Unit Price: ৳ 80.00 (1 x 10: ৳ 800.00)
Strip Price: ৳ 800.00

নির্দেশনা

জোলিন নিম্নলিখিত রোগের চিকিৎসায় নির্দেশিতঃ
  • নোসোকোমিয়াল নিউমোনিয়া
  • কমিউনিটি-লব্ধ নিউমোনিয়া
  • ত্বক এবং ত্বকের কাঠামোর জটিল ইনফেকশনসহ ডায়াবেটিক ফুট ইনফেকশন, সহজাত অস্টিওমায়েলাইটিস ব্যতীত
  • ত্বক এবং ত্বকের কাঠামোর জটিল নয় এমন ইনফেকশন
  • ভ্যানকোমাইসিন-প্রতিরোধী এন্টারোকক্কাস ফেসিয়াম ইনফেকশন।
ব্যবহারের সীমাবদ্ধতাঃ গ্রাম-নেগেটিভ সংক্রমণের চিকিৎসায় জোলিন নির্দেশিত নয়। ২৮ দিনের বেশি সময় ধরে জোলিন দ্বারা চিকিৎসার নিরাপদ ব্যবহার এবং কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলোতে মূল্যায়িত হয়নি।

ফার্মাকোলজি

লিনেজোলিড একটি সিনথেটিক, নতুন শ্রেণীর ব্যাকটেরিয়া বিরোধী এজেন্ট যা অক্সাজোলিডিনোন গ্রুপের অন্তর্গত। এটি গ্রাম পজেটিভ এরোবিক ব্যাকটেরিয়া, কিছু গ্রাম পজেটিভ এনারোবিক ব্যাকটেরিয়া ও স্বল্পসংখ্যক গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া বিরুদ্ধে ইনভিট্রো কার্যকারিতা প্রদর্শন করে। এটি সিলেকটিভ ভাবে ব্যাকটেরিয়ার প্রোটিন সিন্থেসিস প্রতিহত করার মাধ্যমে কার্যসাধন করে যা অন্যান্য ব্যাক্টেরিয়া বিরোধী এজেন্ট থেকে আলাদা। লিনেজোলিড ব্যাক্টেরিয়ার রাইবোসোমের ৫০ এস সাবইউনিটের ২৩ এস রাইবোসোমাল আরএনএ এর সাথে সংযুক্ত হয় এবং ফাংশনাল ৭০ এস ইনিসিয়েশান কমপ্লেক্স তৈরীকে প্রতিহত করে যা ব্যাক্টেরিয়াল ট্রান্সলেশন প্রণালী এর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। টাইম কিল স্টাডির ফলাফলে দেখা গিয়েছে যে, লিনেজোলিড এনটেরোকক্কি এবং স্ট্যাফাইলোকক্কির বিরুদ্ধে ব্যাক্টোরিওস্ট্যাটিক হিসাবে কাজ করে। স্ট্রেপটোকক্কির ক্ষেত্রে, লিনেজোলিড বেশীরভাগ স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে ব্যাক্টেরিসাইডাল কার্য প্রদর্শন করে।

