ফাইটোমিনাডিওন

ফাইটোমিনাডিওন নবজাতকের ভিটামিন-কে এর অভাবজনিত রক্তক্ষরণ (ভিকেডিবি) প্রতিরোধে নির্দেশিত।

ভিটামিন কে হচ্ছে প্রোথম্বিন (ফ্যাক্টর II)-সহ রক্তজমাটের অন্যান্য ফ্যাক্টরসমূহ (ফ্যাক্টর VII, IX, X) এর হেপাটিক সংশ্লেষণে অতিপ্রয়োজনীয় একটি কো-ফ্যাক্টর। ভিটামিন-কে সাধারণত প্লাসেন্টার আবরণ অতিক্রম করতে পারে না এবং খুব সামান্য পরিমাণে মাতৃদুগ্ধে নিঃসরিত হয়। তাই জন্মের পর নবজাতকের ভিটামিন-কে এর অভাবজনিত রক্তক্ষরণ (ভিকেডিবি) হতে পারে। ফাইটোমিনাডিওন লিভারে রক্তজমাটের প্রয়োজনীয় ফ্যাক্টরসমূহের উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করে রক্তক্ষরণ প্রতিরোধে সহায়তা করে। ফাইটোমিনাডিওন মুখে খাওয়ানোর পর ইন্টেস্টাইনে শোষিত হয়ে লিভারে পৌছায় যা পিত্ত এবং অগ্নাশয়ের নিঃসরণের অনুপস্থিতেও হয়ে থাকে। ইহার প্লাজমা অর্ধায়ু ২-৩ ঘন্টা।

ক্যাপসুলের বন্ধ সংকীর্ণ মুখটিকে কেটে এর ভেতরের তরল চাপ দিয়ে নবজাতকের মুখে খাওয়াতে হবে।

• একটি ফাইটোমিনাডিওন (১ মিগ্রা) ক্যাপসুল জন্মের সাথে সাথে খাওয়াতে হবে, যদি প্রথম ডোজ মুখ থেকে বের হয়ে যায় তাহলে আরেকটি ডোজ দিতে হবে।
• শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ানো হয় এমন শিশুদের ক্ষেত্রে, প্রতি সপ্তাহে একটি করে ফাইটোমিনাডিওন ক্যাপসুল (১ মিগ্রা) ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত খাওয়াতে হবে।

ভিটামিন কে১ কোওমারিন জাতীয় ওষুধের একটি এন্টিডোট, তাই ওয়ারফারিন এর অতিমাত্রার চিকিৎসা ব্যতীত ইহাদের একত্রে ব্যবহার নির্দেশিত নয়। ফাইটোমিনাডিওন হেপারিনের এন্টিডোট নয়।

যে সকল নবজাতকের ফাইটোমিনাডিওন এর যেকোন একটি উপাদানের প্রতি অতিসংবেনশীলতার প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের ক্ষেত্রে পুনরায় ব্যবহার প্রতিনির্দেশিত।

মুখে খাওয়ানোর ফলে কোন ধরনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি।

প্রাসঙ্গিক নয়।

যে সকল শিশুরা প্রোটিন-সি বা প্রোটিন-এস এর স্বল্পতার জন্য ওয়ারফারিন দ্বারা চিকিৎসারত তাদের ক্ষেত্রে কোন ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Vitamin-K Preparations

আলো থেকে দূরে, ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে এবং শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণযোগ্য নয়।