অ্যামিট্রিপটাইলিন হাইড্রোক্লোরাইড + ক্লোরডায়াজিপােক্সাইড
নির্দেশনা
এই প্রিপারেশন মাঝারি থেকে তীব্র মাত্রার বিষণ্নতা এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উদ্বিগ্নতা রােধে ব্যবহৃত হয়। চিকিৎসার প্রথম সপ্তাহ থেকেই যে সকল লক্ষণসমূহের উন্নতি লক্ষ্য করা যায় সেগুলাে হলাে নিদ্রহীনতা, অপরাধবােধ বা মূল্যহীনতা, উত্তেজনা, মানসিক ও শারীরিক উদ্বিগ্নতা, আত্মহত্যার প্রবণতা ও ক্ষুধামন্দা।
ফার্মাকোলজি
অ্যামিট্রিপটাইলিন হাইড্রোক্লোরাইড এবং ক্লোরডায়াজিপােক্সাইড যা যথাক্রমে মানসিক বিষণ্নতা ও দুশ্চিন্তা রােধে কার্যকরী। অ্যামিট্রিপটাইলিন মন্তিষ্কে নরএপিনেফরিন ও সেরােটোনিন পুনঃশােষণে বাধা প্রদান করে থাকে। এই দুটি উপাদানের পুনঃশােষণে বাধা প্রদানের মাধ্যমে অ্যামিট্রিপটাইলিন বিষণ্নতা রােধে ভূমিকা রাখে। ক্লোরডায়াজিপােক্সাইড গাবা রিসেপ্টর চ্যানেলের মধ্যদিয়ে ক্লোরাইডের অভ্যন্তরমুখী প্রবাহকে বাড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে মেমব্রেনের হাইপার পােলারাইজেশন ঘটিয়ে থাকে। এই স্নায়ু প্রশমনের মাধ্যমেই প্রশান্তি ও দুশ্চিন্তা মুক্তি লক্ষ্য করা যায়।
মাত্রা ও সেবনবিধি
পর্যাপ্ত সেবনমাত্রা লক্ষণ ও ব্যক্তির ক্ষেত্রে কার্যকরিতায় আলাদা। পর্যাপ্ত কার্যকারিতা পাওয়ার পর সেবনমাত্রা কমিয়ে এনে বন্ধ করতে হবে। সেবনমাত্রার বড় ভাগ রাতের বেলা নেয়া উচিত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাতে একবার সেবনই যথেষ্ট। প্রাথমিক পর্যায়ে ৩-৪ টি পর্যন্ত ট্যাবলেট দিনের বিভিন্ন ভাগে গ্রহণ করা যেতে পারে। অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
অ্যামিট্রিপটাইলিন থাকার কারনে এই প্রিপারেশনটি গুয়ানেথাইডিন বা একই পদ্ধতিতে কার্যকরী অন্যান্য উপাদানের উচ্চরক্তচাপ বিরােধী কার্যক্রমে বাধা প্রদান করে থাকে।
প্রতিনির্দেশনা
যে সকল রােগী বেনজোডায়াজেপিন বা ট্রাইসাইক্লিক এন্টিডিপ্রেসেন্টের প্রতি অতি সংবেদনশীল তাদের জন্যে এই প্রিপারেশোনটি প্রতিনির্দেশিত। এটি মনােঅ্যামাইন অক্সিডেজ ইনহিবিটরের সাথে ব্যবহার করা উচিত নয়।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ এই প্রিপারেশন ব্যবহারে বিষণ্নতার সাথে সাধারণ লক্ষণসমূহ যেমন- ক্ষুধামন্দা, ক্লান্তি, দূর্বলতা, অস্থিরতা ও তন্দ্রাভাব ইত্যাদি লক্ষ্য করা যায়।
প্রতিকূল প্রতিক্রিয়াঃ তন্দ্রাভাব, শুদ্ধ মুখ, কোষ্টকাঠিন্য, ঝাপসা দৃষ্টি, মাথা ঘােরানাে, পেটফাপা ইত্যাদি লক্ষণ বেশী পরিলক্ষিত হয়। অন্যান্য প্রতিক্রিয়ার মধ্যে প্রগাঢ় স্বপ্ন, যৌন অক্ষমতা, কম্পন, দ্বিধা বােধ ও নাক বন্ধ হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ সমূহ অল্প মাত্রায় দেখা যায়।
প্রতিকূল প্রতিক্রিয়াঃ তন্দ্রাভাব, শুদ্ধ মুখ, কোষ্টকাঠিন্য, ঝাপসা দৃষ্টি, মাথা ঘােরানাে, পেটফাপা ইত্যাদি লক্ষণ বেশী পরিলক্ষিত হয়। অন্যান্য প্রতিক্রিয়ার মধ্যে প্রগাঢ় স্বপ্ন, যৌন অক্ষমতা, কম্পন, দ্বিধা বােধ ও নাক বন্ধ হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ সমূহ অল্প মাত্রায় দেখা যায়।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
