পেলারগোনিয়াম সিডোইডিস
নির্দেশনা
পেলারগোনিয়াম সিডোইডিস নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
- শ্বাসনালীর উপরের সংক্রমণজনিত লক্ষণ যেমন সাধারণ ঠান্ডা, কাশি বন্ধ নাক বা সর্দি এবং গলা ব্যথা
- রাইনোসাইনুসাইটিস
- টনসিলোফ্যারিন্জাইটিস
- জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী ব্রংকাইটিস
উপাদান
প্রতিটি ট্যাবলেটে আছে পেলারগোনিয়াম সিডোইডিস-এর স্ট্যান্ডার্ডাইজড নির্যাস ২০ মিগ্রা।
প্রতি ৫ মিলি সিরেপ আছে পেলারগোনিয়াম সিডোইডিস মূলের নির্যাস ১৩.৩৩ মিগ্রা।
প্রতি ৫ মিলি সিরেপ আছে পেলারগোনিয়াম সিডোইডিস মূলের নির্যাস ১৩.৩৩ মিগ্রা।
বিবরণ
জার্মানিতে ২০০৫ সালে একিউট ব্রংকাইটিস চিকিৎসার জন্য ফেডারেল ইন্সটিটিউট ফর ড্রাগস এন্ড মেডিকেল ডিভাইস কর্তৃক পেলারগোনিয়াম সিডোইডিস-এর নির্যাসকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিছু রেনডোমাইজসড, ডাবল-বাইন্ড, প্লাসেবো কন্ট্রোলড ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল থেকে দেখা গেছে যে, বয়স্ক ও শিশুদের একিউট ব্রংকাইটিস চিকিৎসার জন্য এটি কার্যকর ও নিরাপদ। এছাড়া ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) সাধারণ ঠান্ডার জন্য পেলারগোনিয়ামর নির্যাসকে সুপারিশ করেছে। সামপ্রতিক কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, এটির নির্যাস ভাইরাসজনিত ঠান্ডা, ফ্লু এবং শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধে ও চিকিৎসায় কার্যকর। পেলারগোনিয়াম সিডোইডিস-এর নির্যাস বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াল স্ট্রেইনের (ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়া, ইশকেরিশিয়া কোলি, সিউডোমোনাস এরুগিনোসা, প্রোটিয়াস মিরাবিলিস এবং স্ট্যাফাইলোকক্কাস এউরিয়াস বিশেষ করে মাল্টি-রেজিস্ট্যান্ট স্ট্রেইনস্) বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে। এছাড়া, এটি ইনফ্লুয়েঞ্জা-এ ভাইরাস স্ট্রেইনস্ (এইচ-১, এন-১, এইচ-৩, এন-২), রেসপিরাটরি সিন্কসাইশাল ভাইরাস (আরএসভি), রাইনোভাইরাস, করোনাভাইরাস, প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জ ভাইরাস, কক্সসাকি ভাইরাস-এর রেপ্লিকেশনকে সম্পূর্ণরূপে ইনহিবিট করে। সাধারণত, পেলারগোনিয়াম সিডোইডিস ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সাথে হোস্ট কোষের ইন্টারেকশানে বাধা দেয়, রেসপিরাটরি কোষগুলোতে সিলিয়ারি ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ায়। এছাড়াও শ্বাসনালীতে জমে থাকা মিউকাসকে পাতলা করে সেখানে থাকা প্যাথোজেনগুলোকে দ্রæত বের করে দেয় ফলে সংক্রমণ ভালো হয় এবং শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ হয়। এছাড়াও মাইক্রোফেজগুলোকে সক্রিয় করার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
মাত্রা ও সেবনবিধি
ট্যাবলেট-
- বয়স্ক ও ১২ বছরের উপরের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে: ১টি করে ট্যাবলেট দিনে ৩ বার (সকাল, দুপুর, রাত)।
- ৬-১২ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে: ১টি করে ট্যাবলেট দিনে ২ বার (সকালে ও রাতে) অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
- বয়স্ক এবং ১২ বছরের উপরের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে: ৭.৫ মিলি (১.৫ চা-চামচ) করে দিনে ৩ বার (সকাল, দুপুর ও রাত)।
- ৬ থেকে ১১ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে: ৫ মিলি (১ চা-চামচ) করে দিনে ৩ বার (সকাল, দুপুর ও রাত)।
- ১ থেকে ৫ বছর বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে: ২.৫ মিলি (০.৫ চা-চামচ) করে দিনে ৩ বার (সকাল, দুপুর ও রাত) অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন
প্রতিনির্দেশনা
জটিল লিভার ও কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এছাড়া, এর যে কোনো উপাদানে অতি সংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রেও প্রতিনির্দেশিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
এখন পর্যন্ত কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তবে মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে পেট ব্যথা, বুক জ্বালাপোড়া, বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
এ সময়ে ব্যবহার করা উচিত নয়।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Herbal and Nutraceuticals
সংরক্ষণ
শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। আলো থেকে দূরে, ৩০º সে. তাপমাত্রার নিচে ও শুষ্ক স্থানে রাখুন।