Unit Price: ৳ 10.00 (3 x 10: ৳ 300.00)
Strip Price: ৳ 100.00
Also available as:

নির্দেশনা

মৃগীরোগ: ইটোপিরা মনোথেরাপী হিসেবে প্রাপ্তবয়স্ক বৎসরের শিশু এবং তদুর্ধ্ব, নতুনভাবে নির্ণীত মৃগীরোগ যাদের সেকেন্ডারীলি জ্যানারালাইজড সিজারসহ অথবা ছাড়া জ্যানারালাইজড টনিক ক্লনিক সিজার অথবা পার্শিয়াল সিজার আছে তাদের ক্ষেত্রে নির্দেশিত।

ইটোপিরা এডজাংটিভ থেরাপী হিসাবে প্রাপ্তবয়স্ক এবং বৎসোর্ধ শিশু যাদের গতানুগতিক ফাষ্টলাইন এ্যান্টিএপিলেপটিক দ্বারা সঠিকরূপে নিয়ন্ত্রিত হয়না তাদের ক্ষেত্রে নির্দেশিত, সেকেন্ডারীলি  জ্যানারালাইজড সিজারসহ অথব্য ছাড়া পার্শিয়াল সিজার এবং লেনক্স গ্যাস্টাউট সিনড্রোমসহ সিজার এবং প্রাইমারী জেনারালাইজড টনিক ক্লনিক সিজারে নির্দেশিত

মাইগ্রেন: ইটোপিরা প্রাপ্তবয়স্কদের মাইগ্রেন জনিত মাথাব্যথার প্রতিরোধে নির্দেশিত। প্রাপ্তবয়স্ক যাদের প্রতি মাসে তিন বা ততোধিক মাইগ্রেনে আক্রান্ত হয় এবং ঘন ঘন মাইগ্রেন আক্রান্ত হওয়ার কারনে রোগীদের দৈনন্দিন কার্যকারীতা মারাত্মক ভাবে ব্যাঘাত ঘটে সকল ক্ষেত্রে মাইগ্রেন প্রতিরোধে বিবেচনা করা যেতে পারে প্রতি ছয় মাস অন্তর চলমান চিকিৎসার পূনঃবিবেচনা করা উচিত

মাত্রা ও সেবনবিধি

মৃগীরোগঃ মনোথেরাপী- 
  • প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ১৬ বৎসোর্ধ শিশুদের ক্ষেত্রে: প্রথম সপ্তাহের জন্য প্রতি রাতে ২৫ মিগ্রা করে ট্রাইট্রেশন শুরু করা উচিত। তারপর ১ অথবা ২ সপ্তাহ ব্যবধানে দৈনিক ২৫ অথবা ৫০ মিগ্রা/দিন দুইটি বিভাজিত মাত্রায় বাড়ানো উচিত। নতুনভাবে নির্ণীত প্রাপ্তবয়ষ্ক মৃগীরোগীর জন্য প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা টপিরামেট মনোথেরাপী হিসেবে দৈনিক ১০০ মিগ্রা এবং সর্বোচ্চ দৈনিক ৪০০ মিগ্রা নির্দেশিত।
  • শিশু যাদের বয়স ৬-১৬ বৎসর: শিশুদের চিকিৎসায় যাদের বয়স ৬ বৎসর এবং তার বেশী তাদের ক্ষেত্রে প্রথম সপ্তাহের জন্য প্রতি রাতে ০.৫ থেকে ১ মিগ্রা/কেজি/দিন করে শুরু করতে হবে। তারপর ১ অথবা ২ সপ্তাহের ব্যবধানে ০.৫ থেকে ১ মিগ্রা/কেজি/দিন করে দুইটি বিভাজিত মাত্রায় বাড়ানো উচিৎ। ৬ বৎসর এবং তদুর্ধো নতুনভাবে নির্ণীত শিশু মৃগীরোগীর জন্য প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা টপিরামেট মনোথেরাপী হিসেবে দৈনিক ৩-৬ মিগ্রা/কেজি নির্দেশিত। অনেক ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মাত্রা সহনীয় এবং দৈনিক ১৬ মিগ্রা/কেজি ওজন পর্যন্ত কদাচিৎ দেওয়া হয়ে থাকে।
মৃগীরোগঃ এডজাংটিভ থেরাপী-
  • প্রাপ্ত বয়ষ্ক এবং ১৬ বৎসোর্ধ শিশুদের ক্ষেত্রে: এডজাংটিভ থেরাপী হিসেবে নূণ্যতম কার্যকরী মাত্রা হচ্ছে প্রতিদিন ২০০ মিগ্রা। সাধারনত প্রতিদিনের মাত্রা ২০০ মিগ্রা থেকে ৪০০ মিগ্রা দুই মাত্রায় বিভক্ত। কিছু রোগীর ক্ষেত্রে দৈনিক ৮০০ মিগ্রা পর্যন্ত প্রয়োজন হতে পারে যাহা সর্বোচ্চ মাত্রা হিসেবে নির্দেশিত।
  • শিশু যাদের বয়স ২-১৬ বৎসর: এডজাংটিভ থেরাপী হিসেবে টপিরামেট এর প্রায় ৫ থেকে ৯ মিগ্রা/কেজি/দিন হিসেবে দুই বিভাজিত মাত্রায় নির্দেশিত। প্রথম সপ্তাহের জন্য প্রতিরাতে দৈনিক ২৫ মিগ্রা করে টাইট্রেশন শুরু করা উচিত। তারপর ১ অথবা ২ সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক ১ হতে ৩ মিগ্রা/কেজি/দিন দুইটি বিভাজিত মাত্রায় বাড়বে। ক্লিনিক্যাল ফলাফলের উপর ভিত্তি করে মাত্রা টাইট্রেশন করা উচিত। দৈনিক ৩০ মিগ্রা/কেজি/দিন পর্যন্ত মাত্রায় পরীক্ষিত হয়েছে এবং সুসহনীয় ছিল।
মাইগ্রেন-
  • প্রাপ্ত বয়ষ্ক এবং ১৬ বৎসোর্ধ শিশুদের ক্ষেত্রে: ১ম সপ্তাহের জন্য প্রতিরাতে ২৫ মিগ্রা করে টাইট্রেশন শুরু করা উচিত। তারপর ১ সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক ২৫ মিগ্রা/দিন বাড়ানো যেতে পারে। মাইগ্রেনের মাথাব্যাথার প্রতিরোধের চিকিৎসায় টপিরামেট এর মোট দৈনিক মাত্রা ১০০ মিগ্রা দুইটি বিভাজিত মাত্রায় নির্দেশিত। কিছু রোগীর ক্ষেত্রে দৈনিক মোট মাত্র ৫০ মিগ্রা/দিন হিসেবে উপকারিতার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
  • শিশু: মাইগ্রেন প্রোফাইলেক্সিসে ১৬ বছরের নীচে শিশুর ক্ষেত্রে টপিরামেট পরীক্ষিত হয়নি।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

