নাইট্রোফিউরানটোইন

নির্দেশনা

নাইট্রোফিউরানটোইন এসচেরিসিয়া কোলাই, এন্টারােক্কাই, স্ট্যাফাইলােকক্কাস অরিয়াস, স্ট্যাফাইলােকক্কাস স্যাপ্রােফাইটিকাস এবং কিছু ক্লেবসিয়েলা ও এন্টারােব্যাকটার এর সংবেদনশীল প্রজাতি দ্বারা সংক্রমিত শুধুমাত্র মূত্রনালীর সংক্রমণের চিকিৎসা ও প্রতিরােধে নির্দেশিত।

ফার্মাকোলজি

নাইট্রোফিউরানটোইন একটি ব্যাকটেরিয়া বিরােধী ওষুধ যা মূত্রনালীর সংক্রমণে সুনির্দিষ্ট। নাইট্রোফিউরানটোইন মূত্রে অতিমাত্রায় দ্রবীভূত হয় যা বাদামী বর্ণের মূত্রের জন্য দায়ী। নাইট্রোফিউরানটোইন ব্যাকটেরিয়ার রাইবােজোমাল প্রােটিন এবং অন্যান্য বৃহদানুকে নিষ্ক্রিয় করে অথবা পরিবর্তন করে। নাইট্রোফিউরানটোইন নিম্নলিখিত ব্যাকটেরিয়ার বিবুদ্ধে কার্যকর: গ্রাম পজিটিভ এ্যারােবস- স্ট্যাফাইলােকক্কাস স্যাপ্রোফাইটিকাস, কোয়াগুলেজ-নেগেটিভ স্ট্যাফাইলােকক্কাই (স্ট্যাফাইলােক্কাস এপিডার্মিডিস সহ), এন্টারোকক্কাস ফেকালিস, স্ট্যাফাইলােক্কাস অরিয়াস, স্ট্রেপ্টোকক্কাস এ্যাগ্যালাকটিয়ে, গ্রুপ ডি. স্ট্রেপ্টোকক্কাই, ভিরিডান্‌স গ্রুপ স্ট্রেপ্টোকক্কাই। গ্রাম-নেগেটিভ এ্যারােব্স‌- এসচেরিসিয়া কোলাই, সিট্রোব্যাকটার এ্যামালােনেটক্যাস, সিট্রোব্যাকটার ডাইভারসাস্‌, সিট্রোব্যাকটার ফ্রন্ডি, ক্লেবসিয়েলা অক্সিটোকা, ক্লেবসিয়েলা ওজানিয়ে।

ঔষধের মাত্রা

নাইট্রোফিউরানটোইন ট্যাবলেট (প্রাপ্তবয়স্ক রােগীদের ক্ষেত্রে):
  • মুত্রনালীর অজটিল সংক্রমণে: ৫০-১০০ মি.গ্রা. প্রতিদিন ৪ বার নিম্নতর মাত্রা নির্দেশিত। মূত্র জীবাণুমুক্ত হওয়ার পর ৭ দিন পর্যন্ত অথবা কমপক্ষে ৩ দিন চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।
  • সংক্রমণকে দমিয়ে রাখার ক্ষেত্রে: মাত্রা কমিয়ে শােয়ার সময় ৫০-১০০ মি.গ্রা. মাত্রাই পর্যাপ্ত।
নাইট্রোফিউরানটোইন ক্যাপসুল:
  • মূত্রনালীর তীব্র অজটিল সংক্রমণে: ৫০ মি.গ্রা. ক্যাপসুল দিনে চার বার ৭ দিন এর জন্য।
  • দীর্ঘমেয়াদী প্রশমন: ৫০-১০০ মি.গ্রা. দিনে একবার।
  • প্রোফাইল্যাক্সিস: ৫০ মি.গ্রা. করে দিনে ৪ বার এই সময়কালে এবং এর পরবর্তী ৩ দিনের জন্য।
নাইট্রোফিউরানটোইন এসআর ক্যাপসুল:
  • প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১২ বছরের উপর শিশুদের ক্ষেত্রে: প্রতি ১২ ঘন্টায় ১টি করে ১০০ মি.গ্রা. ক্যাপসুল ৭ দিনের জন্য।
  • মুত্র-জননালীর সার্জিক্যাল প্রোফাইল্যাক্সিস: ১টি করে ক্যাপসুল দিনে ২ বার শুরুর দিন থেকে পরবর্তী ৩ দিন এর জন্য।
নাইট্রোফিউরানটোইন সাসপেনশন: শিশুদের ক্ষেত্রে: প্রতিদিন ৫-৭ মি.গ্রা./কেজি ৪ টি বিভক্ত মাত্রায় নির্দেশিত। (নাইট্রোফিউরানটোইন ১ মাস বয়সের নিচে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত)। শিশুদের জন্য নাইট্রোফিউরানটোইন ওরাল সাসপেনসনের ডোজ নিম্নে দেওয়া হলোঃ
  • দৈহিক ওজন ৭ থেকে ১১ কেজি: ১/২ চা চামচ (২.৫ মি.লি.) দিনে ৪ বার
  • দৈহিক ওজন ১২ থেকে ২১ কেজি: ১ চা চামচ (৫ মি.লি.) দিনে ৪ বার
  • দৈহিক ওজন ২২ থেকে ৩০ কেজি: ১.৫ চা চামচ (৭.৫ মি.লি.) দিনে ৪ বার
  • দৈহিক ওজন ৩১ থেকে ৪১ কেজি: ২ চা চামচ (১০ মি.লি.) দিনে ৪ বার।
মূত্র জীবাণুমুক্ত হওয়ার পর ৭ দিন পর্যন্ত অথবা কমপক্ষে ৩ দিন চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। শিশুদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার (সংক্রমকে দমিয়ে রাখা) ক্ষেত্রে প্রতিদিন ১ মি.গ্রা./কেজি একক মাত্রই অথবা ২টি বিভক্ত মাত্রই যথেষ্ট।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন

