250 ml bottle:
৳ 350.00
নির্দেশনা
প্রাপ্ত বয়স্ক (>১৮ বছর) ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সংক্রমণ ঘটাতে পারে এমন সংবেদনশীল জীবাণুগুলোর মাধ্যমে সংঘঠিত নিম্নলিখিত উপসর্গে মক্সিফ্লক্সাসিন হাইড্রোক্লোরাইড নির্দেশিত-
- অ্যাকিউট ব্যাকটেরিয়াল সাইনুসাইটিস।
- অ্যাকিউট ব্যাকটেরিয়াল এক্সাসারবেশন অফ ক্রণিক ব্রঙ্কাইটিস।
- কমিউনিটি অ্যাকুয়ার্ড নিউমোনিয়া।
- ত্বক ও ত্বকের গঠনতন্ত্রে সংক্রমণ: জটিল ও অজটিল।
- জটিল ইন্ট্রা-এবডোমিনাল সংক্রমণ।
ঔষধের মাত্রা
মক্সিফক্সাসিন এর মাত্রা দিনে ১ বার ৪০০ মি.গ্রা., চিকিৎসার সময়কাল ইনফেকশনের ধরনের উপর নির্ভরশীল যা নিম্নলিখিত ছকে নির্দেশিতঃ
- অ্যাকিউট ব্যাকটেরিয়াল সাইনুসাইটিসঃ ৪০০ মি.গ্রা. করে দৈনিক একবার ১০ দিন পর্যন্ত
- অ্যাকিউট ব্যাকটেরিয়াল এক্সাসারবেশন অফ ক্রণিক ব্রঙ্কাইটিসঃ ৪০০ মি.গ্রা. করে দৈনিক একবার ৫ দিন পর্যন্ত
- কমিউনিটি অ্যাকুয়ার্ড নিউমোনিয়াঃ ৪০০ মি.গ্রা. করে দৈনিক একবার ৭-১৪ দিন পর্যন্ত
- অজটিল ত্বক ও ত্বকের গঠনতন্ত্রে সংক্রমণঃ ৪০০ মি.গ্রা. করে দৈনিক একবার ৭ দিন পর্যন্ত
- জটিল ও অজটিল ত্বক ও ত্বকের গঠনতন্ত্রে সংক্রমণঃ ৪০০ মি.গ্রা. করে দৈনিক একবার ৭-২১ দিন পর্যন্ত
- জটিল ইন্ট্রা- এবডোমিনাল সংক্রমণঃ ৪০০ মি.গ্রা. করে দৈনিক একবার ৫-১৪ দিন পর্যন্ত।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন
সেবনবিধি
মক্সিফক্সাসিন আই.ভি. ইনফিউশন শিরাপথে চিকিৎসার ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে ৬০ মিনিট ধরে প্রয়োগ করতে হবে। একসাথে অধিক পরিমাণ অথবা দ্রুত প্রয়োগ করা যাবে না।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
শিরাপথে ফ্লুরোকুইনোলোন চিকিৎসার সাথে মুখে সেব্য এন্টাসিড, সুক্রালফেট, মাল্টিভিটামিন, ডিডানোসিন অথবা ধাতব আয়রণের কোন প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। এরপরও কোন ফ্লুরোকুইনোলোনই বহুযোজী ধাতব আয়ন (যেমন- ম্যাগনেসিয়াম) সম্বলিত সলিউশনের সাথে একই শিরাপথে ব্যবহার করা উচিত নয়। কুইনোলোন এমনকি মক্সিফ্লক্সাসিনও ওয়ারফেরিনের বা এর উপজাতের এন্টিকোয়াগুলেন্ট প্রভাবকে বাড়িয়ে দেয়। মক্সিফ্লক্সাসিনের ক্লিনিক্যাল এবং প্রিক্লিনিক্যাল পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত না হলেও কুইনোলন ও নন-স্টেরয়ডাল এন্টি-ইনফ্লামেটরি ওষুধের সহপ্রয়োগে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উত্তেজনা এবং ঝিমুনি হতে পারে। মানবদেহে মক্সিফ্লক্সাসিন এবং অন্য ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় ইলেকট্রাকার্ডিওগ্রাম শ্রেণী-III এর QTc, বিরতির দীর্ঘায়ন সম্পর্কে সীমিত তথ্য পাওয়া যায়। সেটালোল যা কিনা এন্টি-অ্যারিথমেটিক এর সাথে উচ্চ মাত্রার মক্সিফ্লক্সাসিনের শিরাপথে প্রয়োগে কুকুরের ক্ষেত্রে QTc, বিরতির দীর্ঘায়ন পরিলক্ষিত হয়। একারণে মক্সিফ্লক্সাসিনের সাথে শ্রেণী- IA এবং শ্রেণী- III, এন্টি-অ্যারিথমেটিক এর সহপ্রয়োগ বর্জনীয়।