ঔষধের মাত্রা

ঔষধ গ্রহণের পথ: লিনেজোলিড ট্যাবলেট খাবারের সাথে বা খাবার ছাড়াই মুখে গ্রহণ করতে হবে। লিনেজোলিড আইভি ইনফিউসন ৩০ থেকে ১২০ মিনিট সময়কালের মধ্যে শিরাপথে ইনফিউসন হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। লিনেজোলিড ট্যাবলেট এবং আইভি ইনফিউসনের প্রতিদিনের অনুমোদিত মাত্রা নিচের টেবিলে বর্ণিত হলোঃ
ইনফেকশন মাত্রা মাত্রা, ওষুধ গ্রহণের পথ এবং সময়কাল
  শিশু রোগী*
(জন্ম থেকে ১১ বছর বয়স পর্যন্ত)
প্রাপ্তবয়স্ক এবং কিশোর রোগী
(১২ বছর এবং এর বেশি বয়সী)
চিকিৎসার অনুমোদিত সময়কাল
(ধারাবাহিক দিন)
নোসোকোমিয়াল নিউমোনিয়া ১০ মিগ্রা/কেজি মুখে বা শিরাপথে প্রতি ৮ ঘন্টা পরপর ৬০০ মিগ্রা মুখে বা শিবাশথে প্রতি ১২ ঘণ্টা পরপর ১০ থেকে ১৪
সহগামী ব্যাকটেরেমিয়া সহ কমিউনিটি-লব্ধ নিউমোনিয়া
ত্বক এবং ত্বকের কাঠামোর জটিল ইনফেকশন
ভ্যানকোমাইসিন-প্রতিরোধী এন্টারোকক্কাস ফেসিয়াম ইনফেকশন ১০ মিগ্রা/কেজি মুখে বা শিরাপথে প্রতি ৮ ঘন্টা পরপর ৬০০ মিগ্রা মুখে বা শিবাশথে প্রতি ১২ ঘণ্টা পরপর ১৪ থেকে ২৮
ত্বক এবং ত্বকের কাঠামোর অজটিল ইনফেকশন ৫ বছরের কম বয়সীদের জন্য: ১০ মিগ্রা/কেজি মুখে প্রতি ৮ ঘণ্টা পরপর

৫-১১ বছর বয়সীদের জন্য: ১০ মিগ্রা/কেজি মুখে প্রতি ১২ ঘণ্টা পরপর
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য: ৪০০ মিগ্রা মুখে প্রতি ১২ ঘন্টা পরপর

কিশোরদের জন্য: ৬০০ মিগ্রা মুখে প্রতি ১২ ঘন্টা পরপর
১০ থেকে ১৪
*৭ দিনের কম ব্যয়সী নবজাতকদের ক্ষেত্রে: অধিকাংশ প্রি-টার্ম ৭ দিনের কম বয়সী নবজাতকদের (যাদের জেস্টেশনাল বয়স ৩৪ সপ্তাহের কম) অন্যান্য পূর্ণ-টার্ম নবজাতক এবং এর থেকে বেশি বয়সী শিশুদের তুলনায় নিম্নতর সিস্টেমিক নিনেজোলিড ক্লিয়ারেন্স মান এবং উচ্চতর এইউসি (AUC) থাকে। এই নবজাতকদের ক্ষেত্রে প্রতি ১২ ঘণ্টা পরপর ১০ মিগ্রা/কেজি মাত্রায় ওষুধটি শুরু করতে হবে। সর্বোত্তম ক্লিনিক্যাল সাড়া দেয় না এমন নবজাতকদের ক্ষেত্রে প্রতি ৮ ঘন্টা পরপর ১০ মিগ্রা কেজি মাত্রায় ওষুধ প্রয়োগের বিবেচনা করা যেতে পারে। ৭ দিন বয়স হয়ে গেলে সকল নবজাতক রোগীকে প্রতি ৮ ঘন্টা পরপর ১০ মিগ্রা/কেজি মাত্রায় ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।
ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্র শিরাগখ থেকে মুখে পরিবর্তিত করার সময় কোনো মাত্রা সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই।

শিরাপথে প্রয়োগ: লিনেজোলিড আইভি ইনফিউসনটি প্রয়োগের আগে ক্ষুদ্রকনা আছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য একটি আলোর উৎসের বিপরীতে ধরে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। লিনেজোলিড আইভি ইনফিউসন দেখতে হলুদ বর্ণের হতে পারে যা এর কার্যকারিতায় কোনো বিরূপ প্রভাব না ফেলে সময়ের সাথে সাথে তীব্রতর হতে পারে। ধারবাহিক সংযোগের জন্য এই ইন্ট্রাভেনাস ইনফিউসন ভায়ালটি ব্যবহার করা যাবে না। এই সলিউশনের সাথে কোনো পদার্থ মেশানো উচিত নয়। একবার বাবহারের পর অব্যবহৃত অংশটুকু ফেলে দিতে হবে।

