নাইট্রোগ্লিসারিন
নির্দেশনা
নাইট্রোগ্লিসারিন এনজিনা পেকটোরিস প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়। সাসটেইন্ড রিলিজ ট্যাবলেট হওয়ার কারনে খুব দ্রুত কাজ করে না তাই তীব্র এনজিনার চিকিৎসায় এটা উপকারী নয়।
ফার্মাকোলজি
নাইট্রোগ্লিসারিন প্রান্তীয় ধমনী ও শিরা উভয় রক্তনালীর প্রসারন ঘটিয়ে রক্তনালীর মসৃন পেশীর শিথিলতা ঘটায়। শিরার প্রসারন প্রান্তীয় রক্ত সঞ্চালন ত্বরান্বিত করে এবং শিরা থেকে হৃৎপিন্ডে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয় এজন্য বাম নিলয়ের শেষ হৃৎপ্রসারন চাপ (প্রিলোড) কমিয়ে দেয় এবং ধমনীর শিথিলতা সিস্টেমিক রক্তনালীর প্রতিরোধ ও ধমনীর চাপ (আফটার লোড) কমিয়ে দেয়।
মাত্রা ও সেবনবিধি
এনজিনার ব্যাথার তীব্রতা, নাইট্রোগ্লিসারিনের কার্যকারিতা ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার উপর নির্ভর করে রোগীর প্রয়োজন অনুসারে মাত্রা সমন্বয় করা হয়। প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য একটি করে নাইট্রোগ্লিসারিন ২.৬ মিঃগ্রাঃ সাসটেইন্ড রিলিজ ট্যাবলেট অথবা ক্যাপসুল সকালে ও রাতে খালি পেটে খেতে হবে।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
নাইট্রোগ্লিসারিন প্রান্তীয় রক্তনালীর প্রসারন ঘটায় এবং ভ্যাসোডাইলেটর, ক্যালসিয়াম এন্টাগোনিস্ট, বিটা এডরেনার্জিক ব্লকারের এন্টিহাইপারটেনসিভ প্রোপার্টি বাড়িয়ে দেয়। নাইট্রেটের সাথে ট্রাই সাইক্লিক এন্টিডিপ্রেশ্যান্ট এবং এলকোহল ব্যবহার করলে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। নাইট্রেটের সাথে ফসফোডাইএস্টারেজ টাইপ ৫ বিশেষ করে সিলডেনাফিল, ভারডেনাফিল এবং টাডালাফিল রক্তচাপ কমিয়ে দিতে পারে। এসপিরিন নাইট্রোগ্লিসারিনের ক্লিয়ারেন্স ও হিমোডাইনামিক এফেক্ট কমিয়ে দিতে পারে। হেপারিনের সাথে নাইট্রোগ্লিসারিন ব্যবহার করলে হেপারিনের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। নাইট্রেট, ডাইহাইড্রো আরগোটামিন এর বায়োএভেলেবিলিটি বাড়িয়ে দেয়।
প্রতিনির্দেশনা
যে সমস্ত রোগীর নাইট্রোগ্লিসারিন, অন্যান্য জৈব নাইট্রেট বা নাইট্রেট অথবা এই ঔষধের যে কোন উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা আছে তাদের ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত। যে সমস্ত রোগীর মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন, উলেখযোগ্য রক্ত স্বল্পতা, মাথার ট্রমা, সেরিব্রাল হিমোরেজ বা ক্লোজ এনগেল Glucoma আছে তাদের ক্ষেত্রে এটা প্রতিনির্দেশিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
খাওয়ার পর পরই তীব্র মাথা ব্যথা শুরু হতে পারে এবং সাধারনত কয়েক দিনের মধ্যে কমে যায়। যদি মাথা ব্যথা না কমে তবে মাত্রা কমিয়ে দিতে হবে। অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো হল ট্যাকিকার্ডিয়া, পোস্টোরাল হাইপোটেনশন, সাইনোকোপ, সায়ানোসিস ও মেথাইমোগ্লোবিনোমিয়া।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
গর্ভাবস্থা এবং স্তন্যপান করানোর সময় নাইট্রেটের নিরাপত্তা সম্পর্কিত কোন প্রমাণ নেই। নাইট্রোগ্লিসারিন গর্ভবতী মহিলাদের এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের দেওয়া উচিত যদি না চিকিত্সক দ্বারা প্রয়োজনীয় বিবেচিত হয়।
সতর্কতা
যে সমস্ত রোগীর ক্লোজ এনগেল Glucoma আছে তাদের ক্ষেত্রে নাইট্রোগ্লিসারিন সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। এনজিনা পেকটোরিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অন্যান্য ঔষধের সাথে ব্যবহার হঠাৎ বন্ধ করলে লক্ষণ বেড়ে যেতে পারে। দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসার পর বন্ধ করার ক্ষেত্রে কয়েকদিন ধরে মাত্রা আস্তে আস্তে কমিয়ে দিতে হবে এবং রোগীকে সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তীব্র মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনের প্রথমদিকে নাইট্রোগ্লিসারিনের ব্যবহারে হাইপোটেনশন ও ট্যাকিকার্ডিয়ার ঝামেলা এড়ানোর জন্যে হিমোডাইনামিক মনিটরিং ও ক্লিনিক্যাল স্ট্যাটাসের দিকে বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন।
মাত্রাধিক্যতা
অতিরিক্ত মাত্রার ক্ষেত্রে, রক্তচাপ এবং রিফ্লেক্স টাকাইকার্ডিয়া হ্রাস সহ পেরিফেরাল ভাসোডিলেশনের সম্ভাব্য লক্ষণ হতে পারে। এই ধরনের ইভেন্টে, কার্ডিয়াক ফাংশন পর্যবেক্ষণ এবং সাধারণ সহায়ক ব্যবস্থা ব্যবহার করা উচিত। সফল না হলে, তরল প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে রক্তরস পরিসঞ্চালনের পরিমাণ বৃদ্ধি করা উচিত। জীবন-হুমকির পরিস্থিতিতে, ভাসোপ্রেসারের ব্যাবহার বিবেচনা করা উচিত।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Nitrates: Coronary vasodilators
সংরক্ষণ
আলো ও তাপ থেকে দূরে শুষ্ক স্থানে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।