সোডিয়াম বাইকার্বনেট
নির্দেশনা
সোডিয়াম বাইকার্বনেট নিম্নলিখিত উপসর্গে নির্দেশিত:
১. কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট-এ এসিডোসিস এর চিকিৎসায়
২. প্রস্রাবের ক্ষারীয়করণ
৩. বিপাকীয় এসিডসিস চিকিৎসায়
১. কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট-এ এসিডোসিস এর চিকিৎসায়
২. প্রস্রাবের ক্ষারীয়করণ
৩. বিপাকীয় এসিডসিস চিকিৎসায়
- তীব্র কিডনিজনিত রোগে
- অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস
- শক বা পানিশূন্যতা থেকে রক্ত সঞ্চালনের অপর্যাপ্ততা
- তীব্র প্রাইমারি লাকটিক এসিডোসিস নিয়ন্ত্রণে
ফার্মাকোলজি
সোডিয়াম বাইকার্বনেট হল একটি সিস্টেমিক এলকালাইজার, যা প্লাজমা বাইকার্বোনেট বৃদ্ধি করে, অতিরিক্ত হাইড্রোজেন আয়ন ঘনত্ব বাফার করে এবং রক্তের পিএইচ বাড়ায়, যার ফলে অ্যাসিডোসিসের লক্ষণগুলি প্রশমিত করে। এটি একটি ইউরিনারি এলকালাইজার যা প্রস্রাবে বাইকার্বোনেট আয়নগুলির নিঃসারণ বাড়িয়ে তোলে, এইভাবে কার্যকরভাবে প্রস্রাবের পিএইচ বাড়ায়। ইহা তীব্র ডায়রিয়ায় ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীন পুনঃস্থাপন করে ব্যবহার করা হয় যেখানে বাইকার্বোনেট হ্রাসের হার লক্ষণীয়।
মাত্রা ও সেবনবিধি
সাধারণত ৩০০ মিগ্রা থেকে ২ গ্রাম পর্যন্ত দিনে ১ থেকে ৪ বার।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
কিছু ওষুধের সাথে এই ওষুধটির প্রতিক্রিয়া হতে পারে: অ্যাসপিরিন এবং অন্যান্য স্যালিসাইলেট, মেম্যান্টিন, এন্টেরিক কোটিং সহ ওষুধ। তা ছাড়া কর্টিকোস্টেরয়েড, কর্টিকোট্রোপিন, অ্যালকালিস, ক্যালসিয়াম, ডাইউরেটিকস এবং পটাসিয়াম জাতীয় ওষুধের সাথে পারস্পরিক ক্রিয়া ঘটার মারাত্মক সম্ভাবনা রয়েছে। এটি এম্পিসিলিন, আটাজানাভির, কিটোকোনাজল, ইট্রাকোনাজল, আইরন সম্পূরক, সুক্রালফেট ইত্যাদি ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে ফেলে।
প্রতিনির্দেশনা
সোডিয়াম বাইকার্বোনেট হাইপারসেনসিটিভিটি হাইপোভেনটিল্যাটরী স্টেটস, অতিরিক্ত ক্লোরাইড শূন্যতায়, বমি থেকে ক্রমাগত পাচক তরল ক্ষয় হওয়া, বিপাকীয় অথবা রেসপিরেটরী অ্যালকালোসিস, পটাসিয়াম স্বত্ত্বতায় এবং যেসব ডাইউরেটিকস থেকে হাইপোক্লোরেমিক অ্যালকালোসিস উৎপন্ন হয় তাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
- মাথা ব্যথা,
- বমি-বমি ভাব
- সংবেদনশীলতা
- পেশীর দুর্বলতা,
- ধীর প্রতিবর্তী ক্রিয়া,
- বিভ্রান্তি,
- পা অথবা পায়ের গোড়ালী ফোলা,
- কালো মল
- কফি-গ্রাউন্ড বমি
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
প্রাণিকুলের ওপর গবেষণকালে এই ওষুধের কারণে কিডনির উপর বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। গর্ভকালীন দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ত্রৈমাসিকের সময় এই কম্বিনেশনটি নির্দেশিত হয়। এটি গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ আর বাড়িয়ে দিতে পারে। এই ওষুধ মাতৃদুগ্ধের সাথে নিঃসৃত হয়।
সতর্কতা
প্রাক-বিদ্যমান হৃদরোগ, কিডনীজনিত রোগ, লিভারজনিত রোগ, উচ্চরক্তচাপ এবং যাদের এই ওষুধের কোন উপাদানে এলার্জি আছে তাদের ক্ষেত্রে সোডিয়াম বাইকার্বোনেট সতর্কতা সাথে ব্যবহার করতে হবে। কারণ এই ওষুধটিতে রয়েছে লবন (সোডিয়াম), যদি লবণ-সীমাবদ্ধ ডায়েটে থাকেন তাহলে এই ওষুধটি ব্যবহার করা যাবে না।
মাত্রাধিক্যতা
যদি অ্যালকালোসিস হয় সেক্ষেত্রে রোগীকে বাইকার্বোনেট সেবন থেকে বিরত রাখা উচিৎ এবং অ্যালকালোসিস এর ডিগ্রী অনুযায়ে ব্যবহার করা উচিৎ। যদি রোগীদের হাইপোক্যালেমিয়া হয় সেক্ষেত্রে ০.৯% সোডিয়াম ক্লোরাইড আইভি ইনজেকশন অথবা পটাসিয়াম ক্লোরাইড দেয়া যেতে পারে। তীব্র এলকালোসিস এর সাথে অতি সংবেদনশীলতা বা টেটানি হতে পারে, এবং এই লক্ষণগুলো ক্যালসিয়াম গ্লুকোনেট ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রিত করা যেতে পারে। অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের মত এসিডিফাইং উপাদান তীব্র এলকালোসিস এ ব্যবহিত হতে পারে।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Intravenous fluid preparations, Urinary Alkalinizing Agent
সংরক্ষণ
৩০° সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার উপরে সংরক্ষণ থেকে বিরত থাকুন। আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখুন। সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।