যকৃতের অকার্যকারিতায়: মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের যকৃতের অকার্যকারিতার রোগীদের জন্য কোনো মাত্রা সমন্বয় করার প্রয়োজন নেই। গুরুতর যকৃতের অকার্যকারিতার রোগীদের ক্ষেত্রে লিনেজোলিড এব ফার্মাকোকাইনেটিক্স এর মূল্যায়ন করা হয়নি।

শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: সেবনমাত্রা ও প্রয়োগবিধি অংশে শিশু ও কিশোরদের জন্য লিনেজোলিড এর মাত্রা বর্ণনা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত শিশু রোগীদের পরীক্ষামূলক চিকিৎসার জন্য লিনেজোলিড ব্যবহার করা যাবে না।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন

সেবনবিধি

ওরাল সাসপেনশন মিশ্রণ পদ্ধতি: প্রথমে বোতল ঝাকিয়ে পাউডারগুলো আলগা করে নিন। বোতলের শুকনো পাউডারে ৭৫ মি.লি. (সরবরাহকৃত কাপের সাহায্যে) ফুটানো ঠান্ডা পানি মেশান। সহজভাবে প্রস্তুতির জন্য পানি দুবার মেশান। প্রতিবার পানি মেশানোর পর বোতলটি ভালভাবে ঝাঁকিয়ে নিন যাতে বোতলের সম্পূর্ণ পাউডার সাসপেনশনে পরিণত হয়।

দ্রষ্টব্যঃ প্রতিবার ব্যবহারের পূর্বে সাসপেনশন ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিন। বোতলের মুখ শক্তভাবে বন্ধ রাখুন। প্রস্তুতকৃত সাসপেনশন ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন। মিশ্রনের পর ২১ দিনের মধ্যে ব্যবহার করুন। শিরাপথে প্রয়োগের জন্য লিনেজোলিড আইভি ইনজেকশন একক ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত ইনফিউশন বোতলে সরবরাহ করা হয়।

লিনেজোলিড আইভি ইনজেকশন: শিরাপথে ইনফিউশন আকারে ৩০ মিনিট থেকে ১২০ মিনিট ধরে প্রয়োগ করা উচিত। শিরাপথে প্রয়োগের ইনফিউশন বোতলটি সিরিজ কানেকশন ব্যবহার করা উচিত নয়। সরবরাহকৃত দ্রবণটিতে বাড়তি কোনো কিছুই যোগ করা উচিত নয়। ইনফিউশন বোতলটি ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত এবং ঠান্ডায় জমানো উচিত নয়। লিনেজোলিড আইভি ইনজেকশন হলুদ রং দেখাতে পারে যা সময়ের সাথে গাঢ় হতে থাকতে পারে। তাতে কার্যকারিতার কোনো ক্ষতি হয় না।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

অন্য ওষুধের সাথে: জোলিন হচ্ছে মনোঅ্যামিন অক্সিডেজ এর একটি পরিবর্তনযোগ্য, নির্বাচনশীল নয় এমন ইনহিবিটর। ফলে, জোলিন এর অ্যাড্রেনার্জিক এবং সেরোটোনার্জিক ওষুধসমূহের সাথে প্রতিক্রিয়া করার সম্ভাবনা রয়েছে। জোলিন গ্রহণকারী কতিপয় রোগীর পরোক্ষভাবে কাজ করা সিমপ্যাথোমিমেটিক ওষুধ, ভ্যাসোপ্রেসোর বা ডোপামিনার্জিক ওষুধ গ্রহণ করার ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। সেরোটোনিন সিন্ড্রোমের লক্ষণ এবং/অথবা উপসর্গসমূহের জন্য রোগীদেরকে সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করা না হলে, কার্সিনয়েড সিন্ড্রোমে আক্রান্ত রোগীদের এবং/অথবা সেরোটোনিন রি-আপটেক ইনহিবিটর, ট্রাইসাইক্লিক অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, সেরোটোনিন ৫-এইচটি ১ (5-HT1) রিসেপ্টর এগোনিস্ট (ট্রিপট্যান), মেপিরিডিন বা বুসপিরোন গ্রহণকারী রোগীদেরকে জোলিন প্রয়োগ করা যাবে না।

