এ্যাসপিরিন
নির্দেশনা
এ্যাসপিরিন নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
- ধমনীর প্রতিবন্ধকতার প্রতিষেধক হিসেবে: মায়ােকার্ডিয়াল ইনফার্কশন, মায়ােকার্ডিয়াল রি-ইনফার্কশন, বাইপাস সার্জারী, একিউট ইস্কেমিক স্ট্রোক/ ট্রানজিয়েন্ট ইস্কেমিক স্ট্রোক (টিআইএ)।
- মৃদু থেকে মাঝারী ধরণের ব্যথা: মাথা ব্যথা, মাংসপেশীর ব্যথা, ঋতুকষ্ট ও দাঁতের ব্যথা।
- ব্যথা এবং প্রদাহজনিত দীর্ঘস্থায়ী রােগ: অস্থিসন্ধির বাতজনিত ব্যথা।
- জ্বর উপশমক হিসেবে: ঠাণ্ডা জ্বর ও ইনফ্লুয়েঞ্জার মত সাধারণ জ্বরে ব্যবহার্য।
ফার্মাকোলজি
অনুচক্রিকার জমাট বাঁধাকে কমিয়ে দিয়ে এ্যাসপিরিন ধমনীগাত্রে থ্রম্বাস গঠিত হতে দেয় না, যেখানে থ্রম্বাসগুলাে অনুচক্রিকার একত্র সংযােজন দ্বারা গঠিত হয়ে থাকে এবং যে ক্ষেত্রে রক্তজমাট বিরােধী উপাদানের কার্যকারিতা কম। এ্যাসপিরিন একটি বেদনা উপশমক যা মাথা ব্যথা, ক্ষণস্থায়ী পেশীকঙ্কালে ব্যথা এবং ঋতুকষ্টে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর প্রদাহরােধী বৈশিষ্ট্য এবং জ্বরনাশক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা অত্যন্ত প্রয়ােজনীয়। এ্যাসপিরিন এর এন্টেরিক কোটিং আন্ত্রিক গােলযােগ, পরিপাকতন্ত্রের ঝিল্লির প্রদাহসহ ক্ষত ইত্যাদি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
মাত্রা ও সেবনবিধি
ব্যথা, প্রদাহজনিত রােগ ও জ্বরে: এ্যাসপিরিন ৩০০ মি.গ্রা. ১-৩ টি ট্যাবলেট ৬ ঘন্টা পর পর এবং দিনে সর্বোচ্চ ৪ গ্রাম।
সাস্পেক্টেড একিউট করােনারি সিনড্রোম: সুনির্দিষ্ট প্রতিনির্দেশনা না থাকলে তাৎক্ষণিক মাত্রা ১৫০ মি.গ্রা. থেকে ৩০০ মি.গ্রা.।
মায়ােকার্ডিয়াল ইনফার্কশনের পরে: মায়ােকার্ডিয়াল ইনফার্কশনের পরবর্তী একমাস ১ টি করে এ্যাসপিরিন ১৫০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট এবং এর পরে দৈনিক ইকোনি ৭৫ মি.গ্রা. ১টি করে ট্যাবলেট।
একিউট ইস্কেমিক স্ট্রোক/ ট্রানজিয়েন্ট ইস্কেমিক স্ট্রোক (টিআইএ): প্রারম্ভিক মাত্রা দৈনিক ১৫০ মি.গ্রা. থেকে ৩০০ মি.গ্রা. এবং পরবর্তীতে ৭৫ মি.গ্রা.।
বাইপাস সার্জারীর পরে: বাইপাস সার্জারীর ৬ ঘন্টা পর থেকে প্রতিদিন ৭৫ মি.গ্রা. থেকে ৩০০ মি.গ্রা.।
সাস্পেক্টেড একিউট করােনারি সিনড্রোম: সুনির্দিষ্ট প্রতিনির্দেশনা না থাকলে তাৎক্ষণিক মাত্রা ১৫০ মি.গ্রা. থেকে ৩০০ মি.গ্রা.।
মায়ােকার্ডিয়াল ইনফার্কশনের পরে: মায়ােকার্ডিয়াল ইনফার্কশনের পরবর্তী একমাস ১ টি করে এ্যাসপিরিন ১৫০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট এবং এর পরে দৈনিক ইকোনি ৭৫ মি.গ্রা. ১টি করে ট্যাবলেট।
একিউট ইস্কেমিক স্ট্রোক/ ট্রানজিয়েন্ট ইস্কেমিক স্ট্রোক (টিআইএ): প্রারম্ভিক মাত্রা দৈনিক ১৫০ মি.গ্রা. থেকে ৩০০ মি.গ্রা. এবং পরবর্তীতে ৭৫ মি.গ্রা.।
