Unit Price: ৳ 90.00 (5 x 6: ৳ 2,700.00)
Strip Price: ৳ 540.00
Also available as:

নির্দেশনা

মাল্টিপল মায়েলোমা (এমএম): থ্যালিডোমাইড ডেক্সামেথাসন এর সাথে একত্রে নতুন সনাক্তকৃত মাল্টিপল মায়েলোমা (এমএম) রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্দেশিত।

এরিথিমা নোডোসাম লেপ্রোসাম (ইএনএল): থ্যালিডোমাইড ত্বকে দেখা দেওয়া মাঝারি থেকে গুরুতর এরিথিমা নোডোসাম লেপ্রোসাম (ইএনএল) এর একিউট চিকিৎসার জন্য নির্দেশিত। ত্বকে ইএনএল এর বারবার ফিরে আসাকে প্রতিরোধ এবং দমনের জন্য মেইনটেনেন্স থেরাপি হিসাবেও এটি নির্দেশিত।

ফার্মাকোলজি

থ্যালিডোমাইডের সেলুলার ক্রিয়া এর টার্গেট সেরিবনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, যা একটি কুলিন রিং ই৩ ইউবিকুইটিন লাইগেজ এনজাইম কমপ্লেক্সের অংশ। থ্যালিডোমাইডের ইমিউনোমোডুলেটরি, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টিএনজিওজেনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ইন ভিট্রো পরীক্ষা এবং ক্লিনিকাল ট্রায়াল হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এই কম্পাউন্ডের ইমিউনোলজিক প্রভাব অতিরিক্ত টিউমার নেক্রোসিস্ ফ্যাক্টর-আলফা (টিএনএফ-আলফা) এর উৎপাদন নিরোধ এবং লিউকোসাইট মাইগ্রেশনের জন্য দায়ী কোষের পৃষ্ঠতলে আটকে থাকা পদার্থসমূহের ডাউন-মডুলেশনের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। থ্যালিডোমাইডের অন্যান্য অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এবং ইমিউনোমোডুলেটরি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে প্রোস্টাগ্ল্যোন্ডিন সংশ্লেষণে জড়িত ম্যাক্রোফেজ এর নিরোধ এবং পেরিফেরাল রক্তের মনোনিউক্লিয়ার কোষ দ্বারা ইন্টারলিউকিন-১০ এবং ইন্টারলিউকিন-১২ উৎপাদনের মডুলেশন অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। মাল্টিপল মায়েলোমা রোগীদের ক্ষেত্রে থ্যালিডোমাইড দ্বারা চিকিৎসায় রক্তের সাথে প্রবাহিত ন্যাচারাল কিলার কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ইন্টারলিউকিন-২ ও ইন্টারফেরন-গামার প্লাজমা মাত্রা বৃদ্ধি পায়। থ্যালিডোমাইড অ্যাঞ্জিওজেনেসিসের যেসকল কোষীয় প্রক্রিয়াগুলি বাধাগ্রস্ত করে তার মধ্যে এন্ডোথেলিয়াল কোষের বিস্তার অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

মাত্রা ও সেবনবিধি

মাল্টিপল মায়েলোমা: ডেক্সামেথাসনের সঙ্গে থ্যালিডোমাইডের নির্দেশিত মাত্রা ২০০ মি.গ্রা. দিনে একবার (২৮ দিনের চিকিৎসা চক্রে), রাতে ঘুমানোর আগে এবং রাতের খাবারের কমপক্ষে ১ ঘন্টা পরে পানির সাথে মুখে সেব্য।

এরিথিমা নোডোসাম লেপ্রোসাম: প্রতিবার ত্বকের ইএনএল-এর জন্য থ্যালিডোমাইডের নির্দেশিত মাত্রা ১০০ থেকে ৩০০ মি.গ্রা. দিনে একবার, রাতে ঘুমানোর আগে এবং রাতের খাবারের কমপক্ষে ১ ঘন্টা পরে পানির সাথে মুখে সেব্য। ৫০ কেজির কম ওজনের রোগীদের ক্ষেত্রে কম মাত্রায় থ্যালিডোমাইড দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা উচিত।

কোন রোগীর ত্বকে গুরুতর মাত্রায় ইএনএল প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তার জন্য বা যাদের ক্ষেত্রে ত্বকের প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য পূর্বেও উচ্চ মাত্রায় থ্যালিডোমাইড প্রয়োজন হয়েছিল (সম্ভবত ৪০০ মি.গ্রা./দিন পর্যন্ত তাদের জন্য উচ্চ মাত্রায় থ্যালিডোমাইড দিনে একবার রাতে ঘুমানোর আগে বা বিভক্ত মাত্রায় খাওয়ার অন্তত ১ ঘন্টা পর পানির সাথে মুখে সেব্য।

