Unit Price: ৳ 0.85 (20 x 10: ৳ 170.00)
Strip Price: ৳ 8.50
Also available as:

নির্দেশনা

রেপটাইলিন নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
  • বিষণ্ণতা (বিশেষ করে যে ক্ষেত্রে ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে)
  • শিশুদের রাত্রিতে বিছানায় মূত্রত্যাগ
  • মাইগ্রেন প্রতিরোধ
  • দুঃশ্চিন্তা জনিত মাথাব্যথা
  • দীর্ঘমেয়াদী ব্যাথা

বিবরণ

এ্যামিট্রিপটাইলিন একটি ট্রাইসাইক্লিক ঔষধ যার এন্টিকোলিনারজিক এবং বিষণ্নতারােধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ইহা স্নায়ু প্রান্তে নরএড্রিনালিন এবং সেরােটনিন পুনগ্রহণে বাধা দেয়। রেপটাইলিন পরিপাকনালীতে দ্রুত শােষিত হয়। প্রায় ২ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্লাজমাতে সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌছায়। এ্যামিট্রিপটাইলিন প্রধানত মেটাবােলাইট হিসেবে প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে নিঃসৃত হয়।

মাত্রা ও সেবনবিধি

বিষণ্ণতায়: প্রাথমিক অবস্থায় ৭৫ মিঃগ্রাঃ (বয়োঃবৃদ্ধ ও কৈশোর-এ ৩০-৭৫ মিঃগ্রাঃ) প্রতিদিন বিভাজিত মাত্রায় অথবা একক মাত্রায় ঘুমানোর সময়। প্রয়োজন অনুযায়ী মাত্রা ধীরে ধীরে ১৫০-২০০ মিঃগ্রাঃ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যাবে। ১৬ বছরের নীচে শিশুদের বিষণ্ণতা রোগে এটি নির্দেশিত নয়।

শিশুদের রাত্রিতে বিছানায় মূত্রত্যাগে: ৭-১০ বছরের শিশুদের: ১০-২০ মিঃগ্রাঃ, ১১-১৬ বছরের শিশুদের: ২৫-৫০ মিঃগ্রাঃ ট্যাবলেট রাতে সেবন করতে হবে। চিকিৎসার সর্বোচ্চ সময়সীমা (ধীরে ধীরে মাত্রা কমানো সহ) ৩ মাস, পুনরায় চিকিৎসা করানোর পূর্বে সম্পূর্ণ দৈহিক পরীক্ষা করাতে হবে।

মাইগ্রেন প্রতিরোধে: প্রতিদিন ১০০ মিঃ গ্রাঃ।

দুঃশ্চিন্তা জনিত মাথা ব্যাথায়: ১০-২৫ মিঃ গ্রাঃ করে প্রতিদিন ৩ বার।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

টিসিএ, অ্যালকোহল ও ওপিয়ড অ্যানালজেসিক-এর সিডেটিভ ইফেক্ট বাড়িয়ে দেয়। টিসিএ মক্সিফ্লক্সাসিন অথবা টারফেনাডিন-এর সাথে ব্যবহার করলে ভেন্ট্রিকুলার অ্যারিদমিয়া বৃদ্ধি পায়। ডাইসালফিরাম ও সিমেটিডিন, অ্যামিট্রিপটাইলিনের মেটাবলিসম হ্রাস করে। ডাইওরেটিকস-এর সাথে টিসিএ ব্যবহার করলে পোস্ট্যুরাল হাইপোটেনশন হওয়ার সম্ভবনা বৃদ্ধি পায়।

প্রতিনির্দেশনা

মাইওকার্ডিয়াল ইনফার্কশন, যেকোন মাত্রার হার্ট ব্লক, ম্যানিয়া ও যকৃতের রােগে এ্যামিট্রপটাইলিন অনুপযােগী। শুরুতে, সিডেশন যানবাহন এবং যন্ত্রপাতি চালানাের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

এন্টিকোলিনারজিক: অতিরিক্ত স্বেদ, শুষ্ক গলা, ঝাপসা দৃষ্টি, অত্যধিক জ্বর, ইউরিনারি রিটেনশন, মুত্রনালীর প্রসারণ ইত্যাদি।

কার্ডিওভাসকুলার রিঅ্যাকশন: নিম্ন রক্তচাপ, মুর্ছা, পোস্টুরাল হাইপোটেনশন, উচ্চ রক্তচাপ, হৃৎপিন্ডের দ্রুত কার্য, বুক ধড়ফড় করা, মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন ইত্যাদি।

সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম ও নিউরোমাসক্যুলার: দ্বিধান্বিত অবস্থা, মনোনিবেশের অভাব, দিকস্থিতি বিভ্রম, ভ্রান্ত বিশ্বাস ইত্যাদি।

অ্যালার্জিক: চুলকানি, আরটিক্যারিয়া, ফটোসেনসিটাইজেশন ইত্যাদি।

হিমাটোলজিক্যাল: অস্থিমজ্জা কমে যাওয়া।

গ্যাস্ট্রোইনটেসটিন্যাল: বমি বমি ভাব, এপিগ্যাসট্রিক ডিসট্রেস, বমি, ক্ষুধা, স্টোমাটিটিস, স্বাদ পরিবর্তন, ওজন হ্রাস পাওয়া, ডায়রিয়া, কৌষ্ঠকাঠিণ্য ইত্যাদি।

এন্ডোক্রাইন: টেস্টিক্যুলার সুয়েলিং, পুরুষের স্তন বৃদ্ধি, স্তনবৃদ্ধি, গ্যালাকটোরিয়া ইত্যাদি।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি-সি। এ্যামিট্রিপটাইলিন প্লাসেন্টা অতিক্রম করে। ইহা গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা যাবে শুধুমাত্র মায়ের সম্ভাব্য সুবিধা সমূহ এবং ফিটাসের সম্ভাব্য ঝুঁকি সমূহকে বিবেচনা করে। এ্যামিট্রিপটাইলিন মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয়। এ্যামিট্রিপটাইলিনে স্তন্যপায়ী শিশুদের সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়ার কারণে স্তন্যদান থেকে অথবা ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত, স্তন্যদানকারী মায়ের ওষুধ সেবনের গুরুত্ব বিবেচনা করে।

সতর্কতা

ইহা মৃগীরােগের ইতিহাস আছে এমন রােগীদের ক্ষেত্রে, গ্লুকোমা, মূত্র প্রতিবন্ধকতা, কার্ডিয়াক অসুস্থতা, বহুমূত্র, গর্ভাবস্থায়, যকৃতের অস্বাভাবিকতা, থায়রয়েড সমস্যা, ইন্ট্রাঅকুলার প্রেসার বৃদ্ধিজনিত সমস্যা এবং মানসিক অসুস্থতার ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Tricyclic Anti-depressant

সংরক্ষণ

শুষ্ক ও ঠাণ্ডা স্থানে, ৩০° সে. তাপমাত্রার নিচে সংরক্ষণ করুন। আলাে ও আর্দ্রতা থেকে রক্ষা করুন।