বাইপাস সার্জারীর পরে: বাইপাস সার্জারীর ৬ ঘন্টা পর থেকে প্রতিদিন ৭৫ মি.গ্রা. থেকে ৩০০ মি.গ্রা.।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্টস, ওরাল হাইপোগ্লাইকাইমিক এজেন্টস, ফিনাইটয়েন এবং সোডিয়াম ভ্যালপ্রোয়েটের প্রভাব স্যালিসিলেটস বাড়িয়ে তুলতে পারে। তারা প্রোবেনসিডের ইউরিকোসরিক প্রভাবকে বাধা দেয় এবং সালফোনামাইডের বিষাক্ততা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তারা ব্রোঙ্কোস্পাজমকে বাধা দিতে পারে বা সংবেদনশীল বিষয়ে অ্যাজমা আক্রমণ করতে পারে।
প্রতিনির্দেশনা
১২ বছরের নীচে বাচ্চাদের (রেইজ সিনড্রোম), দুগ্ধাদানকারীদের, সক্রিয় পেপটিক আলসারে এ্যাসপিরিন প্রতিনির্দেশিত। হিমােফিলিয়া, ইন্ট্রাক্রেনিয়াল হিমােরেজ এবং অন্যান্য ক্ষত থেকে রক্ত নিঃসরণের ক্ষেত্রেও ইহা প্রতিনির্দেশিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত মাত্রার এ্যাসপিরিনের খুব সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াসমূহের মধ্যে রয়েছে বমি বমি ভাব, বদহজম, পরিপাকতন্ত্রের ঝিল্লির প্রদাহসহ ক্ষত ও ফুসফুসের খিচুনী ইত্যাদি।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
ইহা বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, সুনির্দিষ্টভাবে নির্দেশিত না হলে গর্ভাবস্থার শেষ ৩ মাসে এ্যাসপিরিন ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ ইহা গর্ভে অবস্থানরত শিশুর ক্ষতি করতে পারে এবং প্রসবের সময় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এ্যাসপিরিন মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয়, তাই দুগ্ধদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে ইহা সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।
সতর্কতা
হাঁপানী, অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ এবং গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। নাকের পলিপ এবং এলার্জি রােগীদের ক্ষেত্রে ইহা সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।
মাত্রাধিক্যতা
অতিরিক্ত পরিমাণে মাথা ঘোরা, টিনিটাস, ঘাম, বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া, বিভ্রান্তি এবং হাইপারভেন্টিলেশন হয়। অতিমাত্রায় ওভারডেজের ফলে কোমা, কার্ডিওভাসকুলার পতন এবং শ্বাসকষ্টের চাপ সহ সিএনএসের ডিপ্রেশন দেখা দিতে পারে। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে সন্দেহ করা হয় তবে রোগীকে কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে, কারণ লক্ষণগুলি এবং রক্তে স্যালিসিলেটের মাত্রা বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে স্পষ্ট নাও হতে পারে। ওভারডেজের চিকিৎসার মধ্যে গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ এবং জোর করে ক্ষারীয় ডিউরেসিস থাকে। গুরুতর ক্ষেত্রে হেমোডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হতে পারে।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Anti-platelet drugs
সংরক্ষণ
সকল ঔষধ শিশুদের নাগালের বারে রাখুন। আলাে থেকে দূরে, ঠাণ্ডা ও শুষ্ক স্থান রাখুন।