সেবনবিধি

নাইট্রোফিউরানটোইন খাবারের সাথে গ্রহণ করতে হবে।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

নাইট্রোফিউরানটোইন এর সাথে ম্যাগনেসিয়াম ট্রাইসিলিকেট এর কোন এন্টাসিড একসাথে খেলে এটা নাইট্রফিউরানটোইনের পরিশােষনের মাত্রা ও পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ইউরিকোসুরিক ঔষধ, যেমন- প্রবিনিসিড, সালফিলপাইরাজোন বৃক্কের নালিকায় নাইট্রোফিউরানটোইন এর নিঃসরন বন্ধ করে দেয়।

প্রতিনির্দেশনা

এ্যানুরিয়া, অলিগইউরিয়া অথবা বৃক্কের মারাত্মক অসমকার্যকারিতায় এটি প্রতিনির্দেশিত। এই ওষুধটি ৩৮-৪২ সপ্তাহের গর্ভবতী রােগীদের ক্ষেত্রে, প্রসবপূর্ব ও প্রসবকালীন সময়ে প্রতিনির্দেশিত। যেসব রােগী নাইট্রোফিউরানটোইন এর প্রতি অতি সংবেদনশীল তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

যেসব পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তা হলো- বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা এবং পেট ফাঁপা। অন্যান্য যেসব পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া কম দেখা যায় তা হলাে ডায়রিয়া, ক্ষুধামন্দা, পেট ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমি, কানে ভোঁ ভোঁ করা, ঝিমুনি।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

প্রেগন্যান্সি ক্যাটেগরি বি। গর্ভবতী মায়েদের উপর কোন পর্যাপ্ত এবং সুনিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা হয়নি। এই ঔষধটি গর্ভাবন্থায় তখনই দেয়া যাবে যখন এটি সুস্পষ্টভাবে নির্দেশিত। নাইট্রোফিউরানটোইন অল্প পরিমাণে মাতৃদুগ্ধে নিঃসরিত হয়। যেহেতু ১ মাসের নিচে বাচ্চাদেয় ক্ষেত্রে মারাত্মক পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে সেহেতু এই ওযুধ দেয়ার পূর্বে এর গুরুত্ব বিবেচনা করে হয় দুগ্ধদান থেকে বিরত থাকতে হবে অথবা ঔষধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

সতর্কতা

যদি তীব্র, অল্প তীব্র অথবা দীর্ঘমেয়াদী পালমােনারী রিয়্যাকশন দেখা দেয় তবে নাইট্রোফিউর়ানটোইন দেয়া বন্ধ করতে হবে। নাইট্রোফিউর়ানটোইন এর সাথে ম্যাগনেসিয়াম ট্রাইসিলিকেট এর কোন এন্টাসিড খাওয়া হবে না।

মাত্রাধিক্যতা

নাইট্রোফিউরানটোইন এ তীব্র মাত্রাধিক্যতায় বমি ছাড়া আর কোন সুনির্দিষ্ট লক্ষণ প্রকাশ পায় না। এক্ষেত্রে বমি করাতে হবে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Systemic Urinary Anti- infective

সংরক্ষণ

৩০° সে, এর উপরে সংরক্ষন করা হতে বিরত থাকুন। আলাে থেকে দূরে এবং শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

Available Brand Names