জিল্টারিটিনিব ফিউমারেট

নির্দেশনা

জিল্টারিটিনিব প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্দেশিত হয় যাদের এফডিএ-অনুমোদিত পরীক্ষার দ্বারা সনাক্তকৃত এফএমএস-সদৃশ টাইরোসিন কাইলেজ ৩ (এফএলটি৩) মিউটেশনের সাথে রিল্যাপস বা তীব্র মায়লোয়েড লিউকেমিয়া (এএমএল) রয়েছে।
* রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন

ফার্মাকোলজি

জিল্টারিটিনিব হল একটি ছোট অণু যা এফএমএস-এর মতো টাইরোসিন কাইনেস ৩ সহ একাধিক রিসেপ্টর টাইরোসিন কাইনেসকে বাধা দেয়। জিল্টারিটিনিব এফএলটি ৩ রিসেপ্টর সিগন্যালিংকে এবং কোষের বিস্তারে বাধা দেয়। জিল্টারিটিনিব এফএলটি-৩ আইটিডি প্রকাশকারী লিউকেমিক কোষগুলিতে অ্যাপোপটোসিস প্ররোচিত করে।

অনন্যা অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে দিনে একবার জিল্টারিটিনিব ১২০ মি. গ্রা. গ্রহণের পর নিম্নলিখিত ফার্মাকোকিনেটিক্স পরামিতিগুলি পরিলক্ষিত হয়। রিল্যাপসড বা রিফ্যাক্টরি এএমএল রোগীদের ক্ষেত্রে ২০ মি.গ্রা. থেকে ৪৫০ মি.গ্রা. (প্রস্তাবিত ডোজ থেকে ০.১৭ থেকে ৩.৭৫ গুণ) পর্যন্ত দৈনিক একবার ডোজ দিয়ে জিল্টারিটিনিব এক্সপোজার আনুপাতিকভাবে বৃদ্ধি পায়। জিল্টারিটিনিব প্রাথমিকভাবে সিওয়ইপি৩এ৪ (ইন ভিট্রো) মাধ্যমে বিপাক হয়। অন্যন্যা অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে, প্রাথমিক বিপাকীয় পদার্থের মধ্যে রয়েছে এম১৭ (এন-ডিঅ্যালকলেসন ও অক্সিডেসন, এর মাধ্যমে গঠিত), এম১৬ এবং এম১০ (উভয়টি এন-ডি অ্যালকাইলেসন এর মাধ্যমে গঠিত)। এই ৩টি বিপাকের কোনটিই সামগ্রিক বিপাকের ১০% অতিক্রম করেনি।

মাত্রা ও সেবনবিধি

জিল্টারিটিনিব এর প্রস্তাবিত শুরুর ডোজ হল ১২০ মি.গ্রা. (সেব্য) প্রতিদিন একবার খাবারের সাথে বা খাবার ছাড়া। রোগের অগ্রগতি বা বিরূপ প্রতিক্রিয়া অনুপস্থিতিতে, ক্লিনিকাল প্রতিক্রিয়ার জন্য নুন্যতম ৬ মাস চিকিৎসার পরামশ দেওয়া হয়। জিল্টারিটিনিব ট্যাবলেটগুলি ভেঙ্গে বা গুড়ো করে সেবন করবেন না। প্রতিদিন প্রায় একই সময়ে জিল্টারিটিনিব ট্যাবলেট গুলো সেবন করুন। যদি জিল্টারিটিনিব এর একটি ডোজ গ্রহণ করা না হয় বা স্বাভাবিক সময়ে নেওয়া না হয়, তবে একই দিনে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডোজটি সেবন করুন (পরবর্তী নির্ধারিত ডোজের কমপক্ষে ১২ ঘন্টা আগে)। পরের দিন স্বাভাবিক সময়সূচীতে অনুযায়ী জিল্টারিটিনিব সেবন করুন। ১২ ঘন্টার মধ্যে ২ ডোজ সেবন করবেন না।
* রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