ইটোপিরা অন্যান্য এ্যান্টিএপিলেপটিক ওষুধ সমুহ (ফিনাইটয়েন, কার্বামাজিপাইন, ভ্যালপ্রোয়িক এসিড, ফেনোব্যরবিটাল, প্রিমিডন) -এর সাথে ব্যবহারে তাদের প্লাজমা স্টিডি-স্টেট মাত্রার তেমন কোন পরিবর্তন হয় না। তবে কিছু রোগীর ক্ষেত্রে ইটোপিরা ফিনাইটােনের সাথে ব্যবহারে ফিনাইটয়েনের প্লাজমা মাত্রা বৃদ্ধি ঘটে। সেক্ষেত্রে, ফিনাইটয়েনের ব্যবহারে রোগীর ক্ষেত্রে ফিলাইটয়েনের ঘনত্ব পরিমাপ করার উপদেশ রয়েছে।

প্রতিনির্দেশনা

এই ওষুধের যে কোন উপাদানের উপর অভিসংবেদনশীলতা আছে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

বমিভাব, পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া, মুখের শুষ্কতা, স্বাদ গ্রহনে সমস্যা, ওজন কমা, অগ্নিমান্দা, প্যারাএসথেসিয়া, হাইপোএসথেসিয়া, মাথাব্যথা, উদ্বেগ, ঝিমুনী, কথার জড়তা, ঘুমভাব, নিদ্রাহীনতা, ইমপেয়ারড মোমোরী এবং কনসেনট্রেশন, উদ্বিগ্নতা, বিষন্নতা, দৃষ্টিসমস্যা। খুব কম ক্ষেত্রে: আত্মহননের ভাবনা। বিরলঃ প্রধানত শিশুদের ক্ষেত্রে ঘুম কম হওয়া, মেটাবোলিক এসিডোসিস এবং মাথায় টাক পড়া। খুবই বিরল ক্ষেত্রে: লিউকোপেনিয়া, থ্রোম্বোসাইটোপেনিয়া এবং মারাত্মক চর্ম বিক্রিয়া।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

ভ্রূনের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ও মায়ের প্রতি উপকারীতা বিবেচনা করে টপিরামেট চিকিৎসকের মতামত ছাড়া গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা উচিত নয়। টপিরামেট স্তন্যদানকালে ব্যবহার করা উচিত নয়।

সতর্কতা

যে সকল রোগীর সিজার অথবা মৃগীরোগের ইতিহাস রয়েছে অথবা নেই, তাদের ক্ষেত্রে সিজারের প্রভাব বা সিজার হওয়ার মাত্রা কমানোর জন্য এ্যান্টিএপিলেপটিক ওষুধ, এমনকি ইটোপিরাও সেবন ধীরে ধীরে বাদ দেওয়া উচিত। ইটোপিরা সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ঘটায় এবং অন্যান্য এ্যান্টিএপিলেপটিক ওষুধের চেয়ে বেশী সিডেটিভ যেমন নিদ্রা উদ্রেক করে। এছাড়াও দৃষ্টি ভ্রম/ ঝাপসা দৃষ্টি পরিলক্ষিত হয়েছে। রোগীদের এসময় সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, যদি তারা এরকম বোধ করে তবে তাদের গাড়ী চালানো, অন্যান্য মেশিন এবং অন্যান্য কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা উচিত নয়, কারন এই জাতীয় পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া তাদের ঝুঁকির কারন হতে পারে।

মাত্রাধিক্যতা

ইটোপিরাের অতিমাত্রায় মারাত্মক মেটাবলিক এসিডোসিস হতে পারে। ইটোপিরাের তাৎক্ষনিক অতিমাত্রায় যদি ইটোপিরাের সদ্যসেবন হলে, ল্যাভেজ অথবা ইন্ডাকশন অফ ইমেসিস -এর মাধ্যমে দ্রুত পাকস্থলি খালি করা উচিত। ইনভিট্রো পরীক্ষায় দেখা যায়, একটিভেটেট চারকোল ইটোপিরা শোষন করে নেয়। চিকিৎসা হতে হবে সহায়কমূলক। ইটোপিরা দেহ থেকে বের করার ক্ষেত্রে হেমোডায়ালাইসিসই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে দেখা যায়। রোগীকে প্রচুর পানি সেবন করা উচিত।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Adjunct anti-epileptic drugs

সংরক্ষণ

আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০ ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
Pack Image of Etopira 50 mg Tablet Pack Image: Etopira 50 mg Tablet