Unit Price: ৳ 8.00 (3 x 10: ৳ 240.00)
Strip Price: ৳ 80.00
This medicine is unavailable
Also available as:

নির্দেশনা

অ্যান-অ্যারোবিক ও গ্রাম-পজিটিভ ব্যাকটেরিয়া যেমন স্ট্রেপ্টোকক্কি, স্ট্যাফাইলোকক্কি ও নিউমোকক্কি সংক্রমণে কার্যকর। উর্ধ্ব শ্বাসনালীর সংক্রমণ, নিম্ন শ্বাসনালীর সংক্রমণ, ত্বক ও কোমল কলার সংক্রমণ, অস্থি ও অস্থিসন্ধির সংক্রমণ, পেলভিক সংক্রমণ, উদরের অভ্যন্তরীণ সংক্রমণ, সেপ্টিসেমিয়া ও এন্ডোকার্ডাইটিস, দাঁতের সংক্রমণ, মাল্টি ড্রাগ রেসিসট্যান্ট পাসমোডিয়াম ফ্যালসিপোরাম সংক্রমণে কুইনাইন ও এমোডিয়াকুইনের সাথে বিকল্প সহযোগী চিকিৎসা হিসাবে।

উপাদান

১৫০ মি.গ্রা. ক্যাপসুল: প্রতিটি ক্যাপসুলে রয়েছে ক্লিন্ডামাইসিন হাইড্রোক্লোরাইড বিপি যা ক্লিন্ডামাইসিন ১৫০ মি.গ্রা. এর সমতুল্য।
৩০০ মি.গ্রা. ক্যাপসুল: প্রতিটি ক্যাপসুলে রয়েছে ক্লিন্ডামাইসিন হাইড্রোক্লোরাইড বিপি যা ক্লিন্ডামাইসিন ৩০০ মি.গ্রা. এর সমতুল্য।
পাউডার ফর ওরাল সলিউশন: প্রতি ৫ মি.লি. তে থাকে ক্লিন্ডামাইসিন পালমিটেট হাইড্রোক্লোরাইড ইউএসপি যা ক্লিন্ডামাইসিন ৭৫ মি.গ্রা. এর সমতূল্য।
৩০০ মি.গ্রা. ইঞ্জেকশন: প্রতি ২ ম.লি. জীবাণুমুক্ত সলিউশনে রয়েছে ক্লিন্ডামাইসিন ফসফেট বিপি যা ক্লিন্ডামাইসিন ৩০০ মি.গ্রা. এর সমতুল্য।
৬০০ মি.গ্রা. ইঞ্জেকশন: প্রতি ৪ মি.লি. জীবাণুমুক্ত সলিউশনে রয়েছে ক্লিন্ডামাইসিন ফসফেট বিপি যা ক্লিন্ডামাইসিন ৬০০ মি.গ্রা. এর সমতুল্য।

বিবরণ

ক্লিনাসিন একটি লিঙ্কোসোমাইড এন্টিবায়োটিক যা ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণে নির্দেশিত। ক্লিনাসিন একটি আংশিক সংশেষিত লিঙ্কোমাইসিনস্লাভ এন্টিবায়োটিক।

অ্যারোবিক গ্রাম-পজিটিভ কক্কি: স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস, স্ট্যাফাইলোকক্কাস এপিডার্মিডিস (পেনিসিলিনেজ ও নন-পেনিসিলিনেজ উৎপন্নকারী স্ট্রেইন) স্ট্রেপ্টোকক্কি নিউমোকক্কি।

অ্যান-অ্যারোবিক গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাসিলি: ব্যাকটেরয়েডস প্রজাতিসমূহ, ফুজাব্যাকটেরিয়াম প্রজাতিসমূহ।

অ্যান-অ্যারোবিক গ্রাম-নেগেটিভ নন-স্পোর ফর্মিং ব্যাসিলি: প্রোপাইনিব্যাকটেরিয়াম প্রজাতিসমূহ, ইউব্যাকটেরিয়াম প্রজাতিসমূহ, এক্টিনোমাইসিস প্রজাতিসমূহ।

অ্যান-অ্যারোবিক ও মাইক্রোএরোফিলিক গ্রাম-পজিটিভ কক্কি: পেপ্টোকক্কাস প্রজাতিসমূহ, পেপ্টোস্ট্রেপ্টোকক্কাস প্রজাতিসমূহ, মাইক্রোএরোফিলিক স্ট্রেপ্টোকক্কি, ক্লসটেরিডিয়াম পারফেরিনজেস।

মাত্রা ও সেবনবিধি

ক্লিন্ডামাইসিন ক্যাপসুল এর মাত্রা:
  • তীব্র সংক্রমণ: ১৫০-৩০০ মি.গ্রা. ৬ ঘণ্টা পর পর।
  • অতি তীব্র সংক্রমণ: ৩০০-৪৫০ মি.গ্রা. ৬ ঘণ্টা পর পর।
ক্যাপসুল গ্রহন করার পর এক গাস পানি পান করলে অন্ন নালীর জ্বালা হতে মুক্তি পাওয়া যায়।

বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গেছে, ক্লিন্ডামাইসিন ৩০০ মি.গ্রা. ক্যাপসুল ১২ ঘণ্টার চেয়ে অধিক সময় প্লাসমাতে ওষুধের মাত্রা বজায় রাখে যা কিনা MIC90 চেয়ে বেশী। এই পর্যবেক্ষন ক্লিন্ডামাইসিন ৩০০ মি.গ্রা. ক্যাপসুল এর দিনে দুইবার ব্যবহার কে সমর্থন করে যা চর্মরোগ ও শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমনে বিশেষ ভাবে প্রয়োয্য। তথাপি, বোন ও জয়েন্ট সংক্রমনের ক্ষেত্রে ক্লিন্ডামাইসিন ৩০০ মি.গ্রা. ক্যাপসুল দিনে ৩-৪ বার ব্যবহার করা উচিত।

ক্লিন্ডামাইসিন পাউডার ফর ওরাল সলিউশন:
  • গুরুতর সংক্রমণ: ৮-১২ মি.গ্রা./কেজি/দিন ৩-৪ টি সমবিভক্ত মাত্রায়।
  • তীব্র সংক্রমণ: ১৩-১৬ মি.গ্রা./কেজি/দিন ৩-৪ টি সমবিক্ত মাত্রায়।
  • অতি তীব্র সংক্রমণ: ১৭-২৫ মি.গ্রা./কেজি/দিন ৩-৪ টি সমবিভক্ত মাত্রায়।
১০ কেজি বা তার চেয়ে কম ওজনের শিশুদের ক্ষেত্রে নির্দেশিত নুন্যতম হল ১/২ চামচ (৩৭.৫ মি.গ্রা.) দিনে তিনবার।

ক্লিন্ডামাইসিন আইভি/আইএম ইঞ্জেকশনের মাত্রা:

প্রাপ্ত বয়ষ্ক:
  • গ্রাম পজিটিভ কক্কি ও সাসেপ্টেবল অ্যান-অ্যারোবিক ব্যাকটেরিয়াজনিত তীব্র সংক্রমণে: দিনে ৬০০-১২০০ মি.গ্রা. ২-৪ টি সমবিভক্ত যাত্রায়
  • অতি তীব্র সংক্রমণে: দিনে ১২০০-২৭০০ মিয়া ২-৪ টি সমবিভক্ত যাত্রায়।
  • অতি তীব্র সংক্রমণের ক্ষেত্রে: ডোজ বাড়াতে হতে পারে। অ্যারোবিক বা অ্যান-অ্যারোবিক ব্যাকটেরিয়াজনিত সংকটানাপন্ন অবস্থায় বাড়াতে হতে পারে।
  • প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে শিরাপথে দিনে ৪৮০০ মি.গ্রা. পর্যন্ত ডোজ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। ৬০০ মি.গ্রা. এর অধিক মাত্রায় মাংশপেশীতে নির্দেশিত নয়।
নবজাতকের (১ মাসের নীচে) ক্ষেত্রে: ১৫-২০ মি.গ্রা./কেজি/দিন ৩-৪ টি সমবিভক্ত মাত্রায়। অপরিনত নবজাতক এর ক্ষেত্রে নিম্ন কার্যকর মাত্রাই যথেষ্ট। 

শিশুদের ক্ষেত্রে (১ মাস-১৬ বছর)-
  • ২০-৪০ মি.গ্রা./কেজি/দিন ৩-৪ টি সমবিভক্ত মাত্রায়। তীব্র সংক্রমণের ক্ষেত্রে অধিক মাত্রায় দেয়া যাবে।
  • রোগীর অবস্থার উন্নতি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে ইঞ্জেকশনের পরিবর্তে ক্যাপসুল দিয়ে চিকিৎসা করা যাবে।
  • বিটা-হিমোলাইটিক স্ট্রেপ্টোকক্কাল সংক্রমণের ক্ষেত্রে চিকিৎসা কমপক্ষে ১০ দিন চালাতে হবে।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

ক্লিনাসিন নিউরোমাসকুলার ব্লকিং ওষুধের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। সেজন্য এ ধরণের ওষুধের সাথে ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ল্যাবরেটরী পরীক্ষায় দেখা গিয়াছে যে, ক্লিনাসিন ও ইরাইথ্রোমাইসিন পরষ্পরের কার্যকারিতা প্রতিহত করে। ক্লিনিক্যাল গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে, এ দু'টি ওষুধ একসাথে ব্যবহার করা উচিত নয়।

প্রতিনির্দেশনা

ক্লিন্ডামাইসিন অথবা এ ওষুধের যে কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

ক্লিনাসিন ব্যবহারের ফলে যে ধরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় সেগুলো হচ্ছে- পেট ব্যাথা, অন্ননালীর প্রদাহ, অন্ননালীর আলসার, বমিভাব, বমি, ডায়রিয়া, প্রুরাইটাস, স্কি র‍্যা, আর্টিকারিয়া

