হাইড্রোকর্টিসন বিউটাইরেট
নির্দেশনা
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে কর্টিকোস্টেরয়েডের প্রতিক্রিয়াশীল ডার্মাটোসিস প্রদাহজনিত ঘটনা এবং চুলকানি থেকে পরিত্রানের জন্য টপিক্যাল হাইড্রোকর্টিসােন বিউটাইরেট ব্যবহার করা হয়। ৩ মাস থেকে ১৮ বছর বয়সের পেডিয়াট্রিক রােগীদের মৃদু থেকে মাঝারি এটোপিক ডার্মাটাইটিসের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
ফার্মাকোলজি
টপিক্যাল কর্টিকোস্টেরয়েডগুলাে প্রদাহনাশক , এন্টিরাইটিক এবং রক্তনালীর সংকোচক জাতীয় গুণাগুণ বহন করে। কর্টিকোস্টেরয়েড সমূহ ফসপপালাইপেজ এ -২ নিরোধক প্রােটিন- লিপােকটিনসমূহকে উদ্দীপ্ত করার মাধ্যমে কাজ করে থাকে। এই প্রােটিনসমূহ এরাকিডোনিক এসিডের নিঃসরণকে বাধা দিয়ে প্রদাহ সৃষ্টিকারী প্রােস্টাগ্লান্ডিন এবং লিউকোট্রেইনের মত শক্তিশালী উপাদানসমূহের কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। কোষঝিল্লির যসপােলিপিড থেকে ফসপােলাইপেজ এ -২ এনজাইমের ক্রিয়ায় এরাকিডােনিক এসিড তৈরি হয়। এরাকিডােনিক এসিড কোষঝিল্লির ফসপােলিপিড থেকে ফসপােলাইপেজ এ -২ এনজাইমের ক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়।
মাত্রা ও সেবনবিধি
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: কর্টিকোস্টেরয়েড সংবেদনশীল ডার্মাটোসিসের জন্য রােগের তীব্রতার উপর নির্ভর করে আক্রান্ত স্থানে দৈনিক দুই থেকে তিন বার পাতলা করে ক্রীমের প্রলেপ দিয়ে মসূনভাবে প্রয়ােগ করতে হবে। ৩ মাস থেকে ১৮ বছরের বয়সীদের এটোপিক ডার্মাটাইটিসের জন্য দৈনিক দুইবার করে আক্রান্ত স্থানে ক্রিমের পাতলা প্রলেপ দিয়ে মসৃণভাবে ব্যবহার করতে হবে। চিকিৎসকের নির্দেশনা ব্যতীত ডায়াপার অঞ্চলে হাইড্রোকর্টিসােন বিউটাইবেট প্রয়ােগ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। রােগ নিয়ন্ত্রিত হলে ক্রীম প্রয়ােগ বন্ধ রাখতে হবে। ওষুধ প্রয়ােগের দুই সপ্তাহের মধ্যে কোন উন্নতি না হলে রোগ নির্ণয়ের পূনর্মূল্যায়ন প্রয়ােজন হতে পারে। ক্রীমের ব্যবহার ২ সপ্তাহ থেকে ৪ সপ্তাহে উন্নীত কার ক্ষেত্রে এইচপিএর এক্সিস নিবারণ এবং স্থানীয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিবেচনায় নিতে হবে। হাইড্রোকর্টিসােন বিউটাইরেট ৪ সপ্তাহের বেশি ব্যবহারের কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা সুনির্দিষ্ট নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত অকুসিভ ড্রেসিং (টাইট পরিধেয়) এর ক্ষেত্রে হাইড্রোকর্টিসােন বিউটাইরেট ব্যবহার করবেন না।
শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: তিন মাসের কম বয়সী শিশুদের প্রয়ােগের ক্ষেত্রে ওষুধের নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা সুপ্রতিষ্ঠিত নয়।
বয়স্কদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: ৬৫ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সীদের ক্ষেত্রে ওষুধের নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা সুপ্রতিষ্ঠিত নয়।
শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: তিন মাসের কম বয়সী শিশুদের প্রয়ােগের ক্ষেত্রে ওষুধের নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা সুপ্রতিষ্ঠিত নয়।
বয়স্কদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: ৬৫ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সীদের ক্ষেত্রে ওষুধের নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা সুপ্রতিষ্ঠিত নয়।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
