: পাকাশয় ও পিত্তাশয় সংক্রমণ।
  • অন্যান্য সংক্রমণ: অস্থিমজ্জা প্রদাহ, ডিপথেরিয়া, স্কারলেট জ্বর ও হুপিংকফ।

বিবরণ

ইরাইথ্রোমাইসিন মাইক্রোলাইড গ্রুপের এন্টিবায়োটিকগুলির মধ্যে সবচেয়ে ক্রিয়াশীল। পাকস্থলীর এসিড ইরাইথ্রোমাইসিনকে নষ্ট করে, এ জন্য ইরাইথ্রোমাইসিনকে ইরাইথ্রোইমাইসিন সল্ট বা এস্টার হিসাবে ব্যবহার করা হয়, যা এসিড প্রতিক্রিয়াহীন। পাকস্থলী খাদ্যদ্রব্যে পূর্ণ থাকলে, ঔষধের বিশোষণ বাধাপ্রাপ্ত হয়, এ কারণে খাওয়ার কমপক্ষে আধঘন্টা আগে খাওয়ার জন্য রোগীকে নির্দেশ দেয়া উচিত ।

মাত্রা ও সেবনবিধি

বয়স্ক এবং আট বৎসরের উপরে: ২৫০-৫০০ মি.গ্রা. প্রতি ৬ ঘন্টা পর মৃদু থেকে মাঝারী মাত্রার সংক্রমণে, মারাত্মক সংক্রমণের ক্ষেত্রে এই পরিমান ৪ গ্রাম পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

বৃদ্ধ: কোন বিশেষ মাত্রার সুপারিশ নাই। মোট দৈনিক প্রয়োজনীয় মাত্রার এক তৃতীয়াংশ বা অর্ধেক প্রদানের মাধ্যমে ইরাইথ্রোমাইসিন দিনে তিন বার বা দুইবার প্রয়োগ করা যেতে পারে।

শিশু: ২ বৎসর থেকে ৮ বৎসর ২৫০ মি.গ্রা. প্রতি ৬ ঘন্টা অন্তর অথবা ৩০-৫০ মি.গ্রা. প্রতি কেজি শরীরের ওজনের জন্য প্রতিদিন বিভক্ত মাত্রায়।

শিশু ২ বৎসর পর্যন্ত: প্রতিদিন ৫০০ মি.গ্রা. বিভক্ত মাত্রায় অথবা ৩০-৫০ মি.গ্রা. প্রতি কেজি শরীরের ওজনের জন্য।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

থিওফাইলিন, কার্বামাজেপিন, ডিগক্সিন, ওয়ারফেরিন এবং আরগোটামিন।

প্রতিনির্দেশনা

যাদের ক্ষেত্রে এই প্রিপাবেশনের কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা আছে তাদের ক্ষেত্রে ইরাইথ্রোমাইসিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

ইরাইথ্রোমাইসিন একটি নিরাপদ ঔষধ। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে- বমি বমি ভাব, পেটের অস্বাচ্ছন্দতা এবং এলার্জি বিরল ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

ক্লিনিক্যাল ও ল্যাবরেটরী সমীক্ষায় মানবদেহে কোন ভ্রুণ বিকৃতি বা বিষাক্তি ঘটার প্রমানাদি পাওয়া যায়নি। তবে যেহেতু প্লাসেন্টা বাধা অতিক্রম করে এবং মাতৃ দুগ্ধে নিঃসরিত হয় সেহেতু গর্ভবতী ও স্তনদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে প্রয়োগে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

সতর্কতা

ইরাইথ্রোমাইসিন যেহেতু যকৃতের মাধ্যমে নিঃসারিত হয়, সেহেতু যকৃতের অকার্যকারিতায় ইহা সতর্কতায় সহিত প্রয়োগ করা উচিত।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Anti-diarrhoeal Antimicrobial drugs, Macrolides

সংরক্ষণ

আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ২৫ ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।