গুরুতর ইএনএল প্রতিক্রিয়ার সাথে মাঝারি থেকে গুরুতর নিউরাইটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে থ্যালিডোমাইডের সাথে কর্টিকোস্টেরয়েডের একত্রে ব্যবহার বিবেচনা করা উচিত। নিউরাইটিস ভাল হলে স্টেরয়েডের ব্যবহার কমানো বা বন্ধ করা যেতে পারে।

রোগের লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কমে না যাওয়া পর্যন্ত (সাধারণত কমপক্ষে ২ সপ্তাহ সময়কাল) উচ্চ মাত্রার থ্যালিডোমাইড সেবন অব্যাহত রাখা উচিত। এর পর প্রতি ২ থেকে ৪ সপ্তাহে ৫০ মি.গ্রা. করে ক্রমান্নয়ে ওষুধ কমানো যেতে পারে।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

ওপিওয়েড, অ্যান্টিহিস্টামিন, অ্যান্টিসাইকোটিক, অ্যান্টি-অ্যানজাইটি: এজেন্ট, বা অন্যান্য সিএনএস ডিপ্রেসেন্টস (অ্যালকোহল সহ) থ্যালিডোমাইডের সাথে ওপিওয়েড, অ্যান্টিহিস্টামিন, অ্যান্টিসাইকোটিক, অ্যান্টি-অ্যানজাইটি এজেন্ট, বা অন্যান্য সিএনএস ডিপ্রেসেন্ট একত্রে ব্যবহার করলে একটি অতিরিক্ত সিডেটিভ প্রভাব তৈরি হতে পারে। তাই একত্রে ব্যবহার এড়ানো উচিত।

যে ওষুধ ব্র্যাডিকার্ডিয়া সৃষ্টি করে: কার্ডিয়াক সঞ্চালন বিলম্বিত করে এমন ওষুধ থ্যালিডোমাইডের সাথে একত্রে ব্যবহার করলে তা ব্র্যাডিকার্ডিয়াক প্রভাব বাড়িয়ে দিতে পারে এবং তাই সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।

হরমোনাল গর্ভনিরোধকের সাথে প্রতিক্রিয়াকারী ওষুধ: হরমোনাল গর্ভনিরোধক এজেন্টের সাথে একত্রে এইচআইভি-প্রোটিএজ ইনহিবিটর, গ্রিসিওফুলভিন, মোডাফিনিল, পেনিসিলিন, রিফাম্পিন, রিফাবিউটিন, ফেনিটোইন, কার্বামাজেপিন, বা নির্দিষ্ট কিছু ভেষজ সাপ্লিমেন্টস যেমন সেন্ট জনস ওয়ার্ট ব্যবহার করলে, এগুলির একত্রে চিকিৎসা বন্ধের এক মাস পর পর্যন্ত ও গর্ভনিরোধের কার্যকারিতা হ্রাস পেতে পারে। অতএব, যেসকল মহিলাদের চিকিৎসার জন্য এগুলির এক বা একাধিক ওষুধ গ্রহন করা প্রয়োজন তাদের অবশ্যই থ্যালিডোমাইড গ্রহণের সময় আরও দুইটি কার্যকর বা অতি কার্যকর গর্ভনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।

পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি সৃষ্টিকারী ওষুধ: যেসব ওষুধ গ্রহণের ফলে পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি দেখা দেয় (যেমন, বোর্টেজোমিব, অ্যামিওডারোন, সিসপ্ল্যাটিন, ডোসেট্যাক্সেল, প্যাক্লিট্যাক্সেল, ভিনক্রিস্টিন, ডিসালফিরাম, ফেনিটোইন, মেট্রোনিডাজল, অ্যালকোহল) সেগুলির সাথে থ্যালিডোমাইড একত্রে গ্রহন করলে ক্ষতিকর প্রভাব বৃদ্ধি পেতে পারে, তাই সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।

কনকোমিট্যান্ট থেরাপি যা থ্রম্বোইম্বোলিজমের ঝুঁকি বাড়াতে পারে: মাল্টিপল মায়েলোমা রোগীদের মধ্যে যারা ডেক্সামেথাসোনের সাথে থ্যালিডোমাইড গ্রহণ করে তাদের ক্ষেত্রে এরিথ্রোপয়েটিক এজেন্ট, বা অন্যান্য এজেন্ট যা থ্রম্বোইম্বোলিজমের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, যেমন ইস্ট্রোজেন অন্তর্ভুক্ত আছে এমন থেরাপি, সেগুলি সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।