হাইড্রোকর্টিসােন বিউটাইরেট এর সাথে কোন ঔষধের প্রতিক্রিয়া নেই।
প্রতিনির্দেশনা
হাইড্রোকর্টিসােন বিউটাইরেট এর যে কোন উপাদানের প্রতি সংবেদনশীল প্রতিক্রিনা থাকলে এটি ব্যবহার করা যাবে না।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
প্রথমবার প্রয়ােগের ক্ষেত্রে ত্বকের ব্যবহার্য স্থানে জ্বালা, চুলকানি, শুষ্কতা, লালচেভাব দেখা দিতে পারে। শরীরের সাথে সামঞ্জস্যতার ভিত্তিতে এই প্রভাব সমূহ কয়েকদিনের মধ্যেই অদৃশ্য হয়ে যায়।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
গর্ভকালীন সময়: গর্ভাবস্থায় এই ক্রীম ব্যবহারের কোন পর্যাপ্ত এবং সুনিয়ন্ত্রিত গবেষণা নেই। তাই জ্বণের ঝুঁকির তুলনায় গর্ভবতী মায়ের সুফলতার হার বেশি হলে এই ক্রীমটি ব্যবহার করা যাবে। নিম্ন মাত্রায় সিস্টেমিক সংবহনে প্রয়ােগ করলে পরীক্ষাগারের প্রাণিতে কর্টিকোস্টেরয়েডসমূহ টেরাটোজেনেসিটি প্রদর্শন করে। কিছু কর্টিকোস্টেরয়েড পরীক্ষাগারের প্রাণিতে ত্বকে প্রয়ােগের ফলে টেরাটোজেনেসিটি প্রদর্শন করে।
স্তন্যদানকালীন সময়: কর্টিকোস্টেরয়েডসমূহ ত্বকে প্রয়ােগ করলে তা শােষিত হয়ে মাতৃদুদ্ধে সনাক্তমাত্রায় উপস্থিত থাকার বিষয়ে কোন তথ্য জানা নেই। সিস্টেমিক সংবহনে প্রয়ােগ করলে তা মাতৃদুদ্ধে এমন মাত্রায় উপস্থিত থাকে যা শিশুর দেহে কোন ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করে। তবুও স্তন্যদানকালীন সময়ে ত্বকে কর্টিকোস্টেরয়েড প্রয়ােগের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
স্তন্যদানকালীন সময়: কর্টিকোস্টেরয়েডসমূহ ত্বকে প্রয়ােগ করলে তা শােষিত হয়ে মাতৃদুদ্ধে সনাক্তমাত্রায় উপস্থিত থাকার বিষয়ে কোন তথ্য জানা নেই। সিস্টেমিক সংবহনে প্রয়ােগ করলে তা মাতৃদুদ্ধে এমন মাত্রায় উপস্থিত থাকে যা শিশুর দেহে কোন ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করে। তবুও স্তন্যদানকালীন সময়ে ত্বকে কর্টিকোস্টেরয়েড প্রয়ােগের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
সতর্কতা
টপিকাল কর্টিকোস্টেরয়েডসমূহ সিস্টেমিক সংবহনে শােষণ হলে অস্থায়ীভাবে হাইপােথ্যালামিক পিটুইটারি- এড্রেনাল অক্ষের ক্রিয়া কমিয়ে দিতে পারে, তাছাড়া কিছু রােগীর ক্ষেত্রে কুশিং সিনড্রোম, হাইপারগ্লাইসেমিয়া এবং গ্লাইকোজুরিয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। অধিক কার্যকরী কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহার, ত্বকের অধিকাংশ অঞ্চলে ব্যবহার, দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার, টাইট পরিধেয় এইসব ক্ষেত্রে সিস্টেমিক সংবহনে শােষণের মাত্রা বাড়তে পারে। শিশুদের দেহে টপিক্যাল কর্টিকোস্টেরয়েডসমূহ তুলনামূলক বেশি শােষণ হওয়ায় তাদের ক্ষেত্রে। সিস্টেমিক বিষক্রিয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। ঔষধ প্রয়ােগের কারণে স্থানীয় জ্বালাতন দেখা দিলে ওষুধ প্রয়ােগ বন্ধ করে উপযুক্ত ঔষধ নির্বাচন করতে হবে। ত্বকের সংক্রমণ (ইনফেকশন) উপস্থিত থাকলে উপযুক্ত এন্টিফাংগাল বা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপকরণ প্রয়ােগ করতে হবে। আশানুরূপ প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলে সংক্রমণ পুরােপুরি নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত কর্টিকোস্টেরয়েড প্রয়ােগ বন্ধ করা উচিত।
সংরক্ষণ
২৫° সে. এর উপরে সংরক্ষণ করা যাবে না। আলাে থেকে দূরে রাখুন। ফ্রিজে রাখবেন না। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।