হাইড্রোকর্টিসন এসিটেট

নির্দেশনা

হাইড্রোকর্টিসন এসিটেটের প্রদাহরোধী কার্যকারিতাই এর প্রধান ওষুধগুণ। এছাড়া হাইড্রোকটিসন এসিটেটের ইমিউনোসাপ্রেসেন্ট ও অ্যান্টি-মাইটোটিক কার্যকারিতা আছে। ইহা নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
  • প্রাথমিক ইরিট্যান্ট ডার্মাটাইটিস
  • কন্ট্যাক্ট এলার্জিক ডার্মাটাইটিস
  • অ্যাটোপিক, ইনফ্যানটাইল, ডিসকয়েড বা স্ট্যাসিস একজিমা
  • সেবোরিক ডার্মাটাইটিস
  • লিচেন সিমপ্লেক্স এবং প্রুরিটাস অ্যানি
  • ফ্লেক্সুলার সোরিয়াসিস
  • ত্বকের জ্বালাপোড়া, চুলকানি এবং লাল হয়ে যাওয়া যেগুলো পোকামাকড়ের কামড়ে, মৃদু পোড়া বা সানবার্ণ এর ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।

মাত্রা ও সেবনবিধি

হাইড্রোকর্টিসন এসিটেট আক্রান্ত স্থানে অল্প পরিমানে দিনে দুই বা তিনবার ব্যবহার করা উচিত।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন

প্রতিনির্দেশনা

  • ব্যাকটেরিয়াজনিত, ভাইরাসজনিত বা ছত্রাকজনিত সংক্রমণসমূহ
  • ত্বকের আলসারসমূহ
  • অষুধটির প্রতি অতিসংবেদনশীলতা

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

হাইড্রোকর্টিসন এসিটেট ১% ক্রীম সাধারণত সুসহনীয়। কিন্তু অতিসংবেদনশীলতা দেখা দিলে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায় অতিমাত্রায় ব্যবহার পরিহার করা উচিত। ত্বকীয় ব্যবহারের কারণে হাইড্রোকর্টিসনের বুকের দুধে নিঃসরণের সম্ভবনা খুবই কম।

সতর্কতা

এড্রিনাল সাপ্রেসন হবার সম্ভাবনা থাকে বলে শিশুদের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের ব্যবহার এরিয়ে চলা উচিত। অন্যান্য কর্টিকোস্টেরয়েডের মত হাইড্রোকর্টিসনও দীর্ঘদিন ধরে মুখমণ্ডলের ত্বকে ব্যবহার করা উচিত নয়।

মাত্রাধিক্যতা

একিউট ওভারডোজ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবুও ক্রনিক ওভারডোজের ক্ষেত্রে বা অপব্যবহার হলে হাইপারকর্টিসিজম হতে পারে এবং সেক্ষেত্রে টপিক্যাল স্টেরয়েড
ব্যাবহার বন্ধ করতে হবে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Other Topical corticosteroids

সংরক্ষণ

আলো থেকে দূরে ও শুষ্ক স্থানে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।