মিথাইলডোপা
নির্দেশনা
মিথাইলডোপা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দেশিত।
মাত্রা ও সেবনবিধি
প্রাপ্ত বয়ষ্ক:
প্রারম্ভিক পর্যায়: সাধারণত মিথাইলডোপা ২৫০ মি.গ্রা. দিনে ২ অথবা ৩ বার। এরপর যথাযথ কার্যকারিতা পাওয়ার জন্য সেবনমাত্রা কমানো বা বাড়ানো যেতে পারে (তবে অন্তত ২ দিনের বিরতি অগ্রাধিকারযোগ্য)। তন্দ্রাচ্ছন্নতা এড়াতে সেবনমাত্রা সান্ধ্যকালীন সময়ে বাড়ানো উচিত। অন্যান্য উচ্চরক্তচাপ নিরোধক ওষুধের সাথে ব্যবহার করলে মিথাইলডোপার সেবনমাত্রা সাবধানে নির্ধারণ করা উচিত। থায়াজাইড ছাড়া অন্যান্য উচ্চ রক্তচাপ নিরোধক ওষুধের সাথে মিথাইলডোপার প্রারম্ভিক মাত্রা ৫০০ মি.গ্রা. ২ ভাগে ভাগ করে দেয়া উচিত। মিথাইলডোপা থায়াজাইডের সাথে ব্যবহার করলে থায়াজাইডের সেবনমাত্রা পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই।
নিয়ন্ত্রণ পর্যায়: মিথাইলডোপা সাধারণত ৫০০ মি.গ্রা. থেকে ২ গ্রাম দিনে ২ থেকে ৪ ভাগে ভাগ করে দেয়া উচিত। যদিও কিছু রোগীর ক্ষেত্রে মিথাইলডোপা উচ্চমাত্রায় কার্যকর তথাপি নির্দেশিত সর্বোচ্চ মাত্রা দিনে ৩ গ্রাম। কখনও কখনও চিকিৎসার ২য় অথবা ৩য় মাসে মিথাইলডোপার কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। এক্ষেত্রে সেবনমাত্রা বাড়িয়ে অথবা ডাইইউরেটিক যোগ করে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। চিকিৎসার প্রারম্ভিক পর্যায়ে যাদের ক্ষেত্রে থায়াজাইড যোগ করা হয়নি বা যাদের উচ্চ রক্তচাপ ২ গ্রাম মিথাইলডোপা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি তাদের ক্ষেত্রে থায়াজাইড যোগ করা যেতে পারে। মিথাইলডোপা প্রধানত কিডনীর মাধ্যমে নিঃসৃত হয় এবং কিডনীর অসমকার্যকারিতায় মিথাইলডোপা অল্প মাত্রাই কার্যকর। বয়স্ক রোগীদের অবচেতন অবস্থা, সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি এবং জটিল আর্টেরিওস্ক্লেরোটিক রোগের সাথে সম্পর্কযুক্ত। মিথাইলডোপার অল্প মাত্রায় এই অবস্থা এড়ানো সম্ভব।
শিশুদের ক্ষেত্রে: প্রারম্ভিক মাত্রা ১০ মি.গ্রা./কেজি, দিনে ২ থেকে ৪ বার করে। এরপর প্রতিদিনের মাত্রা কার্যকরী নিয়ন্ত্রণের ভিত্তিতে কমানো বা বাড়ানো যেতে পারে। সর্বোচ্চ মাত্রা ৬৫ মি.গ্রা./কেজি অথবা দিনে ৩ গ্রাম, যেটি তুলনামূলক ভাবে কম।
প্রারম্ভিক পর্যায়: সাধারণত মিথাইলডোপা ২৫০ মি.গ্রা. দিনে ২ অথবা ৩ বার। এরপর যথাযথ কার্যকারিতা পাওয়ার জন্য সেবনমাত্রা কমানো বা বাড়ানো যেতে পারে (তবে অন্তত ২ দিনের বিরতি অগ্রাধিকারযোগ্য)। তন্দ্রাচ্ছন্নতা এড়াতে সেবনমাত্রা সান্ধ্যকালীন সময়ে বাড়ানো উচিত। অন্যান্য উচ্চরক্তচাপ নিরোধক ওষুধের সাথে ব্যবহার করলে মিথাইলডোপার সেবনমাত্রা সাবধানে নির্ধারণ করা উচিত। থায়াজাইড ছাড়া অন্যান্য উচ্চ রক্তচাপ নিরোধক ওষুধের সাথে মিথাইলডোপার প্রারম্ভিক মাত্রা ৫০০ মি.গ্রা. ২ ভাগে ভাগ করে দেয়া উচিত। মিথাইলডোপা থায়াজাইডের সাথে ব্যবহার করলে থায়াজাইডের সেবনমাত্রা পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই।