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

প্রেগন্যান্সি ক্যাটেগরি বি। ক্লিন্ডামাইসিন মানবদেহের প্লাসেন্টা অতিক্রম করে। এমনিওটিক ফ্লুয়িডে এ ওষুধের মাত্রা মায়ের মাত্রার ৩০%। সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা থাকলেই কেবলমাত্র ক্লিন্ডামাইসিন গর্ভকালে ব্যবহার করা উচিত। মাতৃদুগ্ধে ক্লিন্ডামাইসিন উপস্থিতির তথ্য পাওয়া গিয়াছে। সুতরাং স্তন্যদানকালে এ ওষুধটির সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা না থাকলে নির্দেশিত নয়।

সতর্কতা

যে রোগীদের পরিপাকতন্ত্রের রোগ বিশেষতঃ কোলাইটিস এর ইতিহাস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ক্লিনাসিন ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার

নবজাতকের ও শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: নবজাতক ও শিশুদের ক্ষেত্রে ক্লিনাসিন এর ব্যবহারকালে বিভিন্ন অংগ ও তন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকারিতা যাচাই করা উচিত।

বয়োঃবৃদ্ধদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: বয়োঃবৃদ্ধদের ক্ষেত্রে ক্লিনাসিন মাত্রা সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই।

মাত্রাধিক্যতা

ওরাল ক্লিনাসিন এর ক্ষেত্রে মাত্রাধিক্যের ঘটনা বিরল। মাত্রাধিক্যের ফলে যেসব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তা স্বাভাবিক মাত্রার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অনুরুপ। এছাড়াও অপ্রত্যাশিত কিছু প্রতিক্রিয়াও দেখা দিতে পারে। রক্ত হতে ক্লিনাসিন দূরীকরণে হিমোডায়ালাইসিস ও পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস অকার্যকর। গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজের মাধ্যমে মাত্রাধিক্যের চিকিৎসা করা উচিত। কোন এন্টিডোট নেই।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Macrolides

পুনর্গঠন প্রণালী

ওরাল সলিউশন তৈরীর নিয়ম: প্রথমে বোতল ঝাঁকিয়ে পাউডারগুলো আলগা করে নিন। তারপর ৮০ মি.লি. ফুটানো ঠাণ্ডা পানি প্রস্তুতের সুবিধার্থে পানি দুইবারে মেশান। প্রতিবার পানি মেশানোর পর পাউডার সম্পূর্ণ রূপে না মেশা পর্যন্ত ঝাকান। বোতলের মুখ ভালভাবে বন্ধ করে ঠান্ডা স্থানে রাখুন। প্রস্তুতকৃত দ্রবণটি কক্ষ তাপমাত্রায় রাখলে ২ সপ্তাহের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে।

শিরায় ক্লিনাসিন ইনজেকশন ব্যবহারের নিয়ম: শিরায় প্রয়োগের পূর্বে ক্লিনাসিন ফসফেট ইনজেকশন অবশ্যই আরো পাতলা করে নিতে হবে। ক্লিনাসিনের মাত্রা যাতে ১৮ মি.গ্রা./মি.লি. অতিক্রম না করে এবং শিরায় প্রবেশের মাত্রা যাতে প্রতি মিনিটে ৩০ মি.গ্রা. অতিক্রম না করে।
  • একঘন্টায় একবারে ১২০০ মি.গ্রা. এর বেশী মাত্রাটি অনুমোদিত নয়।
  • মাংস পেশীতে একবারে ৬০০ মি.গ্রা. এর বেশী মাত্রায় ইনজেকশন অনুমোদিত নয়। মাংস পেশীতে দেবার ক্ষেত্রে ইনজেকশন আরো পাতলা করবারও প্রয়োজন নেই।
  • শিরায় ব্যবহৃত ওষুধ প্রয়োগের পূর্বে কোন ধরণের তলানী পড়েছে কিনা অথবা রংয়ের পরিবর্তন হয়েছে কিনা দেখে নেয়া উচিত।
দ্রবনীয়তা ও কার্যকারিতা: বিভিন্ন শারীরিক ও শরীরবৃত্তীয় পরীক্ষায় দেখা গেছে ক্লিনাসিন ফসফেট দ্রবণ যাতে সোডিয়াম ক্লোরাইড, গ্লুকোজ, ক্যালসিয়াম আছে অথবা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আছে তা কক্ষ তাপমাত্রায় ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত কার্যকর থাকে। সেফালোথিন, কানামাইসিন, জেনটামাইসিন, পেনিসিলিন ও কারবিমিসিনের সাথে ব্যবহারে কোন ধরনের অকার্যকারিতা নেই।

ক্লিনাসিন ইনজেকশন দ্রবণের স্থায়ীত্ব-
  • কক্ষতাপমাত্রঃ ২৫° সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ১৬ দিন।
  • রেফ্রিজারেটরঃ ৪°সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ৩২ দিন।

সংরক্ষণ

আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০ ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।