Unit Price:
৳ 11.00
(5 x 10: ৳ 550.00)
Strip Price:
৳ 110.00
নির্দেশনা
ফেরিক মেলটল প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের আয়রন স্বল্পতার চিকিৎসার জন্য নির্দেশিত।
উপাদান
প্রতি ক্যাপসুলে আছে ফেরিক মেলটল আইএনএন ২৩১.৫০ মিগ্রা যা ৩০ মিগ্রা আয়রন এর সমতুল্য।
ফার্মাকোলজি
ফেরিক মেলটল অস্ত্রের প্রাচীর জুড়ে গ্রহণের জন্য আয়রন সরবরাহ করে এবং ট্রান্সফেরিন ও ফেরিটিনে পরিবর্তন করে। এর দ্বারা ফেরিটিন ও ট্রান্সফেরিন স্যাচুরেশন (TSAT) সহ সিরাম আয়রন প্যারামিটারগুলি বৃদ্ধি পেতে দেখা যায় ।
মাত্রা ও সেবনবিধি
ফেরিক মেলটল ক্যাপসুল মুখে গ্রহণ করতে হবে, খালি পেটে এবং খাবারের অন্তত ১ ঘণ্টা আগে বা ২ ঘন্টা পরে গ্রহণ করতে হবে। ফেরিক মেলটল ক্যাপসুল খোলা, ভাঙা বা চিবানো যাবে না। এর অনুমোদিত মাত্রা হচ্ছে ৩০ মিগ্রা করে দিনে ২ বার। চিকিৎসার সময়কাল নির্ভর করবে আয়রন স্বল্পতার তীব্রতার উপর তবে সাধারণত কমপক্ষে ১২ সপ্তাহের চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। ফেরিটিন লেভেল স্বাভাবিক সীমার মধ্যে না আসা পর্যন্ত যতদিন প্রয়োজন হয় চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া উচিত।
শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: শিশু রোগীদের ক্ষেত্রে ফেরিক মেলটলের নিরাপদ ব্যবহার ও কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: শিশু রোগীদের ক্ষেত্রে ফেরিক মেলটলের নিরাপদ ব্যবহার ও কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
অন্য ওষুধের সাথে: ডাইমারক্যাপ্রল এর সাথে আয়রন জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করলে নেয়ে টক্সিসিটির ঝুঁকি বেড়ে যায়। ডাইমারক্যাপ্রল এর সাথে ফেরিক মেলটলের ব্যবহার পরিহার করতে হবে। ফেরিক মেলটলের সাথে ব্যবহার করলে মাইকোফেনোলেট, ইথিনাইল ইস্ট্রাডিওল, সিপ্রোফ্লক্সাসিন এবং ডক্সিসাইক্লিন সহ কিছু ওষুধের জৈব উপলভ্যতা কমে যেতে পারে। মুখে গ্রহণ করা ওষুধের ক্ষেত্রে জৈব উপলভ্যতা কমে গেলে তা এর নিরাপত্তা বা কার্যকারিতার উপর ক্লিনিক্যালি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে, সেসব ক্ষেত্রে ফেরিক মেলটল প্রয়োগের সময়কালের মধ্যে অন্তত ৪ ঘণ্টার পার্থক্য রাখতে হবে
খাবার ও অন্য কিছুর সাথে: খাবারের পর ফেরিক মেলটল প্রয়োগে আয়রনের জৈব উপলভ্যতা কমতে দেখা যায়।
খাবার ও অন্য কিছুর সাথে: খাবারের পর ফেরিক মেলটল প্রয়োগে আয়রনের জৈব উপলভ্যতা কমতে দেখা যায়।
প্রতিনির্দেশনা
যাদের ফেরিক মেলটল বা এই ওষুধের অন্যান্য উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রতিনির্দেশিত। যে রোগীদের হেমোক্রোমাটোসিস এবং অন্যান্য আয়রনের ওভারলোডজনিত লক্ষণ প্রকাশ পায় এবং যাদের বারবার রক্ত নিতে হয় তাদের ক্ষেত্রেও এটি প্রতিনির্দেশিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো হচ্ছে পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, মলের রঙ পরিবর্তন, পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং বমি।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
মুখে গ্রহণ করার পর ফেরিক মেলটল অক্ষত যৌগ হিসেবে দেহে শোষিত হয় না এবং গর্ভবতী মহিলাদের উপর এই ওষুধ প্রয়োগ করা হলে তা থেকে ভ্রূণের ক্ষতি হওয়া প্রত্যাশিত নয়। মাতৃদুগ্ধে ফেরিক মেলটলের উপস্থিতি, বুকের দুধ খাওয়ানো শিশুর উপর প্রভাব বা দুধ উৎপাদনের উপর প্রভাব সম্পর্কে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। স্তন্যদানকারী মহিলা রোগী মুখে এই ওষুধ গ্রহণ করার পর ফেরিক মেলটল অক্ষত যৌগ হিসেবে দেহে শোষিত হয় না এবং মায়ের দুধ পান করলে এটি থেকে শিশুর ক্ষতি হওয়া প্রত্যাশিত নয়।
সতর্কতা
সক্রিয়ভাবে ইনফ্ল্যামাটরি বাওয়েল ডিজিজ (IBD) বেড়ে গিয়েছে এমন রোগীর ক্ষেত্রে ফেরিক মেলটল ব্যবহার পরিহার করতে হবে, কেননা এতে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টে প্রদাহ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য ঝুঁকি রয়েছে। আয়রন ওভারলোডের প্রমাণ আছে বা শিরাপথে আয়রন পাচ্ছে এমন রোগীর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যাবে না। ফেরিক মেলটল দ্বারা চিকিৎসা শুরুর পূর্বে আয়রনের প্যারামিটারগুলো পরিমাপ করে নিতে হবে। এবং চিকিৎসা চলাকালীন আয়রন প্যারামিটারগুলো পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। আয়রন-যুক্ত ওষুধের দুর্ঘটনাজনিত মাত্রাধিক্য হলো ৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের মারাত্মক বিষক্রিয়ার একটি অন্যতম প্রধান কারণ। দুর্ঘটনাজনিত মাত্রাধিক্য হলে, রোগীর দ্রুত চিকিৎসা করতে হবে।
মাত্রাধিক্যতা
রোগীদের মধ্যে ফেরিক মেলটল এর মাত্রাধিক্য সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি। আয়রনের মাত্রাধিক্যের প্রাথমিক লক্ষণ ও চিহ্নগুলো হতে পারে বমি বমি ভাব, বমি, পেটে ব্যথা এবং ডায়রিয়া। আরো তীব্র হলে হাইপোপারফিউশন, মেটাবলিক এসিডোসিস এবং সিস্টেমিক টক্সিসিটির লক্ষণ দেখা দিতে পারে। আয়রনের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি মাত্রায় ফেরিক মেলটল ব্যবহার করলে তা থেকে সংরক্ষণের স্থান গুলোতে আয়রন জমা হয়ে হেমোসিডারোসিস হতে পারে।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Oral Iron preparations
সংরক্ষণ
আলো থেকে দূরে, ঠাণ্ডা (২৫° সে. এর নিচে) ও শুষ্ক স্থানে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।