সুক্রোফেরিক অক্সিহাইড্রোক্সাইড

নির্দেশনা

দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগীর হাইপারফসফেটেমিয়ায় নির্দেশিত।

ফার্মাকোলজি

সুক্রোফেরিক অক্সিহাইড্রোক্সাইড একটি ফসফেট বাইন্ডার যা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত ডায়ালাইসিস রোগীদের সিরাম ফসফরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দেশিত। পরিপাক নালীর জলীয় পরিবেশে খাদ্যের ফসফেট এবং সুক্রোফেরিক অক্সিহাইড্রোক্সাইড এর হাইড্রক্সিল গ্রুপ এর মাঝে লিগ্যান্ড বিনিময় ঘটে। আবন্ধ ফসফেট মলের মাধ্যমে নিষ্কাশিত হয়। সিরাম ফসফরাস স্তর এবং ক্যালসিয়াম-ফসফরাস স্তর উভয়ই খাদ্যতালিকায় ফসফেট শোষণ হ্রাসের ফলে হ্রাস পায়।

মাত্রা ও সেবনবিধি

সুক্রোফেরিক অক্সিহাইড্রোক্সাইড ট্যাবলেট চিবানো বা চূর্ণ করা উচিত। পুরোটা গিলে ফেলবেন না। এর প্রস্তাবিত প্রারম্ভিক ডোজ হল প্রতিদিন ৩টি ট্যাবলেট (১৫০০ মিলিগ্রাম), খাবারের সাথে প্রতিদিন ৩ বার ১টি ট্যাবলেট (৫০০ মিলিগ্রাম) হিসাবে দেওয়া হয়।

সিরাম ফসফরাস স্তরের মাত্রা নিরীক্ষণ করুন এবং একটি গ্রহণযোগ্য সিরাম ফসফরাস স্তরে না পৌঁছানো পর্যন্ত প্রয়োজন অনুসারে ডিফস এর ডোজটি প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রাম (১ টি ট্যাবলেট) হ্রাস বা বৃদ্ধিতে টাইট্রেট করুন, তারপরে নিয়মিত পর্যবেক্ষণের সাথে সাপ্তাহিক হিসাবে টাইট্রেট করুন।

সুক্রোফেরিক অবশ্যই খাবারের সাথে দিতে হবে। খাদ্য থেকে আগত ফসফেট বাঁধাই সর্বাধিক করতে, খাবারের সাথে মোট দৈনিক ডোজ বিতরণ করুন। সাধারণত রোগী যে পরিমাণ তরল গ্রহণ করেন তার বেশি অতিরিক্ত তরল গ্রহণের প্রয়োজন হয় না।

সুক্রোফেরিক এর এক বা একাধিক ডোজ মিস হলে, পরবর্তী খাবারের সাথে ওষুধ আবার শুরু করা উচিত। মিসড ডোজ প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা করা যাবে না।

পেডিয়াট্রিক ব্যবহার: শিশু রোগীদের মধ্যে সুক্রোফেরিক অক্সিহাইড্রোক্সাইড এর নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

মৌখিক ক্যালসিট্রিওল, সিপ্রোফ্লক্সাসিন, ডিগক্সিন, এনালাপ্রিল, ফুরোসেমাইড, এইচএমজি-কোএ রিডাক্টেস ইনহিবিটরস, হাইড্রোক্লোরোথিয়াজাইড, লোসার্টান, মেটোপ্রোলল, নিফেডিপাইন, ওমেপ্রাজল, কুইনিডিন এবং ওয়ারফারিন সাথে একযোগে সুক্রোফেরিক অক্সিহাইড্রোক্সাইড দেওয়া যেতে পারে।

সুক্রোফেরিক অক্সিহাইড্রোক্সাইড এর কমপক্ষে ১ ঘন্টা আগে অ্যাসিটাইল স্যালিসাইলিক এসিড, সেফালেক্সিন এবং ডক্সিসাইক্লিন নিন।

সুক্রোফেরিক অক্সিহাইড্রোক্সাইড এর অন্তত ৪ ঘন্টা আগে লেভোথাইরক্সিন নিন।

উপরে তালিকাভুক্ত নয় এমন মৌখিক ওষুধের জন্য যেখানে জৈব উপলভ্যতা হ্রাস ক্লিনিক্যালি তাৎপর্যপূর্ণ হবে সেবনের সময় আলাদা করার কথা বিবেচনা করুন। ক্লিনিকাল প্রতিক্রিয়া বা সহগামী ওষুধের রক্তের মাত্রা নিরীক্ষণ বিবেচনা করুন।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

হেমোডায়ালাইসিস রোগীদের সুক্রোফেরিক অক্সিহাইড্রোক্সাইড চুষে খাওয়ার ট্যাবলেটের সবচেয়ে সাধারণ পার্শ্ব প্রতিত্রিনয়াগুলির মধ্যে রয়েছে বিবর্ণ মল (১২%) এবং ডায়রিয়া (৬%)।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরি ই। ইঁদুর এবং খরগোশের মধ্যে প্রজনন গবেষণা করা হয়েছে যথাক্রমে ১৬ এবং ৪ বার পর্যন্ত মানুষের শরীরের ওজনের ভিত্তিতে সর্বাধিক প্রস্তাবিত ক্লিনিকাল ডোজ, এবং প্রতিবন্ধী উর্বরতা বা সুক্রোফেরিক অক্সিহাইড্রোক্সাইড এর কারণে ভ্রূণের ক্ষতির প্রমাণ প্রকাশ করেনি। সর্বোচ্চ ক্লিনিকাল ডোজ ১৬ গুণ পর্যন্ত সুক্রোফেরিক অক্সিহাইড্রোক্সাইড গর্ভবতী ইদুরে ইমপান্টেশন-পরবর্তী ক্ষতি বৃদ্ধির সাথে যুক্ত ছিল। প্রাণীর প্রজনন গবেষণা সবসময় মানুষের প্রতিক্রিয়ার সাথে অনুমেয় নয়। গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে কোন পর্যান্ত এবং সুনিয়ন্ত্রিত গবেষণা নেই। যেহেতু সুক্রোফেরিক অক্সিহাইড্রোক্সাইড থেকে আয়রন ন্যূনতম শোষণ হয়- তাই মায়ের দুধে সুক্রোফেরিক অক্সিহাইড্রোক্সাইড নির্গমনের সম্ভাবনা কম।

সতর্কতা

গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ডিসঅর্ডার বা আয়রন অ্যাকিউমুলেশন ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত রোগীদের মনিটরিংঃ
  • পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিসের সময় পেরিটোনাইটিস,
  • উলেখযোগ্য গ্যাস্ট্রিক বা হেপাটিক ব্যাধি,
  • বড় গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল (জিত্মাই) অস্ত্রোপচারের পরে,
  • হিমোক্রোমাটোসিসের ইতিহাস বা আয়রন জমা সহ অন্যান্য রোগের সাথে সুক্রোফেরিক অক্সিহাইড্রোক্সাইড এর ক্লিনিকাল গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এই ধরনের রোগীদের মধ্যে প্রভাব এবং আয়রন হোমিওস্টেসিস পর্যবেক্ষণ করুন।

মাত্রাধিক্যতা

সুক্রোফেরিক অক্সিহাইড্রোক্সাইড এর অতিরিক্ত মাত্রার উপর ক্লিনিকাল ট্রায়াল থেকে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

সংরক্ষণ

২৫° সে তাপমাত্রার নিচে সংরক্ষণ করুন। আলো এবং আদ্রতা থেকে দূরে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

Available Brand Names