নিয়ন্ত্রণ পর্যায়: মিথাইলডোপা সাধারণত ৫০০ মি.গ্রা. থেকে ২ গ্রাম দিনে ২ থেকে ৪ ভাগে ভাগ করে দেয়া উচিত। যদিও কিছু রোগীর ক্ষেত্রে মিথাইলডোপা উচ্চমাত্রায় কার্যকর তথাপি নির্দেশিত সর্বোচ্চ মাত্রা দিনে ৩ গ্রাম। কখনও কখনও চিকিৎসার ২য় অথবা ৩য় মাসে মিথাইলডোপার কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। এক্ষেত্রে সেবনমাত্রা বাড়িয়ে অথবা ডাইইউরেটিক যোগ করে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। চিকিৎসার প্রারম্ভিক পর্যায়ে যাদের ক্ষেত্রে থায়াজাইড যোগ করা হয়নি বা যাদের উচ্চ রক্তচাপ ২ গ্রাম মিথাইলডোপা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি তাদের ক্ষেত্রে থায়াজাইড যোগ করা যেতে পারে। মিথাইলডোপা প্রধানত কিডনীর মাধ্যমে নিঃসৃত হয় এবং কিডনীর অসমকার্যকারিতায় মিথাইলডোপা অল্প মাত্রাই কার্যকর। বয়স্ক রোগীদের অবচেতন অবস্থা, সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি এবং জটিল আর্টেরিওস্ক্লেরোটিক রোগের সাথে সম্পর্কযুক্ত। মিথাইলডোপার অল্প মাত্রায় এই অবস্থা এড়ানো সম্ভব।
শিশুদের ক্ষেত্রে: প্রারম্ভিক মাত্রা ১০ মি.গ্রা./কেজি, দিনে ২ থেকে ৪ বার করে। এরপর প্রতিদিনের মাত্রা কার্যকরী নিয়ন্ত্রণের ভিত্তিতে কমানো বা বাড়ানো যেতে পারে। সর্বোচ্চ মাত্রা ৬৫ মি.গ্রা./কেজি অথবা দিনে ৩ গ্রাম, যেটি তুলনামূলক ভাবে কম।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
মিথাইলডোপা উচ্চ রক্তচাপ নিরোধক ওষুধের সাথে ব্যবহার করলে উচ্চ রক্তচাপ সুনিয়ন্ত্রিত হয়। মিথাইলডোপা ব্যবহারকালে এনেসথেশিয়ার ওষুধের মাত্রা রোগীদের ক্ষেত্রে কম প্রয়োজন হতে পারে। মিথাইলডোপা ও লিথিয়াম একত্রে ব্যবহার করলে রোগীদের লিথিয়াম বিষক্রিয়ার উপসর্গ সতর্কতার সাথে লক্ষ্য করা উচিত। মিথাইলডোপার সাথে ফেরাস সালফেট বা ফেরাস গ্লুকোনেট নির্দেশিত নয়।
প্রতিনির্দেশনা
কার্যকরী লিভারের রোগ যেমন-একিউট হেপাটাইটিস, একটিভ সিরোসিস। লিভারের অকার্যকারিতা যা পুর্বে মিথাইলডোপার চিকিৎসার সাথে সম্পর্কিত। মিথাইলডোপার যেকোন উপাদানের প্রতি সংবেদনশীলতা। মনো এমাইনো অক্সিডেজ ইনহিবিটর দ্বারা চিকিৎসাকালীন।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
তন্দ্রাচ্ছন্নতা, মাথাব্যথা, অবশ অথবা দুর্বলতা প্রারম্ভিক ও সামরিক উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। আরও কিছু উপসর্গ যা কদাচিৎ দেখা যেতে পারে- অ্যানযাইনা পেকটোরিস, কনজেসটিড হার্ট ফেইলিওর, অর্থোস্টেটিক হাইপোটেনশন, ইডিমা, ওজন বৃদ্ধি, ব্রাডিকার্ডিয়া, পেনক্রিয়াটাইটিস, কোলাইটিস, বমি, পাতলা পায়খানা, বমি বমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, শুষ্ক মুখ, হাইপারপ্রোলেকটিনিমিয়া, বোনমেরো