সম্মিলিত পি-জিপি এবং শক্তিশালী সিওইয়পি৩এ ইনডিউসার সাথে জিল্টারিটিনিব একযোগে ব্যবহার জিল্টারিটিনিব এর এক্সপোজার হ্রাস করে যা জিল্টারিটিনিব এর কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে। সম্মিলিত পি-জিপি এবং শক্তিশালী সিওইয়পি৩এ ইনডিউসার সাথে জিল্টারিটিনিব এর ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

  • জ্বর
  • মাথা ঘোরা বা হালকা মাথাব্যথা
  • কাশি
  • দ্রুত ওজন বৃদ্ধি
  • শ্বাসকষ্ট
  • বাহু বা পা ফুলে যাওয়া
  • ফুসকুড়ি
  • মূত্র কমে যাওয়া

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরি ড়ি। জিল্টারিটিনিব গর্ভবতী নারী গ্রহণ করলে ভূণের ক্ষতি হতে পারে। জিল্টারিটিনিব মাতৃদুগ্ধের সাথে নির্গত হয় কিনা এমন কোন তথ্য পাওয়া যায় না। এ ধরনের রোগীদের জিল্টারিটিনিব গ্রহনের সময় মাতৃদুগ্ধ প্রদান থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।

সতর্কতা

ডিফারেনশিয়ান সিনড্রোম: ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলিতে জিল্টারিটিনিব দিয়ে চিকিৎসা করা রোগীদের ৩% ডিফারেন্সিয়েশন সিন্ড্রোম প্রকাশ করেছেন। ডিফারেনশিয়েশন সিন্ড্রোম দ্রুত বিস্তার করা মাইলয়েড কোষের সাথে যুক্ত, দ্রুত চিকিৎসা না করা হলে মৃত্যু ঝুঁকি হতে পারে। জিল্টারিটিনিব এর সাথে চিকিৎসা করা রোগীদের মধ্যে ডিফারেনসিয়েশন সিন্ড্রোমের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, ডিসপনিয়া, পুরাল ইফিউশন, পেরিকার্ডিয়াল ইফিউশন, পালমোনারি এডিমা, হাইপোটেনশন, দ্রুত ওজন বৃদ্ধি, পেরিফেরাল এডিমা, ফুসকুড়ি এবং রেনাল ডিসফাংশন। কিছু ক্ষেত্রে তীব্র জ্বর (নিউট্রোফিলিক ডার্মাটোসিস) হতে পারে।

পোস্টেরিয়র রিভার্সিবল এনসেফালোপ্যাথি সিন্ড্রোম: ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলিতে জিল্টারিটিনিব দিয়ে চিকিৎসা করা রোগীদের, খিচুনি এবং পরিবর্তিত মানসিক অবস্থার লক্ষণসহ ১% রোগী পোস্টেরিয়র রিভার্সিবল এনসেফালোপ্যাথি সিন্ড্রোম প্রকাশ করেছেন।

দীর্ঘায়িত কিউটি ব্যবধান: জিল্টারিটিনিব দীর্ঘায়িত কার্ডিয়াক ভেন্ট্রিকুলার রিপোলারাইজেশন (কিউটি ব্যবধান) এর সাথে যুক্ত। ক্লিনিকাল ট্রায়ালে জিল্টাবিটিনির এর সাথে চিকিৎসার জন্য পোস্ট-বেসলাইন কিউটিসি পরিমাপের ৩১৭ জন রোগীর মধ্যে, ১% রোগীর কিউটিসি ব্যবধান ৫০০ মিলিসেকেন্ড এর বেশি এবং ৭% রোগীর বেসলাইন কিউটিসি থেকে ৬০ মিলিসেকেন্ড এর বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Cytotoxic Chemotherapy

সংরক্ষণ

আলো থেকে দূরে ৩০° সে. এর নিচে সংরক্ষণ করুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

Available Brand Names