খাবার ও অন্য কিছুর সাথে: জোলিন গ্রহণের সময় রোগীদের প্রচুর পরিমাণে উচ্চ টাইরামিনযুক্ত খাবার বা পানীয় গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিতে হবে।

প্রতিনির্দেশনা

লিনেজোলিড তাদের জন্য প্রতিনির্দেশিত যাদের লিনেজোলিড বা এর উপাদানের প্রতি হাইপারসেনসিটিভিটি রয়েছে। ওষুধ যা মনোএমাইনো অক্সিডেস এ অথবা বি (ফেনেলজিন বা আইসোকার্বক্সাজিড) প্রতিহত করে বা এই ধরনের ওষুধ গ্রহণের দুই সপ্তাহের মধ্যে লিনেজোলিড দেয়া যাবে না। আনকন্ট্রোল্ড হাইপারটেনশন, ফিওক্রোমোসাইটোমা, থাইরোটক্সিকোসিস, কারসিনয়েড সিনড্রম এবং ডাইরেক্ট বা ইনডাইরেক্ট এক্টিং সিমপ্যাথোমিমেটিক এজেন্ট (স্যুডোইফেড্রিন), ভ্যাসোপ্রেসিভ এজেন্ট (এপিনেফ্রিন, নরএপিনেফ্রিন), ডোপামিনারজিক এজেন্ট (ডোপামিন, ডবুটামিন) সেরোটোনিন রি-আপটেক ইনহিবিটর, ট্রাইসাইক্লিক এন্টিডিপ্রেসেন্টস্, সেরোটোনিন ৫-এইচটি১ রিসেপ্টর এগনিস্ট (ট্রিপটান্স), মেপিরিডিন বা বাসপিরন ইত্যাদি গ্রহণকালে লিনেজোলিড দেয়া যাবে না।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

জোলিন সংক্রান্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সমূহ মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের। ডায়রিয়া, মাথাব্যথা এবং বমি বমি ভাব সবচেয়ে বেশী দেখা যায়। অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে ওরাল মনিলিয়াসিস, ভ্যাজাইনাল মনিলিয়াসিস, উচ্চরক্তচাপ, বদহজম, লোকালাইজড এ্যাবডোমিনাল পেইন, প্রুরাইটিস বা জিহ্বার বিবর্ণতা দেখা দিতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায়: গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে লিনেজোলিড ব্যবহারের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী শিশুর গুরুতর জন্মগত ত্রুটি, গর্ভপাত অথবা মা বা ভ্রূণের উপর বিরূপ প্রভাবের ওষুধ-সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি নির্ধারিত হয়নি। লিনেজোলিড গর্ভাবস্থায় শুধুমাত্র তখনই ব্যবহার করা উচিত যখন প্রত্যাশিত সুবিধাসমূহ ভ্রূণের সম্ভাব্য ঝুঁকির চেয়ে বেশি হয়।

স্তন্যদানকালে: লিনেজোলিড মায়ের দুধে নিঃসৃত হয়। লিনেজোলিড এর জন্য স্তন্যদানকারী মায়ের প্রয়োজনীয়তা বা মায়ের বর্তমান সমস্যা বিবেচনার সাথে সাথে মায়ের দুধ খাওয়ানো শিশুর উপর সম্ভাব্য বিরূপ প্রতিক্রিয়া এবং শিশুর বিকাশ ও স্বাস্থ্য সুবিধাগলো বিবেচনা করতে হবে। স্তন্যদানকারী মায়েদের শিশুর ডায়রিয়া এবং বমি হলে তা পর্যবেক্ষণের উপদেশ দিতে হবে।