ডিপ্রেসন, লিউকোপেনিয়া, গ্রানুলোসাইটোপেনিয়া, থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া, হিমোলাইটিক এনিমিয়া, রিউমাটয়েড ফ্যাক্টর, হেপাটাইটিস, জন্ডিস, মায়োকার্ডাইটিস, পেরিকার্ডাইটিস, ভাস্কুলাইটিস, ইউসোনিফিলিয়া, পার্কিনসনিজম, বেলস পোলসি, নাইট মেয়ারস, সাইকোসিস অথবা অবসন্নতা, মাথা হালকা ভাব, প্যারেসথেসিয়া, আর্থালজিয়া, মায়ালজিয়া, ন্যাসাল স্টাফিনেস, র্যাশ, অ্যামিনোরিয়া, গাইনোকোমাসটেসিয়া, লেকটেশন, ইমপোটেন ইত্যাদি। তথাপি মিথাইলডোপার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই অনিয়মিত এবং এ ওষুধ সাধারণত সুসহনীয়।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
গর্ভাবস্থায় ক্যাটাগরী বি। স্তন্যদানকালে মিথাইলডোপা মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয়। সেজন্য স্তন্যদানকালে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
সতর্কতা
যাদের লিভারের রোগ অথবা অক্ষমতার ইতিহাস আছে। মিথাইলডোপা গ্রহণকালীন যাদের ইডিমা অথবা ওজন বৃদ্ধির ইতিহাস আছে যা ডাইইউরেটিকস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। যাদের ক্ষেত্রে ইডিমা বর্ধনশীল অথবা হার্ট ফেইলিওরের উপসর্গ দেখা দেয় তাদের ক্ষেত্রে মিথাইলডোপা ব্যবহার করা ঠিক নয়। ডায়ালাইসিস করার পর রোগীদের কখনও কখনও উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে কেননা মিথাইলডোপা প্রধানত এই প্রক্রিয়াতেই নিঃসৃত হয়। তীব্র বাইলেটারাল সেরিব্রোভাস্কুলার রোগের ক্ষেত্রে কখনও কখনও অনিয়ন্ত্রিত কোরিওএ্যাথেটোটিক মুভমেন্ট লক্ষ্য করা যায়। এসব ক্ষেত্রে মিথাইলডোপা বন্ধ করে দেয়া উচিত।
বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার
শিশুদের ক্ষেত্রে: শিশুদের জন্য সেধরনের কোন সুনিয়ন্ত্রিত ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা নেই। শিশুদের জন্য মাত্রা, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে নির্দেশিত।
মাত্রাধিক্যতা
মিথাইলডোপার মাত্রাধিক্যে হঠাৎ নিম্ন রক্তচাপসহ মস্তিষ্ক ও পরিপাকতন্ত্রের আরও কিছু বিরূপ কার্যকারিতা (যেমন: অতিরিক্ত তন্দ্রাচ্ছন্নতা, দুর্বলতা, ব্রাডিকার্ডিয়া, মাথাঘোরা, মাথা হালকা, কোষ্ঠকাঠিন্য, পাতলা পায়খানা, বমি বমি ভাব, বমি) দেখা যায়। মাত্রাধিকোর নিয়ন্ত্রণে উপসর্গভিত্তিক ব্যবস্থা প্রয়োগ করতে হবে। নিকটবর্তী সময়ে সেবন করলে গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ অথবা এমেসিস এর মাধ্যমে শোষণ কমাতে হবে। সেবন সময় দূরবর্তী হলে ইনফিউশনের মাধ্যমে মুত্র নিঃসরণ বাড়িয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়ানো সম্ভব।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Centrally acting antihypertensive drugs (central sympatholytic)
সংরক্ষণ
৩০°সে. এর উপরে সংরক্ষণ করা হতে বিরত থাকুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।