প্রতিনির্দেশনা

গর্ভাবস্থায়: থ্যালিডোমাইড গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত। গর্ভবতী মহিলা থ্যালিডোমাইড সেবন করলে এটি ভ্রূণের ক্ষতি করতে পারে।

অতি সংবেদনশীলতা: থ্যালিডোমাইড বা ওষুধের অন্যান্য উপাদানগুলির প্রতি অতি সংবেদনশীলতা প্রদর্শনকারী রোগীদের ক্ষেত্রে থ্যালিডোমাইড প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি হল ক্লান্তি, হাইপোক্যালসেমিয়া, ইডেমা, কোষ্ঠকাঠিন্য, সেন্সরি নিউরোপ্যাথি, শ্বাসকষ্ট, পেশীর দুর্বলতা, লিউকোপে- নিয়া, নিউট্রোপেনিয়া, ফুসকুড়ি/চামড়া উঠা, বিভ্রান্তি, অ্যানোরেক্সিয়া, বমি ভাব, উদ্বেগ/উৎকণ্ঠা, কম্পন, জ্বর, ওজন কমে যাওয়া, থ্রম্বসিস/এম্বলিজম, মোটর নিউরোপ্যাথি, ওজন বৃদ্ধি পাওয়া, মাথা ঘোরা এবং শুষ্ক ত্বক।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায়: কার্যপদ্ধতি, মানুষ এবং প্রাণীর তথ্য অনুযায়ী, থ্যালিডোমাইড গর্ভবতী মহিলাকে দেওয়া হলে ভ্রূণের ক্ষতি করতে পারে এবং গর্ভাবস্থায় এটি নিষিদ্ধ। যদি এই ওষুধটি গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা হয়, অথবা যদি এই ওষুধটি গ্রহণ করার সময় রোগী গর্ভবতী হয়, তাহলে রোগীকে ভ্রূণের সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে অবহিত করা উচিত। যদি চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে রোগী গর্ভবতী হয় তবে ওষুধটি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।

মাতৃদুগ্ধ দানকালে: মাতৃদুগ্ধে থ্যালিডোমাইডের উপস্থিতি, দুধপানকারী শিশুর উপর, বা মাতৃদুগ্ধ উৎপাদনে থ্যালিডোমাইডের প্রভাব সম্পর্কিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। যেহেতু অনেক ওষুধ মাতৃদুগ্ধে নির্গত হয় এবং যেহেতু থ্যালিডোমাইড এর দ্বারা মাতৃদুগ্ধ পানকারী শিশুর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাই রোগীকে থ্যালিডোমাইড দ্বারা চিকিৎসার সময় শিশুকে দুধ পান না করানোর পরামর্শ দেওয়া উচিত।

প্রজনন সম্ভাবনাময় মহিলা এবং পুরুষ-

প্রেগন্যান্সি পরীক্ষা: থ্যালিডোমাইড শুরু করার আগে প্রজনন সম্ভাবনাময় মহিলাদের অবশ্যই পরপর দুইবার প্রেগন্যান্সি পরীক্ষার ফলাফল না বোধক হতে হবে। প্রথম পরীক্ষাটি থ্যালিডোমাইড গ্রহণ শুরু করার পূর্বের ১০-১৪ দিনের মধ্যে এবং দ্বিতীয় পরীক্ষাটি থ্যালিডোমাইড গ্রহণ শুরু করার ২৪ ঘণ্টা পূর্বে করা উচিত। একবার চিকিৎসা শুরু হয়ে গেলে এবং সেবন মাত্রা পরিবর্তন বা ওষুধ গ্রহণ/বন্ধ রাখার সময়, প্রজনন সম্ভাবনাময় মহিলাদের ক্ষেত্রে ওষুধ গ্রহণ শুরুর প্রথম ৪ সপ্তাহে প্রতি সপ্তাহে একবার প্রেগন্যান্সি পরীক্ষা করা উচিত, তারপর যেসব মহিলাদের মাসিক চক্র নিয়মিত তাদের ক্ষেত্রে প্রতি ৪ সপ্তাহে একবার প্রেগন্যান্সি পরীক্ষা করা উচিত। যদি মাসিক চক্র অনিয়মিত হয়, তাহলে প্রতি ২ সপ্তাহে একবার প্রেগন্যান্সি পরীক্ষা করা উচিত।

গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা: থ্যালিডোমাইড গ্রহণকারী প্রজনন সম্ভাবনাময় মহিলাদের ধারাবাহিকভাবে সহবাস থেকে বিরত থাকা উচিত অথবা একই সাথে জন্মনিয়ন্ত্রণের ২টি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত। থ্যালিডোমাইড দ্বারা চিকিৎসা শুরু করার ৪ সপ্তাহ আগে থেকে, চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে, মাত্রা পরিবর্তনের সময় এবং থ্যালিডোমাইড চিকিৎসা বন্ধ করার পরে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভনিরোধক ব্যবহার করতে হবে।

পুরুষ: থ্যালিডোমাইড গ্রহণকারী পুরুষদের বীর্যে থ্যালিডোমাইড উপস্থিত থাকে। তাই থ্যালিডোমাইড গ্রহণের সময়, ডোজ পরিবর্তনের সময় এবং থ্যালিডোমাইড বন্ধ করার পরে ২৮ দিন পর্যন্ত থ্যালিডোমাইড গ্রহণকারী পুরুষদের যথাযথ গর্ভনিরোধক যেমন সহবাসের সময় ল্যাটেক্স বা সিনথেটিক কনডোম ব্যবহার করা উচিত।

সতর্কতা

এম্ব্রায়ো-ভ্রূণে বিষক্রিয়া: থ্যালিডোমাইড মানুষের জন্য একটি শক্তিশালী টেরাটোজেন যার এমনকি একটি একক মাত্রা সেবনেও মারাত্মক গুরুতর এবং জীবনঘাতি জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে। প্রায় ৪০% শিশুর জন্মের সময় বা তার কিছু পরেই মৃত্যু ঘটে। প্রজনন সম্ভাবনাময় মহিলাদের জন্য যদি আর কোন বিকল্প চিকিৎসা না থাকে, তাহলে গর্ভধারন এড়াতে পর্যাপ্ত সতর্কতা অবলম্বন করে থ্যালিডোমাইড দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে। ত্বকের মাধ্যমে শোষিত বা শ্বাসের সাথে গৃহীত থ্যালিডোমাইডের প্রজনন ঝুঁকি সম্পর্কিত নির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই। প্রজনন সম্ভাবনাময় মহিলাদের থ্যালিডোমাইড ক্যাপসুলের সংস্পর্শ এড়ানো উচিত। শরীরের কোনস্থান থ্যালিডোমাইডের ভাঙ্গা ক্যাপসুল বা ভিতরের পাউডার উপাদানের সংস্পর্শে আসলে, উক্ত স্থানটি সাবান এবং পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী বা অন্যান্য পরিচর্যাকারীর শরীরের কোন অংশে থ্যালিডোমাইড গ্রহণকারী রোগীর শরীর নিঃসৃত তরল পদার্থ লাগলে, উক্ত স্থানটি সাবান এবং পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এ ক্ষেত্রে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, যেমন ত্বকে থ্যালিডোমাইডের সম্ভাব্য সংস্পর্শ প্রতিরোধ করতে গাভস পরা।

রক্তদান: থ্যালিডোমাইড চিকিৎসা চলাকালীন সময় এবং ওষুধ বন্ধ করার পর ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত রোগীদের রক্তদান থেকে বিরত থাকা উচিত।

ভেনাস এবং আর্টারিয়াল থ্রম্বোইম্বোলিজম: মাল্টিপল মায়েলোমা রোগীদের ক্ষেত্রে থ্যালিডোমাইড ব্যবহারের ফলে যেমন ভেনাস থ্রম্বোইম্বোলিজম, ডিপ ভেনাস থ্রম্বোসিস এবং পালমোনারি এমবোলিজমের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ডেক্সামেথাসন সহ স্ট্যান্ডার্ড কেমোথেরা- পিউটিক এজেন্টগুলির সাথে থ্যালিডোমাইড একত্রে ব্যবহার করা হলে এই ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। আলাদাভাবে প্রতিটি রোগীর মূল ঝুঁকির কারণগুলি মূল্যায়নের ভিত্তিতে থ্রম্বোপ্রফাইল্যাক্সিস এর ব্যবহার বিবেচনা করা উচিত। থ্রম্বোইম্বোলিজমের লক্ষণ ও উপসর্গগুলির জন্য রোগী এবং চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণ করা উচিত।