প্রতিনির্দেশনা
মক্সিফ্লক্সাসিন বা অন্যান্য কুইনোলনে অতি সংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে মক্সিফ্লক্সাসিন প্রতিনির্দেশিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
মক্সিফ্লক্সাসিন (মুখে সেব্য বা শিরাপথে ব্যবহার অথবা একই সাথে প্রয়োগের ক্ষেত্রে) চিকিৎসায় কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার (১%) মধ্যে রয়েছে মাথাধরা, বমি, ডায়রিয়া, কোষ্টকাঠিন্য, পেট ব্যথা, ঝিমুনিভাব এবং নির্ঘুম। কিছু ক্ষেত্রে (০.১ থেকে <১%) রক্তে শ্বেত রক্ত কনিকার অভাব, বুক ধড়ফড় করা, হৃদ স্পন্দনের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, হৃদস্পন্দনের হ্রাস, মাথা ঘোরা, টিনিটাস (কানের মধ্যে শব্দ হওয়া যা অন্যেরাও শুনতে পায়), মুখ শুষ্ক হওয়া, পাকস্থলী প্রদাহ, ইডিমা, অসুস্থতাবোধ, রক্তে গ্লুকোজের আধিক্য, ক্ষুধামন্দা, রক্তে লিপিডের আধিক্য, রক্তে গ্লুকোজের স্বল্পতা, পানি স্বল্পতা, পিঠে ব্যথা, সন্ধিতে ব্যথা ইত্যাদি।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরি-সি । যেহেতু গর্ভবতী মহিলাদের উপর পর্যাপ্ত এবং সুনিয়ন্ত্রিত গবেষণা চালানো হয়নি, fetus ও মায়ের উপর ক্ষতির চেয়ে উপকার বেশি না হলে মক্সিফ্লক্সাসিন ব্যবহার করা উচিত নয়।
বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার
শিশুদের ক্ষেত্রে এবং ১৮ বছর বয়সের নিচের কিশোরদের ক্ষেত্রে এ ওষুধের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
বয়স্কদের ক্ষেত্রে: Fluoroquinolone (যেমন-মক্সিফ্লক্সাসিন) সেবনে বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে টেন্ডন সংক্রান্ত তীব্র জটিলতা তৈরির ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এমনকি টেন্ডন ছিড়েও যেতে পারে। যে সকল রোগী মক্সিফ্লক্সাসিনের সাথে সাথে কর্টিকোস্টেরয়েডও সেবন করেন তাদের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি আরো বৃদ্ধি পায়।
বয়স্কদের ক্ষেত্রে: Fluoroquinolone (যেমন-মক্সিফ্লক্সাসিন) সেবনে বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে টেন্ডন সংক্রান্ত তীব্র জটিলতা তৈরির ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এমনকি টেন্ডন ছিড়েও যেতে পারে। যে সকল রোগী মক্সিফ্লক্সাসিনের সাথে সাথে কর্টিকোস্টেরয়েডও সেবন করেন তাদের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি আরো বৃদ্ধি পায়।
থেরাপিউটিক ক্লাস
4-Quinolone preparations
সংরক্ষণ
আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ২৫° ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।