সতর্কতা

জোলিন গ্রহণকারী রোগীদের সম্পূর্ণ ব্লাড কাউন্ট সাপ্তাহিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে, বিশেষ করে যারা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দিনেজোলিড গ্রহণ করছেন, যারা আগে থেকেই মায়েলোসাপ্রেশনে আক্রান্ত, যারা অস্থিমজ্জা সাপ্রেশন করে এমন ওষুধ একই সাথে গ্রহণ করে অথবা দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যারা এর পূর্বে বা একই সাথে এন্টিবায়োটিক থেরাপি এহণ করে। যদি দৃষ্টিশক্তির ক্ষতির লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন, দৃষ্টিশক্তির তীক্ষ্ণতার পরিবর্তন, বস্তু জনিত দৃষ্টিতে পরিবর্তন, আপনা দেখা বা ভিজ্যুয়াল ফিল্ডের ত্রুটি, সেক্ষেত্রে দ্রুত দৃষ্টিশক্তি মূল্যায়নের জন্য পরামর্শ নিতে হবে। ক্যাথেটার-সম্পর্কিত রক্ত প্রবাহের সংক্রমণ বা ক্যাথেটার-সাইটের সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য জোলিন অনুমোদিত নয় এবং এটি ব্যবহার করা উচিত নয়। এন্টিবায়োটিক গ্রহণের দুই মাস পর ক্লোস্টিডিয়াম ডিফিসিলি জনিত ডায়রিয়া (CDAD) হওয়ার কারণে সতর্কতার সাথে এর মেডিকেল হিস্টোরি গ্রহণ করা প্রয়োজন। সিডিএডি (CDAD) সন্দেহ বা নিশ্চিত হলে, সি. ডিফিসিলি-এর বিরুদ্ধে কাজ করে না এমন এন্টিবায়োটিকের চলমান ব্যবহার বন্ধ করার প্রয়োজন হতে পারে সম্ভাব্য রক্তচাপের বৃদ্ধির জন্য রোগীদের যদি পর্যবেক্ষণে রাখা না হয়, তাহলে অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, ফিওক্রোমোসাইটোমা, থাইরোটক্সিকোসিসে আক্রান্ত এবং/অথবা সিমপ্যাথোমিমেটিক ওষুধ, ভাসোপ্রেসিভ ওষুধ, ডোপামিনার্জিক ওষুধ গ্রহণকারী রোগীদেরকে জোলিন দেওয়া যাবে না। জোলিন গ্রহণের সময় যে সমস্ত রোগীদের বারবার বমি বমি ভাব বা বমি, কারণ না জানা অ্যাসিডোসিস বা নিম্ন বাইকার্বনেট লেভেল দেখা দেয় তাদেরকে অবিলম্বে মেডিকেল মূল্যায়ন করতে হবে। হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিলে, ইনসুলিন বা ওরাল হাইপোগ্লাইসেমিক ওষুধের ডোজ কমানো অথবা ওরাল হাইপোগ্লাইসেমিক এজেন্ট, ইনসুলিন বা জোলিন বন্ধ করার প্রয়োজন হতে পারে।

মাত্রাধিক্যতা

মাত্রাধিক্যের কোন তথ্য জানা নেই। গ্লোমেরুলার ফিল্ট্রেশনের সাথে সিম্পটোমেটিক এবং সাপোর্টিভ কেয়ার দেয়া যেতে পারে। হেমোডায়ালাইসিস এর মাধ্যমে ৩ ঘন্টায় প্রায় ৩০% জোলিন ডোজ শরীর থেকে বের করে দেয়া যায়। পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসস বা হেমোপারফিউশনের মাধ্যমে জোলিন শরীর থেকে বের করে দেয়ার পর্যাপ্ত তথ্য নেই।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Macrolides

সংরক্ষণ

জোলিন আলো ও আর্দ্রতা হতে দূরে, ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় (১৫°সে-৩০°সে) সংরক্ষণ করা উচিত। সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখা উচিত।