তন্দ্রা ও ঝিমুনিভাব: থ্যালিডোমাইড প্রায়শই তন্দ্রা ও ঝিমুনিভাব সৃষ্টি করে। তন্দ্রাচ্ছন্নতা সমস্যা তৈরি করতে পারে এমন পরিস্থিতি এড়ানোর এবং ডাক্তারের যথাযথ পরামর্শ ছাড়া তন্দ্রা হতে পারে এমন অন্যকোন ওষুধ সেবন না করার জন্য রোগীদের নির্দেশনা দেওয়া উচিত। গাড়ি চালানো অথবা অন্যান্য জটিল বা বিপজ্জনক যন্ত্রপাতি চালানোর মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজগুলি সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক এবং/অথবা শারীরিক সক্ষমতার উপর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে রোগীদের সতর্ক করা উচিত। ওষুধের মাত্রা কমানোর প্রয়োজন হতে পারে।

থ্রোম্বোসাইটোপেনিয়া: থ্যালিডোমাইডের ক্লিনিকাল ব্যবহারের সাথে গ্রেড ৩ বা ৪ এর মত থ্রোম্বোসাইটোপেনিয়া, সম্পর্কিত বলে রিপোর্ট করা হয়েছে। এ অবস্থায় প্লাটিলেট সহ রক্তকণিকার সংখ্যা পর্যবেক্ষণ করা উচিত। ওষুধের মাত্রা হ্রাস, বিলম্ব, বা বন্ধ করার প্রয়োজন হতে পারে। পেটেচিয়া, এপিস্ট্যাক্সিস এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রক্তপাতের লক্ষণ ও উপসর্গগুলির জন্য রোগীকে পর্যবেক্ষেণে রাখা উচিত, বিশেষভাবে একত্রে সেব্য অন্যান্য ওষুধ যদি রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।

পেরিফেরাল স্নায়ুরোগ: থ্যালিডোমাইড স্নায়ুর স্থায়ী ক্ষতির কারণ হতে পারে। পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি থ্যালিডোমাইড চিকিৎসার একটি সাধারণ (২১০%) এবং গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যা আর ভাল নাও হতে পারে। পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি সাধারণত থ্যালিডোমাইডের কয়েক মাস ব্যাপী দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারের ফলে দেখা দেয়; তবে অপেক্ষাকৃত স্বল্পমেয়াদী ব্যবহারের পরেও পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি হওার ঘটনা ঘটেছে। নিউরোপ্যাথি হতে পারে এমন ওষুধ সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।

মাথা ঘোরা এবং অর্থোস্ট্যাটিক হাইপোটেনশন: থ্যালিডোমাইড গ্রহনে মাথা ঘোরা এবং অর্থোস্ট্যাটিক হাইপোটেনশন হতে পারে। তাই, শোয়া বা হেলান দেওয়া অবস্থা থেকে দাঁড়ানোর আগে কয়েক মিনিটের জন্য সোজা হয়ে বসে থাকতে রোগীদের পরামর্শ দেওয়া উচিত।

নিউট্রোপেনিয়া: থ্যালিডোমাইডের ক্লিনিকাল ব্যবহারের কারণে নিউট্রোপেনিয়া সহ শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অ্যাবসুলিউট নিউট্রোফিল কাউন্ট (এএনসি) <৭৫০/এমএম৩ হলে চিকিৎসা শুরু করা উচিত নয়। শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা এবং ডিফারেনশিয়াল নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত, বিশেষ করে সেসব রোগীদের ক্ষেত্রে, যাদের নিউট্রোপেনিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি, যেমন এইচআইভি-সেরোপজিটিভ রোগী। চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় যদি এএনসি ৭৫০/এমএম৩-এর নিচে নেমে যায়, তাহলে রোগীর ওষুধের মাত্রা এবং সেবনবিধি পুনর্মূল্যায়ন করা উচিত, এবং যদি নিউট্রোপেনিয়া অব্যাহত থাকে, তাহলে থ্যালিডোমাইড বন্ধ করার বিষয়ে বিবেচনা করা উচিত যদি তা ক্লিনিক্যালি যথাযথ হয়।

বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার

শিশু: ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য থ্যালিডোমাইডের নিরাপদ ব্যবহার এবং কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

বয়স্কদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: ৬৫ বছরের কম বয়সী রোগীদের তুলনায় ৬৫ বছরের বেশি বয়সী রোগীদের মধ্যে অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্লান্তি, বমি ভাব, হাইপোক্যালে- মিয়া, ডিপ ভেনাস থ্রম্বোসিস, হাইপারগ্লাইসেমিয়া, এবং পালমোনারি এমবোলিজম এর ঘটনা বেশি ঘটে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Anti-Leprotic drugs, Immunosuppressant

সংরক্ষণ

আলো থেকে দূরে শুষ্ক স্থানে ও ৩০° সে. এর নিচে সংরক্ষণ করুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।