গর্ভাবস্থায় ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে ইহার নিরাপদ ব্যবহার প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
সতর্কতা
মৃগী রােগীর ক্ষেত্রে এটি সাবধানতার সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত। হাইপারথাইরয়েড এর রােগী বা যারা থাইরয়েডের ঔষধ গ্রহণ করেন তাদের ক্ষেত্রে এই প্রিপারেশোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিবিড় পর্যবেক্ষণ প্রয়ােজন হয়। ত্রুটিপূর্ণ কিডনী বা লিভারের রােগীদের ক্ষেত্রেও এই প্রিপারেশোন ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। শিশুদের জন্য এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবস্থার অবনতি, আত্মহত্যার প্রবণতা ও আচরণের অস্বাভাবিক পরিবর্তনসমূহ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার
শিশুদের ক্ষেত্রে: শিশুদের ক্ষেত্রেও ইহার কার্যকারিতা প্রমানিত নয়। শিশু কিশােরদের ক্ষেত্রে এর ব্যবহারে প্রয়ােজনীয়তার পাশাপাশি ঝুকিগুলাে বিবেচনায় রাখতে হবে।
বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে: বয়ােজ্যেষ্ঠ ও দুর্বল রােগীদের ক্ষেত্রে অপসংগতি, অতি নিদ্রা, দ্বিধা বােধ ইত্যাদি রােধে সর্বনিম্ন মাত্রায় গ্রহন করা উচিত।
বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে: বয়ােজ্যেষ্ঠ ও দুর্বল রােগীদের ক্ষেত্রে অপসংগতি, অতি নিদ্রা, দ্বিধা বােধ ইত্যাদি রােধে সর্বনিম্ন মাত্রায় গ্রহন করা উচিত।
মাত্রাধিক্যতা
এই ধরণের ঔষধে অতিরিক্ত মাত্রার ব্যবহার মৃত্যু ঘটাতে পারে। অ্যামিট্রিপটাইলিন এর অতিরিক্ত মাত্রা ব্যবহারে অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, নিম্ন রক্তচাপ, খিচুনী ও স্নায়ুবিক বিষণ্নতা ইত্যাদি লক্ষণ প্রকাশ পায় যা অচেতন অবস্থা পর্যন্ত পৌছাতে পারে। বেনজোডায়াজেপিন এর অতিরিক্ত ব্যবহারে তন্দ্রাভাব, দ্বিধা বােধ, অচেতন অবস্থা এবং হ্রাসপ্রাপ্ত প্রতিবর্তী ক্রিয়া দেখা যেতে পারে।
ক্লোরডায়াজিপােক্সাইড হঠাৎ গ্রহন বন্ধ করলে বারবিচুরেট ও অ্যালকোহল বন্ধের ন্যায় খিচুনি, কম্পন, পেটে ও মাংসপেশীতে টান, বমি, ঘাম ইত্যাদি লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়। কয়েক মাস সঠিক মাত্রায় গ্রহনের পর বন্ধ করলে সাময়িক খারাপ লাগা ও তন্দ্রাহীনতার মত মুদু লক্ষণ প্রকাশ পায়। অ্যামিট্রিপটাইলিন হঠাৎ বন্ধে বমি ভাব, মাথা ব্যথা, অস্থিরতাবােধ দেখা যায়।
ক্লোরডায়াজিপােক্সাইড হঠাৎ গ্রহন বন্ধ করলে বারবিচুরেট ও অ্যালকোহল বন্ধের ন্যায় খিচুনি, কম্পন, পেটে ও মাংসপেশীতে টান, বমি, ঘাম ইত্যাদি লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়। কয়েক মাস সঠিক মাত্রায় গ্রহনের পর বন্ধ করলে সাময়িক খারাপ লাগা ও তন্দ্রাহীনতার মত মুদু লক্ষণ প্রকাশ পায়। অ্যামিট্রিপটাইলিন হঠাৎ বন্ধে বমি ভাব, মাথা ব্যথা, অস্থিরতাবােধ দেখা যায়।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Combined anxiolytics & anti-depressant drugs
সংরক্ষণ
আলাে থেকে দূরে, ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন। সকল ঔষধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।